• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল আমাদের সশস্ত্র বাহিনী

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত জাতীয় পতাকা হাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। একইভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা পতাকার মর্যাদা বহন করে চলেছেন

ছবি : সংগৃহীত

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল আমাদের সশস্ত্র বাহিনী

  • আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বীর সৈনিকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ পাকবাহিনী অতর্কিতে ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে আমাদের বীর সেনানীরা তখনই গড়ে তোলেন শক্ত প্রতিরোধ। ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বাঙালি সৈনিকদের প্রতিরোধ সংগ্রাম বোধগম্য কারণেই লাভ করে নতুন মাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় নানা পেশা ও শ্রেণি, গ্রাম ও শহরের নানান বয়সের সাধারণ মানুষ যোগ দেন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে। কৌশলগত কারণেই শুরু হয় গেরিলাযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর ১১ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গোটা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। আর একই বছর ২১ নভেম্বরকে ঘোষণা করা হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তার গৌরবদৃপ্ত যাত্রা শুরু করে, যদিও ১৯৪৮ সালে কুর্মিটোলায় মেজর আবদুল গণির অধিনায়কত্বে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সূচনা হয়েছিল। পাকিস্তান সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণের ফলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কখনোই তার প্রাপ্য মর্যাদা পায়নি। পদে পদে শিকার হয়েছে বৈষম্যের। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ১৯৬৫ সালে অরক্ষিত পূর্ব পাকিস্তানের তথা বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষায় বাঙালি সৈনিকরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তারও যথাযথ স্বীকৃতি মেলেনি পশ্চিম পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের কাছ থেকে। পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের দিনগুলোতে প্রবঞ্চিত বাঙালি সৈনিকরা একাত্তরে দেশের সাধারণ মানুষ, ছাত্র-জনতা, কৃষক ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে যে দুর্নিবার প্রতিরোধ গড়ে তুললেন, তা পাকস্তানি শাসকশ্রেণির কাছে তো বটেই, বিশ্বসমাজের কাছেও ছিল এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সৈনিকরা রণাঙ্গনে যে বীরত্বগাথা রচনা করে গেছেন, তা চিরকাল বাঙালিকে উজ্জীবিত করবে। প্রতিটি সৈনিকের জন্য তা অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। অসম সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তারা সম্মানজনক খেতাবে ভূষিত। ইতিহাসে যারা বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম কিংবা বীরপ্রতীক, তাদের গৌরবের স্মৃতি কখনোই বিস্মৃত হওয়ার নয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রেরণা আছে বলেই হয়তো একাত্তরের সেই সীমিত শক্তির অসম সাহসী বাহিনী আজ একটি সুশিক্ষিত এবং সুসমন্বিত বাহিনীতে পরিণত হতে পেরেছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। অন্যদিকে আমাদের সৈনিকরা দেশের মানুষের মনেও করে নিয়েছেন উচ্চতর মর্যাদার আসন। স্বাধীনতা তাদের দিয়েছে পেশাগত মর্যাদার যথোপযুক্ত স্বীকৃতি। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনামলে একজন বাঙালি কমিশনড অফিসারের পক্ষে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিয়েও মেজরের ওপরে পদোন্নতি পাওয়া ছিল দুরূহ। মেজর হওয়ার পর নানান ছুতায় রিটায়ারমেন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের অফিসারদের ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল, জেনারেল হয়ে যেতে সময় লাগেনি। ওদের এরকম উচ্চ পদাধিকারীর সংখ্যা ছিল অসংখ্য। আমাদের ছিল না, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। আমাদের সন্তানরা, যারা সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করছেন, তারা জানেন তারা স্বাধীন-সার্বভৌম এক গর্বিত জাতির প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। তারা জানেন এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সেই মটো-চির উন্নত মম শির। বাস্তবিকই এই বাহিনী মাথানত করার নয়। সাহস, দক্ষতা, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবতির্তা, মানবিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, দায়িত্ব পালনে অবিচলতা সর্বোপরি নিরঙ্কুশ দেশপ্রেম তাদের মধ্যে সঞ্চারিত করেছে সর্বাবস্থায় লাল-সবুজের জাতীয় পতাকাকে সমুন্নত রাখার শক্তি। তারা আজ আর পড়ে নেই ঔপনিবেশিক শাসনামলের বঞ্চনার জাঁতাকলে। যোগ্যতা অনুযায়ী এখন যথাসময়ে পদোন্নতি পান, মর্যাদার পথ আজ আর তাদের বাধাগ্রস্ত নয়। মেজর, কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল এমনকি জেনারেলের মতো গৌরবজনক র্যাঙ্কে আজ পদাভিষিক্ত এই শ্যামল এবং একদা শোষিত বাংলার সন্তানরা। আজ তাদের অবদান অস্বীকার করার মতো কেউ নেই, নেই কোনো বিদেশি কলোনিয়াল শক্তি।

‘হারামজাদা দস্যি ছেলে কবে যে সাপের কামড়ে মরবি’— মায়ের ধমক অগ্রাহ্য করে যে দুরন্ত কিশোর কণ্টকারীর ঝোপ আর তিল্লৎপাতার হলুদ ফুলের হাতছানিতে আকৃষ্ট হয়ে সারাদিন বনে-বাদাড়ে ঘুরেফিরে সাঁঝের বেলায় মায়ের স্নেহছায়ায় ফিরে আসত, সেই মেধাবী মুখ আজ আমাদের সেনাবাহিনীর জেনারেল, লে. জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার। যে অকুতোভয় চঞ্চল কিশোর পদ্মা-মেঘনা-যমুনার দুরন্ত ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাগরদোলা খেলে উচ্ছল জীবন কাটিয়েছে, সে আজ আমাদের নৌ-বাহিনীর গর্বিত অ্যাডমিরাল, রিয়ার অ্যাডমিরাল, ক্যাপ্টেন। আর যে নন্দিত মুখ মেধাবী কিশোর বাল্য জীবনটা লাটাই-ঘুড়ি নিয়ে আকাশের সঙ্গে অদম্য খেলায় মাতোয়ারা হয়েছে, সে আজ আমাদের বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল, এয়ার ভাইস মার্শাল। সত্যিকার অর্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমনটাই স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলা মায়ের দুরন্ত ছেলেরাই হবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় যোদ্ধা। মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীতে বাঙালিদের প্রতি তীব্র বৈষম্য দেখেই বাঙালি জওয়ানদের সর্বোচ্চ পদে অভিষিক্ত করার আকাঙ্ক্ষা জেগেছিল বঙ্গবন্ধুর প্রাণে-মনে, অনুভূতিতে। আজ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন গৌরবময় পদক শোভিত জওয়ান যদি টুঙ্গীপাড়ায় নিভৃত গাঁয়ে চিরনিদ্রায় শুয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে গিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তবে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মা প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। এটাই তো চেয়েছিলেন জাতির পিতা।

বাংলাদেশ স্বাধীন এবং সন্দেহাতীতভাবে শান্তিবাদী দেশ। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথাটিই হলো, বৈরিতা নয়- সহযোগিতাপূর্ণ বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে। এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশও বটে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল আমাদের এই সুশৃঙ্খল ও শক্তিমান সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ধ্যানে-জ্ঞানে লালন করেন এই অবিনাশী উপলব্ধি। তাদের এই মহত্ত্বের বোধ কতটা গভীর ও প্রগাঢ় তা দেশে-বিদেশে সমানভাবে প্রমাণিত। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সৈনিকরা পালন করে যাচ্ছেন অনন্যসাধারণ ভূমিকা।

গত তিরিশ বছর সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশীদার হিসেবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পালন করে আসছে অগ্রগণ্য ভূমিকা। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৫৪টি শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। এ যাবত বিশ্বের ৪০টি দেশে বাংলাদেশের ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৭ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিমিশনে অবদান রেখে বিশ্বসমাজের মুগ্ধদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এক্ষনে আমাদের ৬ হাজার ৫৮২ জন পিসকীপার বিবাদ-বিসম্বাদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত বিভিন্ন দেশে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস। এসব দেশের বেশিরভাগই অবস্থিত আফ্রিকা মহাদেশে। বর্তমানে ৮টি দেশে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছেন। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ আর্মির ভূমিকা আজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালন, জাতিসংঘ নির্ধারিত মান রক্ষা করতে পারা এবং জাতিসংঘ সনদের প্রতি বিশ্বস্ততা বিশ্বসমাজে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদা সমুন্নত করেছে। মজবুত করেছে আস্থার জায়গাটি।  দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার মহৎ সংগ্রামে গত মে মাস পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১৭ জন আত্মোৎসর্গ করেছেন। একই সময়ে কমপক্ষে ২০৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের এই ত্যাগ শান্তিকামী বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

শান্তি মিশনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তারা যেমন দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বপরিমণ্ডলে সমুজ্জ্বল করে চলেছেন, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে রেখে যাচ্ছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রতিবছর তারা দেশের জন্য নিয়ে আসছেন বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। অশান্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশ-বিভূঁইয়ে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তারা নিজেরাও ধনবান হতে পেরেছেন। কোনো অনিয়মের আশ্রয় না নিয়ে কেবল কাজ করেও যে মিলিয়নিয়ার হওয়া যায়, শান্তি মিশনের সদস্যরা তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ।

এদিকে দেশগঠনে সশস্ত্র বাহিনীর অত্যুজ্জ্বল ভূমিকা যে রয়েছে, সে কথা নতুন করে বিশদে বলার দরকার পড়ে না। সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসেতু, আন্ডারপাস নির্মাণে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং করে চলেছে। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল প্রকল্প পুরোটাই উন্নয়ন ও নির্মাণ করেছে আমাদের সেনাবাহিনী। দেশবাসী বিশ্বাস করেন যে, সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে যে কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলোর মান তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো।

অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সময়, দুর্ঘটনাহেতু সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বেসামরিক কর্তৃপক্ষের ডাকে সেনাবাহিনীকে আমরা সবসময়ই দেখেছি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর ত্যাগ ও অবদানের কথা জাতি কখনোই ভুলবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের কাজ প্রথম পর্যায়ে সফলভাবে সম্পন্ন করেন সেনাবাহিনীর আইটি বিভাগের সদস্যরা। এনআইডি চালুকরণ নিঃসন্দেহে জাতীয় জীবনে এক বড় অর্জন। আর এই অর্জনের কৃতিত্ব অবশ্যই সেনাবাহিনীর। সশস্ত্র বাহিনীর নৌ ও বিমানসেনাদের ভূমিকাকেও গৌণ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয় নৌবাহিনীর সদস্যরা আমাদের জলসীমায় কী অসীম সাহস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, সমুদ্রকে রাখছেন নিরাপদ, তা কারো অজানা নয়। সমুদ্রে এবং উপকূলে যখনই আসে বিপদ-বিপর্যয়, তখনই তারা ছুটে আসেন বরাভয় নিয়ে। জ্ঞান, প্রযুক্তি ও মানবিকতার শক্তি নিয়ে তারা এসে পাশে দাঁড়ান বিপন্ন মানুষের।

আজ সুবর্ণ রেখায় বাংলাদেশ। রূপকল্প ’২১ ও উন্নত বাংলাদেশ ’৪১-এর লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি জাতি সর্বাঙ্গীণ প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের। এক অত্যুজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমাদেরকে শঙ্খধ্বনি করে ডাকছে প্রগতি ও সমৃদ্ধির জগতে।

বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, আরো সুসজ্জিত করে তোলার কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ধনেমানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অব্যাহত অবদান রেখে যাবে- এই আস্থা, এই বিশ্বাস দেশবাসীর রয়েছে। এ তো আমাদেরই সশস্ত্র বাহিনী। এই বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল বৈ তো নয়।

 

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads