• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
যেভাবে শুরু স্বাধীনতা যুদ্ধের

ছবি : সংগৃহীত

সম্পাদকীয়

যেভাবে শুরু স্বাধীনতা যুদ্ধের

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০১৯

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। বাংলাদেশ তখন ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান’। স্বাধীনতার আশু কারণ তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর। ওই নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অবস্থান অর্জন করেছিল। অন্যদিকে ‘পশ্চিম পাকিস্তানে’ জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছিল ৮৮টি আসন। নির্বাচনের পর ‘দুই প্রদেশের দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার’ উদ্ভট দাবি তুলে এবং ঢাকায় আসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সঙ্কটের সৃষ্টি করেছিলেন ভুট্টো। তার এ অস্বীকৃতিকে অজুহাত বানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন ১ মার্চ। প্রতিবাদে ‘পূর্ব পাকিস্তানে’ প্রচণ্ড বিক্ষোভের সঙ্গে দাবি ওঠে স্বাধীনতার। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা প্রদেশে হরতালের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, ৭ মার্চ রেসকোর্সের জনসভায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধান নেতা শেখ মুজিবের মুখে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ৭ মার্চের জনসভায় লাখ লাখ মানুষ যোগ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে অত্যন্ত জোরালো ভাষায় প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন, ভুট্টোর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং সবশেষে বলেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। শেখ মুজিব তার ভাষণে ইয়াহিয়ার প্রতি ঢাকায় এসে পরিস্থিতি দেখার জন্য আহ্বানও জানিয়েছিলেন। 

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসেছিলেন ১৫ মার্চ, মুজিব-ইয়াহিয়ার বৈঠক শুরু হয়েছিল ১৬ মার্চ থেকে। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বঙ্গবন্ধু জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবিকে প্রাধান্যে রেখেছিলেন। বিশেষ করে সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়ে শেখ মুজিব বলেছিলেন, এ দুটির কম কোনো কিছুই পরিস্থিতির জন্য যথেষ্ট হবে না। জবাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বলেছিলেন, সংবিধান প্রণয়নের আগে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হলে আইনগত শূন্যতার সৃষ্টি হবে এবং জটিলতা দেখা দেবে। এই পর্যায়ে শেখ মুজিব দু’পক্ষের আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খানও সম্মত হয়েছিলেন।

১৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে মুজিব-ইয়াহিয়ার উপদেষ্টাদের মধ্যেও বৈঠক শুরু হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেন এবং ইয়াহিয়া খানের পক্ষে লে. জেনারেল শরীফ উদ্দিন পীরজাদা, বিচারপতি এ আর কর্নেলিয়াস ও কর্নেল হাসান বৈঠকগুলোতে অংশ নিয়েছেন। এসব বৈঠকেও আইনগত শূন্যতা ও জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল। পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে জেনারেল ইয়াহিয়া খান এমন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা আদেশ জারি করবেন, যা সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং সংবিধান গৃহীত হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে আইনসম্মত করবে।

জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ১৭ মার্চের একান্ত বৈঠক শেষে শেখ মুজিব নতুন এক প্রস্তাবে বলেছিলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের’ জাতীয় পরিষদ সদস্যরা প্রথমে পৃথক পৃথক অধিবেশনে দুই অঞ্চলের জন্য দুটি সংবিধান রচনা করবেন এবং পরে এক যৌথ অধিবেশনে ওই দুটির ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা হবে। দু’পক্ষের উপদেষ্টাদের বৈঠকে তথ্যটি জানিয়ে জেনারেল পীরজাদা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট এ ব্যাপারে একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছেন— যে ঘোষণাকে সামরিক আইন প্রত্যাহার ও নতুন সংবিধান গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সাংবিধানিক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দু’পক্ষের ১৭ মার্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্রস্তাবিত ঘোষণার খসড়া তৈরি করার আগে উভয় পক্ষের আইন উপদেষ্টারা শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে যৌথ বৈঠকে মিলিত হবেন।

২০ মার্চ প্রধান নেতা শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়া খান নিজেদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় তিনটি মৌলিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে— (১) সামরিক আইন প্রত্যাহার, (২) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, এবং (৩) পূর্বাঞ্চলীয় অংশের (‘পূর্ব পাকিস্তান’) জন্য ব্যাপকভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন। উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ এ কে ব্রোহীর অভিমত নিতে সম্মত হন। পরদিনই এ কে ব্রোহী এক লিখিত অভিমতে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা হিসেবে ঘোষণা জারি করলে আইনগত শূন্যতার সৃষ্টি হবে না এবং আইনসম্মতভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে। 

২১ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ঘোষণার খসড়া আওয়ামী লীগের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই খসড়ায় ‘পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের’ জাতীয় পরিষদ সদস্যদের পৃথক পৃথক অধিবেশনের প্রস্তাব ছিল। খসড়ার অন্য এক প্রস্তাবে বলা হয়, প্রদেশগুলোতে মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার দিন থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহূত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। আওয়ামী লীগ খসড়া ঘোষণাটিকে ‘অসম্পূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে দুটি প্রশ্নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেছিল— (১) প্রেসিডেন্টের ঘোষণাটি অবিলম্বে প্রচার করতে হবে; এবং (২) যেহেতু মন্ত্রিসভা গঠনে বিলম্ব ঘটতে পারে সেহেতু প্রদেশগুলোতে নতুন গভর্নর নিযুক্তি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অথবা প্রেসিডেন্টের ঘোষণা প্রচারিত হওয়ার সাতদিনের মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে। 

২২ মার্চ প্রেসিডেন্ট হাউজে ভুট্টোর সঙ্গে হঠাৎ শেখ মুজিবের সাক্ষাৎ হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার মধ্যস্থতায় শেখ মুজিবের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য আগের দিন তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। শেখ মুজিব তার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য ভুট্টোকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের আগে প্রদেশগুলোতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রশ্নে ভুট্টো বলেছিলেন, তেমন কোনো সমঝোতা অনুমোদনের জন্য হলেও প্রথমে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসতে হবে।

২৩ মার্চ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ঘোষণার খসড়া প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সেদিনের বৈঠকে ইয়াহিয়ার পক্ষে অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা এম এম আহমদ একের পর এক সংশোধনী এনে আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করেছিলেন। ফলে উপদেষ্টাদের সান্ধ্য বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছিল। ২৪ মার্চের সর্বশেষ বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশের নাম ‘কনফেডারেশন অব পাকিস্তান’ রাখার নতুন এক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ইয়াহিয়ার পক্ষ এতে তীব্র আপত্তি জানায়। বিচারপতি কর্নেলিয়াস বলেছিলেন, ‘কনফেডারেশন’-এর পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন অব পাকিস্তান’ রাখা যেতে পারে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টারা বিষয়টি শেখ মুজিব ও ইয়াহিয়া খানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব তোলেন এবং ঘোষণার অন্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু সান্ধ্য বৈঠকে জানানো হয়, ইয়াহিয়ার প্রতিনিধিরা আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরে আওয়ামী লীগকে অবহিত করবেন। জেনারেল পীরজাদা জানিয়েছিলেন, তিনি পরদিন অর্থাৎ ২৫ মার্চ কোনো এক সময় ড. কামাল হোসেনকে টেলিফোনে জানাবেন, কখন তারা আবার বসবেন এবং প্রেসিডেন্টের ঘোষণাটি কবে প্রচার করা হবে।

এভাবেই মুজিব-ইয়াহিয়ার এবং দুজনের উপদেষ্টাদের মধ্যকার আলোচনার সমাপ্তি ঘটেছিল। শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ নেতারা ২৫ মার্চ সারাদিন অপেক্ষায় কাটিয়েছিলেন। কিন্তু জেনারেল পীরজাদা যেমন কোনো টেলিফোন করেননি, তেমনি প্রচারিত হয়নি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সেই ঘোষণাটিও— যার জন্য এত সময় নষ্ট করা হয়েছিল। অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে ড. কামাল হোসেন লিখেছেন, তিনি যখন (২৫ মার্চ) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শেষবারের মতো বিদায় নেন তখন তার জিজ্ঞাসার উত্তরে জানিয়েছিলেন, তেমন কোনো টেলিফোন তাকে করা হয়নি। (দেখুন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’, ১৫শ খণ্ড)

ড. কামাল হোসেনের সঙ্গী ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা অনুরোধ করলেও বঙ্গবন্ধু তাদের সঙ্গে বা অন্য কোথাও যেতে রাজি হননি। তিনি বরং তাদের দুজনকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরের ঘটনাক্রম জানাতে গিয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম লিখেছেন, শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এবং ড. কামাল হোসেন গিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের ধানমন্ডির বাসভবনে। সেখান থেকে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ পা বাড়িয়েছিলেন ভারতের উদ্দেশে। কয়েকটি পর্যায়ে রীতিমতো ‘ইন্টারভিউ’ দিয়ে ভারতীয়দের কাছে তাকে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে, তিনিই ‘পূর্ব পাকিস্তান’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ।

পরিচিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল (৩ এপ্রিল, ১৯৭১)। এই সাক্ষাতের সময়ই তাজউদ্দীন আহমদ জানতে পেরেছিলেন, ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রী করে ১০ এপ্রিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এই সরকারই ১৭ এপ্রিল মেহেপুরের বৈদ্যনাথ তলায় এসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিল। (দেখুন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের বিবরণী, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’, ১৫শ খণ্ড)

উপরের বিভিন্ন তথ্য ও ঘটনার ভিত্তিতে বলা যায়, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেষ পর্যন্তও নিয়মতান্ত্রিক পথে সঙ্কটের সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন। এজন্যই তিনি আলোচনার পথকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই কৌশল ও অবস্থানের ব্যাখ্যায় দেখা যাবে, আলোচনার নামে সঙ্কটকে আরো জটিল করার মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক পথে স্বাধীনতা অর্জন করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। অন্যদিকে পাকিস্তানিরা শুধু তাকেই গ্রেফতার করেনি, নেমেছিল গণহত্যার অভিযানেও। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ।

 

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads