• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

লাইফ সাপোর্টে থাকা ঐক্যফ্রন্টের নড়াচড়া

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গঠিত এবং বর্তমানে ‘লাইফ সাপোর্টে’ থাকা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনরায় নড়েচড়ে বসার খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে আবারো মাঠে নামার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা। তারা আওয়ামী লীগবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ লক্ষ্যে দেশের বাম, ডান, ইসলামী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তারা আলাপও শুরু করেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তারা জোট সম্প্রসারণের কাজ শুরু করবেন। এ বিষয়ে জোটটির শীর্ষনেতারা বলেছেন, শিগগিরই নতুনভাবে পথচলার রূপরেখা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে রূপরেখার ভিত্তিতে চলতি বছরের শেষদিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামার চিন্তা রয়েছে তাদের। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া ভিন্ন কোনো অবকাশ নেই। ঐক্যফ্রন্টের পরিধি বাড়িয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’ জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি মনে করেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন।

মির্জা আলমগীর এবং আ স ম রব যতই বলুন ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, তবে বর্তমান বাস্তবতায় এই রাজনৈতিক জোটটিকে অকার্যকর ও পরিত্যক্ত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। বর্তমান সময়ের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন এ জোটটি কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে কি-না, তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, গঠিত হওয়ার পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোটটি দেশের রাজনীতিতে তার অপরিহার্যতার প্রমাণ দিতে পারেনি।  

নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে গত বছরের শেষদিকে যাত্রা শুরু করেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপিও তাদের নিজস্ব জোট ২০ দলীয় জোটকে একপাশে সরিয়ে রেখে শামিল হয়েছিল ঐক্যফ্রন্টে। তবে দলের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিমত ছিল। ২০ দলীয় জোটের অপরাপর শরিকরাও বিএনপির এই ‘একলা চলো’ নীতিকে ভালো চোখে দেখেনি। যদিও সে সময় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে থাকায় এ বিষয়ে তারা উচ্চবাচ্যও করেনি। তবে ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতার কথাবার্তা এবং আচরণে বিএনপিতে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ। ফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল হওয়া সত্ত্বেও বিএনপিকে মেনে নিতে হয়েছে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন ব্যক্তি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীর কাছে এটা ছিল অগ্রহণযোগ্য। তারপরও ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ তারা নীরবেই সব মেনে নিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ফলাফল এবং ‘ভোট কারচুপি’র প্রতিবাদে ঐক্যফ্রন্ট কোনো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা না করায় বিএনপি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ— কোনো এক রহস্যময় কারণে ড. কামাল ক্রমাগত আশ্বাসবাণীই শুনিয়ে গেছেন। কিন্তু তার সে আশ্বাসের কোনো প্রতিফলন পাওয়া যায়নি। ‘ভোটের আগে পরিস্থিতি বদলে যাবে’ ড. কামালের এই কথাকে কেউ কেউ উপমহাদেশের প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দেখি না চোরায় কী করে’ কৌতুকের সঙ্গেই তুলনা করেন।

গত কয়েক মাসে ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কিত যেসব খবরাখবর পত্রিকায় বেরিয়েছে, সেদিকে তাকালেই এ রাজনৈতিক জোটটির বেহাল অবস্থার কথা অনুমান করা যায়। ২৪ মার্চ বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের স্মরণসভায় ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন আমরা তাকে নেতা মানলাম? আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, মহাসচিব ফখরুল। আমাদের তো অন্য কারো দরকার নাই। আমরা যা পারি করব, না পারলে করব না।’ ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের খবর প্রকাশ করে ‘ঐক্যফ্রন্টে বিমুখ বিএনপি’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়, বিএনপির অনীহায় ঝিমিয়ে পড়েছে ঐক্যফ্রন্ট। তারা ঐক্যফ্রন্টের কথা না ভেবে নিজেদের শক্তিতেই সামনে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের পরে বিএনপি নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির বিষয়টি দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করা, ঐক্যফ্রন্ট টিকিয়ে রাখা, খালেদা জিয়ার মুক্তি ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যফ্রন্টকে সামনে রেখেই এগোতে চেয়েছিল। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নেতারা এসব ইস্যুতে দলটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেনি। এরকম নানাবিধ কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যফ্রন্টের মোহ কাটতে শুরু করেছে। এর আগে ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশের খবরের অপর এক রিপোর্টে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে বিশৃঙ্খলা এবং শরিকদের নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার কথা তুলে ধরা হয়। ৬ মে বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘চরম বিশৃঙ্খলা ঐক্যফ্রন্টে’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে সমস্যা চলছে, এটা গোপন কিছু নয়। এটাকে বিশৃঙ্খলা বলা ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘গণফোরামে এর আগে কোনো রাজনীতিই ছিল না। ঐক্যফ্রন্টকে ঘিরে এ দলটি জীবিত হয়। তারপরও ভাঙাগড়া যা-ই হোক, এখন কিছুটা হলেও রাজনীতি হচ্ছে। ফ্রন্টের অন্য দলগুলোও চলছে কোনোমতে।’ বিএনপির নেতাকর্মীরাও ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতোই মনে করেন। তাদের মতে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো রকম অবস্থানহীন দল গণফোরাম ঐক্যফ্রন্টের নামে বিএনপির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে কোষ খেয়ে নিয়েছে। যে দলের নেতারা দু-চারশ মানুষের সামনে বক্তৃতা দিয়ে সময় পার করছিলেন, বিএনপির সুবাদে তারা লক্ষ লোকের সমাবেশে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জিয়া-খালেদা জিয়ার নাম মুখে আনেননি। এমনকি যে দল জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনেই অংশ নিয়ে জামানত বাঁচাতে পারেনি, তারা এবার দুজন সংসদ সদস্যও পেয়ে গেছে! শুধু তা-ই নয়, সে সংসদ সদস্যরা বিএনপির মতামতের তোয়াক্কা না করে শপথ নিয়ে সংসদেও গেছেন। যার অবশ্যাম্ভাবী প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীকালে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির এমপিরাও শপথ গ্রহণের সাহস দেখিয়েছে। এসব কারণে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মীই ঐক্যফ্রন্টে দলটির থাকাকে যৌক্তিক মনে করেন না। তাদের কথা হলো, বর্তমান বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশে তাদের সঙ্গেই বিএনপির ঐক্য করা উচিত, রাজনীতির মাঠে যাদের সরব উপস্থিতি আছে। ‘ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার’দের সঙ্গী করলে যুদ্ধের ময়দানে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। এর প্রমাণ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেই পাওয়া গেছে।

ভোট কিংবা সাংগঠনিক শক্তি কোনোটাতেই গণফোরাম তথা ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির কোনো উপকারে আসেনি। বরং ফ্রন্টের নেতাদের মনোনয়ন দিতে গিয়ে নিজেদের নেতাদের বঞ্চিত করতে হয়েছে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে এই বোঝা বয়ে বেড়ানোর কোনো অর্থ আছে বলে তারা মনে করেন না। বিএনপি নেতাদের একাংশের এই মনোভাবের খবর অপ্রকাশিত নেই। গত ১৫ জুন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সভায় এ নিয়ে তুমুল বািবতণ্ডায় লিপ্ত হয়েছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে ‘অপরের ব্যাগ ক্যারি’ করার অভিযোগও আনেন।

এসব ঘটনা বিবেচনায় রাখলে ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন আশাবাদী হওয়া যায় না। স্মরণযোগ্য, ফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। উদ্যোক্তাদের একজন যখন জোট ত্যাগ করে, তখন নতুন করে আর কেউ তাতে শামিল হতে উৎসাহী হবে কি-না বলা মুশকিল। তাছাড়া ফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরামেও চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। সাধারণ সম্পাদক পদে ইতোমধ্যেই এসেছে পরিবর্তন। মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এস এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়াকে। রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ রেজা কিবরিয়া গণফোরামকে সচল করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন, এমনটি মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বস্তুত ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো নিজেরাই নানা সমস্যায় আক্রান্ত। জোটটির প্রাণশক্তি বিএনপিতে বিরাজ করছে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। শীর্ষনেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল, নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং, একে অপরকে কোণঠাসা করার অশুভ প্রবণতা, আন্দোলন-সংগ্রামে অনীহা, কমিটি গঠন নিয়ে বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি কারণে দলটি এখন বিপর্যস্ত্ত। নিজেদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নিয়েও স্বস্তিতে নেই তারা। ইতোমধ্যেই জোট থেকে বেরিয়ে গেছে অন্যতম শরিক বিজেপি। আরো কয়েকটি সিকি-আধুলি দল জোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। বলা যায়, ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি। এমতাবস্থায় নতুন করে ঐক্যফ্রন্টকে সক্রিয় করা বা তার পরিধি বিস্তারে কোনো ভূমিকা তারা রাখতে পারবে কি-না সন্দেহ। কেউ কেউ মনে করেন, বিএনপি যদি আবারো ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে অতিমাত্রায় উৎসাহী হয়ে ওঠে, তাহলে ঘরে-বাইরে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে এ ইস্যুতে ২০ দলীয় জোটে ভাঙন সৃষ্টিও হতে পারে। এক্ষেত্রে এলডিপির অলি আহমদ পা বাড়িয়েই আছেন। ২০ দলীয় জোটের মধ্যে থেকেও তিনি আলাদাভাবে গঠন করেছেন ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন। জোটের প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গে কোনো বিষয়ে কঠিন মতানৈক্য দেখা দিলেই তিনি জোটকে ‘আলবিদা’ জানাবেন। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে বিএনপির পুনরায় হাঁটতে শুরু করার চেষ্টাই হতে পারে এর প্রধান কারণ।

বস্তুত বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি। এ রাজনৈতিক জোটটির আত্মপ্রকাশের সময়ই এর কার্যকারিতা ও সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। বাংলাদেশের খবরে একাধিক নিবন্ধে আমিও একই অভিমত ব্যক্ত করেছিলাম। কাকতালীয় হলেও পরবর্তী সময়ে ওইসব মন্তব্য যথার্থ বলেই প্রমাণিত হয়েছে। যেসব কারণে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল, সে কারণগুলো এখনো বিদ্যমান। ফলে মৃতপ্রায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পুনরায় আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠার চেষ্টার খবর বোধকরি কাউকেই আশাবাদী করতে পারছে না।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads