• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

স্বাগত ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ

এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০১৯

বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ জোট। এমন পরিবেশে নতুন সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু হলো খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৯ সালের। গ্রেগরি প্রবর্তিত বর্ষপঞ্জি আমাদের প্রতিদিন তো বটেই, জাতীয় জীবনেও এর অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়। আমাদের বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর, আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ, আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি— কোথায় নেই এর প্রভাব! সরকারি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দিন-গণনা শুরু হয় গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী। সে যা-ই হোক, ২০১৯ সালের পথচলা শুরু হয়েছে। আর তাই আশার বসতি তৈরি করেই বলতে চাই, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যেতে আমরাও পিছিয়ে থাকব না।

২০১৮ এখন মহাকালের অংশ। কেমন ছিল বছরটি? আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা। এ নিয়ে বিভিন্ন ফোরামও হয়ে ওঠে সরব। জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে নতুন করে আগুনে ঘি ঢালে আমেরিকা জেরুজালেমে কূটনৈতিক মিশন খুলে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র-প্রধানের সাক্ষাৎ। সৌদি সরকারের নেতৃত্বে সাংবাদিক খাসোগি হত্যা। এর পাশাপাশি উত্তেজনার জন্ম দেয় চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ও ব্রিটেনের ব্রেক্সিট নীতি এবং কাতারকে একঘরে করায় সৌদি আরবের বাড়াবাড়ি।

আর নিজ বাসভূমে! পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, বছরজুড়েই দেশের রাজনীতি ছিল উত্তাপহীন। অথচ মাঝে মাঝেই চাল-ডাল-পেঁয়াজের মতো খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্য। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেলেও নতুন বিনিয়োগের সূচক ছিল নিম্নমুখী। তার সঙ্গে যোগ হয় খুন, গুম এবং ধর্ষণের মতো বীভৎস সব ঘটনা। আর বছরজুড়েই রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কঠিন এই সমস্যা কাঁধে তুলে নিয়ে রোহিঙ্গাদের অবর্ণনীয় কষ্টের ভাগীদার হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। এসব নিয়ে সমাজজীবন এগিয়ে গেছে সামনের দিকে। সাধারণ মানুষ ভীত নয়, বরং উদ্দীপ্ত— আশায় স্বপ্নবুনে চলছেই। নতুন বছরের শেষে, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একতরফা নির্বাচনের শঙ্কা কাটিয়ে পরিশেষে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল ইতিবাচক দিক। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই শেষ হলো এ নির্বাচন। এখন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সময়। পদ্মা সেতু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ইত্যাদি বড় বড় প্রকল্প দেশবাসীকে করে তুলেছে সত্যিই আশাবাদী।

দেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। এই পথচলার লক্ষ্য দারিদ্র্য কমিয়ে আনা, আর্থিক অসমতা দূর করা। বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্য তো নিচের মানুষদের উপরে উঠে আসা। সে কাজটি এখন চলবে জোরেশোরে, এমনটাই আশা করি। সাফল্য আর ব্যর্থতার চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়তো চলতেই থাকবে। তবে আমরা বসে নেই, উন্নয়নের স্বপ্ন বুনে চলেছি। আরো অগ্রগতি, আরো উন্নতির লক্ষ্যে লড়বে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। নতুন সরকার জনগণের ওই মনের ভাষা উপলব্ধি করে সে লক্ষ্যে কাজ করবেন আশা রাখি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads