• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ইতিহাস

  • বাংলাদেশের খবর
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্ম হয়। ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে ঐতিহাসিক সেক্টর কমান্ডারদের কনফারেন্সের ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশ নৌবাহিনী আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাঙালি অফিসার ও নাবিকরা পশ্চিম পাকিস্তান ত্যাগ করে দেশে এসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠন করেন বলে জানা গেছে।

ভারত থেকে প্রাপ্ত ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ নামের ছোট দুটি গানবোট এবং ৪৯ জন নাবিক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব নাবিক শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ ও গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত হন। পাশাপাশি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে নির্ভীক ডুবুরি দল সমুদ্র ও নদীবন্দরগুলোতে বিধ্বংসী আক্রমণ পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, এতে হানাদার বাহিনীর ২৬টি জাহাজ ধ্বংস হয় ও সমুদ্রপথ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। নৌবাহিনীর অপারেশনের মধ্যে হিরণ পয়েন্টে মাইন আক্রমণ করে ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর। মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌযান ধ্বংস করে ১৯৭১ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর চালনা বন্দরে নৌ হামলা, ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নৌ অভিযান, ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তান নৌঘাঁটি পিএনএস তিতুমীর অভিযান উল্লেখযোগ্য।

মহান মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর দুঃসাহসিক অভিযানে শত্রুপক্ষ নৌপথে দিশেহারা হয়ে পড়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বহুসংখ্যক নৌ সদস্য শাহাদত বরণ করেন। তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ শহীদ রুহুল আমিন, ইআরএ-১-কে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব প্রদান করা হয়। এছাড়া ৫ জনকে বীরউত্তম, ৮ জনকে বীরবিক্রম এবং ৭ জনকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads