• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

চলে গেলেন একজন উঁচুমাপের নেতা

  • আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৯

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি ন্যাপ নেতা হিসেবেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু দলের সকল গণ্ডি পেরিয়ে তিনি ছিলেন মানুষের নেতা। একজন ‘ক্লিন’ রাজনীতিবিদ। তিনি পরিণত বয়সেই মারা গেছেন। তবু তার মৃত্যু আমাদের রাজনীতির আকাশ থেকে নক্ষত্রের পতনের শামিল। রাজনীতির চোরাবালিতে এই নেতা কখনো পা রাখেননি। নিঃস্বার্থ, নির্লোভ এই নেতার কথা স্মরণ করলে শ্রদ্ধায়-ভক্তিতে মাথা নুয়ে আসে।

স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুতেই আমাদের রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন মানুষের মণিকোঠায় বরণীয়-স্মরণীয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল, তার দিকে তাকালেই রাজনীতিবিদদের অবয়ব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো জাতির সামনে ভেসে আসে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান, আবদুস সামাদ আজাদ, ফণীভূষণ, মনোরঞ্জন ধর, ড. কামাল হোসেন, জহুর হোসেন চৌধুরী, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, শামসুল হক, আবদুল মান্নান প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর কেবিনেট সদস্যের কথা মনে করে কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন এরা মানুষের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে পারেন, কিংবা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামান্যতম গণবিরোধী কাজ করতে পারেন! এই নেতারাই হলেন আমাদের ইতিহাস, এরাই হলেন আমাদের ঐতিহ্য। এসব কৃতীমান নেতাই সারা জীবন মানুষের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য তিলে তিলে নিজেদের বিলিয়ে দিয়ে নেতা হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। অধ্যাপক মোজাফফর সাহেবের মৃত্যুতে আমার মনে হয়েছে তিনিও একই কাতারের নির্লোভ, নিরহংকার, জনকল্যাণে নিবেদিত একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। মোজাফফর সাহেব সেই অত্যুজ্জ্বল রাজনীতির ধারারই একজন প্রতিকৃতি। নির্লোভ-নির্ভেজাল-নিষ্কলঙ্ক রাজনীতির সার্থক উত্তরাধিকার, অহঙ্কার।

সবারই জানা আছে, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ সমাজতান্ত্রিক মন্ত্রে দীক্ষিত একজন নিবেদিত নেতা। সমাজের অবহেলিত, নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নেই তার গোটা রাজনৈতিক জীবন উৎসর্গকৃত। একসময় যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী পরাশক্তি ছিল, আমাদের দেশেও তখন প্রলেতারিয়েতদের রাজনীতি জমজমাট ছিল। ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টিও তখন মোটামুটি সক্রিয় ছিল। কিন্তু জাতির পিতার সপরিবারে নিহত হওয়ার পর যখন রাজনীতি দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ল তখন সবচেয়ে অবক্ষয় হয়েছিল বামপন্থি রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের। তাদের অনেকেই ব্যক্তিস্বার্থে ও কায়েমি স্বার্থের স্রোতে একাকার হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই গরিব মেহনতি মানুষের কথা ভুলে গিয়ে নিজেরা গাড়ি-বাড়ি-মন্ত্রিত্ব দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছিল। দু-একজন হাতেগোনা ব্যতিক্রম ছিলেন। অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ছিলেন সেই ব্যতিক্রর্মীদের অন্যতম।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ছিলেন তার নীতি, আদর্শ ও রাজনীতিতে আপসহীন। তিনি ছিলেন একজন পরম বাস্তবতাবাদী। আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যখন ভিন্ন ধরনের রাজনীতি চালু হলো, তখন তিনি তার সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিকে বাস্তবতার আদলে ঢেলে সাজালেন। তিনি লক্ষ করেছেন বছরের পর বছর সমাজতন্ত্র, প্রলেতারিয়েতের স্লোগান দেওয়া হলেও এদেশের গরিব মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তাই দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এনে এদেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাসকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই তার ঐতিহাসিক তত্ত্ব- ‘ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র’ জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছিলেন। প্রয়োজনীয় দলীয় সাংগঠনিক কাঠামো ও আত্মনিবেদিত কর্মীবাহিনী ছিল না বলে তিনি তার ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্রবাদকে যৌক্তিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হননি। তবে তিনি নিজে এই আদর্শ ও বিশ্বাস থেকে একচুল পরিমাণ বিচ্যুত হননি, যদিও তার কোনো কোনো রাজনৈতিক সহকর্মীসহ অনেকেই তার এই মতবাদকে তামাশা মনে করে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন।

সত্তর সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানীর দল ছাড়া সবাই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর)-এর প্রতীক ছিল কুঁড়েঘর, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা, মুসলিম লীগের হারিকেন, পিডিপির ছাতা প্রভৃতি। কিন্তু নির্বাচনে ছয়দফা-১১ দফা তথা আওয়ামী লীগের পক্ষে এত প্রবল জনস্রোত উঠেছিল যে, সে উত্তাল তরঙ্গে সবকিছু ভেসে গিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছিল- ‘ছাতা-হারিকেন-দাঁড়িপাল্লা-কুঁড়েঘর, ভাইঙ্গাচুইড়া নৌকায় ভর’। যাক, ’৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরাট বিশাল বিজয় এবং তৎপরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বোপরি স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন ও অনেক ওলটপালট হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ তার ‘কুঁড়েঘরে’র প্রশ্নে একচুলও আপস করেননি। দু-একবার জোটগতভাবে নির্বাচনে ন্যাপও সংশ্লিষ্ট ছিল। সেই নির্বাচনে অনেক দল নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক মোজাফফর সাহেব কুঁড়েঘর ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত সফলতা তার শিরে ধরা দিয়েছে- ১৯৭৯-এর নির্বাচনে তিনি কুঁড়েঘর মার্কায় এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হিসেবে সংসদে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমপি নাম ভাঙিয়ে যখন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা লুটপাটের প্রবল রাজত্ব চলছিল, তখনো ওইসব কুকর্মের কোনো ছোঁয়া তার গায়ে লাগতে দেননি।

তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। তার সময়ে সংসদের স্পিকার ছিলেন মির্জা গোলাম হাফিজ। অধিবেশন চলাকালে একজন সংসদ সদস্য এমন অবান্তর ও অসংলগ্ন বক্তব্য রাখছিলেন যে, সংসদে সবাই বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন। এ সময় স্পিকার মহোদয় বলেন, ‘আমি কিন্তু হতাশ নই- যেমন পার্লামেন্ট, তেমন এমপি আর তেমনই বক্তৃতা।’ ফ্লোর নিয়ে অধ্যাপক মোজাফফর সাহেব বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমিও মোটেই হতাশ নই— যেমন পার্লামেন্ট, তেমন এমপি, তেমন বক্তৃতা আর তেমনই স্পিকার’— সংসদ হাস্যরসে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

’৯৬-এ জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই একেক পার্টির নেতাকর্মীদের দাওয়াত দিতেন সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবে। আমি তখন বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস টিমের সঙ্গে সংযুক্ত। পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত এই সৌজন্য সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে এলেন ন্যাপ নেতারা। কথায় কথায় অনেক আলাপ-আলোচনা হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একপর্যায়ে ন্যাপ প্রধানকে বললেন, ‘চাচা, আপনারা আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। জনগণের সমর্থন ও আল্লাহর অসীম রহমতে আজ দেশসেবার দায়িত্ব আমাদের ওপর বর্তেছে। দেশ পরিচালনা করতে হলে সৎ ও যোগ্য মানুষের দরকার। আমি জানি আপনার দলে অনেক সৎ মানুষ রয়েছেন। আপনার দল থেকে তেমন কিছু সৎ ও যোগ্য লোক আমাকে দেবেন।’ ঈষৎ হেসে অধ্যাপক সাহেব জবাব দিলেন, ‘মাগো, সৎ কথাটি অত্যন্ত আপেক্ষিক। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গেলে যে সৎ মানুষের দরকার, আমার খোঁজে তা নেই। যাদের সৎ মনে করে তোমাকে দেব, রাষ্ট্রীয় সুযোগ পেলে তারা কতটুকু সৎ থাকবেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই; বরং সৎ মানুষ খুঁজে বের করার দায়িত্বটা তুমিই নাও।’

আশ্চর্য হয়েছি অধ্যাপক মোজাফফর সাহেবের সরল স্বীকারোক্তি শুনে; কিন্তু অবাক হইনি। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা বলতে চাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রস্তাব এলো আমাদের দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ছাত্র পেট্রিক লুলুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ দিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হবে। প্রথম প্রস্তাবে চারশরও অধিক ছাত্র নেওয়ার ঘোষণা এলো (সঠিক সংখ্যাটা মনে পড়ে না)। আমি তখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন কর্মী। সোভিয়েতের স্কলারশিপ নিয়ে আমাদের মধ্যে তেমন কোনো চাঞ্চল্য দেখা না গেলেও লক্ষ করলাম আমাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নে তোলপাড়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর কান পর্যন্ত গড়ালো। তৎকালীন বাংলাদেশ-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির সভানেত্রী ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়া বেগম সুফিয়া কামাল। তাকে পাঠানো হলো বঙ্গবন্ধুর কাছে। তিনি আবদার করলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নে যেসব ছাত্র পড়তে যাবেন তাদের নির্বাচন করবেন বাংলাদেশ-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতি। বঙ্গবন্ধু বেগম সুফিয়া কামালকে অগাধ শ্রদ্ধা করতেন। তাই একবাক্যে হ্যাঁ-না করতে পারলেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনাকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হলো, বিষয়টি যেহেতু স্টেট-টু-স্টেট অ্যাফেয়ার্স, অতএব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই প্রার্থী সিলেকশন করবে। তবু বঙ্গবন্ধু শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত দিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিনশ নির্বাচন করবে আর একশ নির্বাচন করবে মৈত্রী সমিতি। তবে মৈত্রী সমিতির নির্বাচিত প্রার্থীদেরও সরকার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে পাঠানো হবে। এই কোর্সে প্রার্থী হওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তাতে বলা হয়েছে- যেসব প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসিতে অন্তত ৭২ শতাংশ মার্ক আছে, কেবল তারাই দরখাস্ত করতে পারবেন। সেভাবেই সবচেয়ে মেধাবীদের তালিকা করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হলো। অপরদিকে মৈত্রী সমিতির চূড়ান্ত তালিকায় বেশিরভাগই ছিল তৃতীয় শ্রেণিতে পাস করা ওয়ালারা।

অনেক পরের কথা। বাকশাল গঠন করা হলে একদিন সার্কিট হাউজ রোডের আওয়ামী লীগ অফিসে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলাকালে কমিউনিস্ট পার্টির একজন শীর্ষ নেতা খুব দেমাকের সুরে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির পঙ্কে তলিয়ে গেছে। আমরা এসে যোগ দেওয়ায় তাদের দুর্গন্ধ কিছুটা লাগব হবে। বিষয়টি উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের এমনই ক্রোধান্বিত করেছিলেন যে, বাকশালের পলিট ব্যুরোর সদস্য ও ঢাকা মহানগরের বাকশাল সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে নালিশ করলেন। বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট কমিউনিস্ট নেতাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কাজ খুবই কঠিন। এ কাজে কে কেমন সৎ-অসৎ তা বিচার-বিশ্লেষণ আরো কঠিন। সোভিয়েত ইউনিয়নে কিছু ছাত্র পাঠানোর দায়িত্ব তোমাদের দেওয়া হয়েছিল। শুনেছি স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে তৃতীয় শ্রেণি পাওয়া ছাত্রদেরও তোমরা তালিকায় ঢুকিয়েছ। আর সরকারি লিস্টে ছিল কেবল স্টার মার্কস পাওয়া ছাত্রদের নাম।’ তখন আমতা আমতা করে সেই নেতা বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ‘আমরা ইচ্ছা করেই মার্কের দিকে নজর দিইনি। কারণ মেরিটরিয়াস ছাত্ররা সবসময় আত্মকেন্দ্রিক ও সুবিধাবাদী হয়। আর থার্ডক্লাস পাওয়া ছাত্ররা দলের ও দেশের প্রতি নিজদের উৎসর্গ করে।’ বঙ্গবন্ধু উত্তর শুনে মুচকি হাসলেন মাত্র।

অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের কথা লিখতে গিয়ে আজ তাই মনে পড়ল কেন তিনি শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ‘আমার দলে যারা সৎ মানুষ আছেন, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও পদমর্যাদা পেলে কী পরিমাণ, কতটা সৎ থাকতে পারবেন আমি সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।’ এটা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদের একটি রাজনৈতিক দর্শন বলে আমি মনে করি।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে পোড়খাওয়া নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ কঠিন বাস্তববাদী ছিলেন বলেই এই সরল বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছিলেন। তার ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র এদেশের মাটি ও মানুষের বিশ্বাস এবং সমাজ-সংস্কারের কাজে কতটা অবিচ্ছেদ্য তা অনুমান ও হূদয়ঙ্গম করার জন্য সবার প্রতি, বিশেষ করে যারা প্রলেতারিয়েত রাজনীতির ধারক-বাহক বলে দাবি করেন, তাদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ রইল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads