• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

উন্নয়নের ধারায় সশস্ত্র বাহিনী এখন অনবদ্য

  • সাইদ আরমান
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে। এটি একটি বড় গৌরব। অনেক দেশেই সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ শুরু স্বাধীনতার পর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে প্রথমে সেনাবাহিনী সংগঠিত হয়। পরে অন্য দুটি বাহিনী। তবে ২১ নভেম্বর দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি উজ্জ্বল দিন। সময়ের সঙ্গে দেশের সশস্ত্র বাহিনী অনেক অগ্রগতি করেছে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা পুরোপুরি সংগঠিত ও শক্তিশালী।

এভাবেই সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রমকে মূল্যায়ন করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ। বাংলাদেশের খবরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে কেবল দেশের সেবার জন্য ব্যবহার করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের প্রস্তুত রাখতে হবে।   

এই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে তিনটি বাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধ শুরু করে। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর পাতায় দিনটি একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী একাত্ম হয়ে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দেশীয় মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

তার মতে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস রাষ্ট্র পরিচালনায়ও দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছে। আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা যখন একজন আরেকজনের মুখ দেখাদেখি থেকে বিরত কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কুশল বিনিময় করেছেন। পরে অবশ্য অসুস্থতার কারণে এটিও চলমান থাকেনি। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের এই কুশল বিনিময়ের বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস।

সাবেক এই মেজর জেনারেল মনে করেন, দেশের তিনটি বাহিনী আজ আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামে সজ্জিত। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বেড়েছে, সক্ষমতা বেড়েছে।

আবদুর রশীদ জানান, অনেক সময় অনেকে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এসব ভুল ব্যাখ্যা। সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা আমরা মুক্তিযুদ্ধে দেখেছি। সর্বশেষ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে সৃষ্ট সংকটে তাদের ভূমিকা রাখতে হয়েছে। শুধু এখানেই নয়, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিয়েও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সুনাম কুড়িয়েছে। দেশের বড় উন্নয়ন অবকাঠামো প্রকল্পে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্পে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখন নিয়োজিত রয়েছেন। উন্নয়নের ধারায় সশস্ত্র বাহিনী এখনো অনবদ্য অংশ।

এই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শুধু দেশের ভেতরেই নয়, বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন তাদের শান্তি ও শৃঙ্খলায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে পাশে চায়। এটি কত বড় সম্মানের তা অনুধাবনের বিষয়।

শুধু শান্তি মিশন নয়, অনেক দেশ মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ রয়েছে কি-না সেটি জানতে চায় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, এখন আমাদের নারী সদস্যরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষায় অংশ নিচ্ছেন, গৌরব বয়ে আনছেন।

সাবেক এই মেজর জেনারেল আলাপকালে বলেন, সরকার ফোর্সেস গোল প্রণয়ন করেছে। সেখানে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত কীভাবে অগ্রসর হবে, সংগঠিত হবে সব উঠে এসেছে। কীভাবে এর আধুনিকায়ন কার্যক্রম চলবে তা এই গোলে রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি মূল্যায়নের জায়গায় আমি বলতে চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন সার্বিকভাবে সংগঠিত।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads