• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ক্যাম্পাসের দেয়ালে অপরাজনীতির শোকচিহ্ন

প্রতীকী ছবি

সম্পাদকীয়

ক্যাম্পাসের দেয়ালে অপরাজনীতির শোকচিহ্ন

  • ওমর ফারুক শামীম
  • প্রকাশিত ২৫ নভেম্বর ২০১৯

নারীছেঁড়া ধন হারানোর কষ্ট মানে প্রতিটি নিশ্বাসই বুক মোচড়ানো, অহর্নিশি দুটি চোখ জলে ভিজে ক্ষত হওয়া। আর বুকের ভেতর ব্যথার শূল বিঁধতে বিঁধতে মায়ের ফুসফুসটাই পচে যাওয়া। অকালে সন্তান হারানো মায়েদের কঠিন কষ্টের এই দৃশ্য বাকরুদ্ধ করে দেয়।

দেশের সব মানুষের অনুভূতি হয়তো সমান নয়। তবে যাদের অনুভূতি আমার মতো, কেবল তারাই এ ব্যথাকে অনুভব করে আর কাতরতায় ভোগেন। আবার অনেকে এই শোকের আকাশে আনন্দের পূর্ণিমাও দেখেন। যারা আমার মতো এমন অস্থিরতায় ভোগেন, ভাবেন এবং তাদের অন্তরচক্ষু দিয়ে দেখি-তখন মনে হয় কোটি কোটি চোখের জলে পদ্মা-মেঘনা উপচে পড়ছে। বেদনার জলপ্রপাতে যেন জবুথবু পুরো দেশটাই। এর জন্যই শরতের সাদা মেঘ শোকের কালো ছায়া ফেলে এই আকাশটাকে অন্ধকার করে রেখেছে।

একজন ‘আবরার’ আরেকজন শিশু ‘তুহিন’কে যেভাবে নৃশংসতার বলি হতে হলো তা ভাবাই যায় না। এমন ঘটনা দেশের আনাচে-কানাচে প্রায়শই ঘটছে। দু-চারটে আলোচনায় আসে আর বাকি সব ঘটনার চাপে আড়ালেই থেকে যায়। একটি ঘটনার ক্ষত সারতে না সারতেই আরেকটি ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। তবে আবরারের পর সিলেটের সুনামগঞ্জের দিরাই এলাকায় ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নির্মম ও অবর্ণনীয় ‘তুহিন হত্যাকাণ্ডে’র বীভৎসতা দেখে আমি নিজেকেও অমানুষ মনে করেছিলাম।  কারণ পাঁচ বছরের তুহিনকে তার বাবা ও চাচা যেভাবে মেরে গাছে ছুরিবিদ্ধ করে রেখেছিল, সেই বাপ-চাচাও দেখতে ঠিক আমার মতো মানুষ। এই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের তথ্য দেরিতে উদঘাটন হওয়ায় সংবাদপত্র বা সামাজিক মাধ্যমে তেমন সারা ফেলেনি। ঠিক মানুষের খোলসপরা এই বাবা-চাচা শত্রুপক্ষের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই জঘন্য কাজটি করেছেন খুব স্বাভাবিকভাবে।

অবর্ণনীয় এই নৃশংসতার কথা ভাবতেই শিউরে উঠি। এই ‘তুহিন’ই যে একদিন ‘আবরার’ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বড় ইঞ্জিনিয়ার হতো-আমরা সে বোধোদয় থেকে তুহিনকে মনে রাখিনি। দুটি নির্মম ঘটনা সমসাময়িক হলেও মনে রেখেছি কেবল আবরারকেই। কারণ আবরার দেশের একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র এবং জীবনের একটি গোড়াপত্তনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আবরার জাতীর স্বার্থ ভেবে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেই অপরাধে আবরারকে সহপাঠীরাই নির্মমভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আবার মৃত আবরারকে নিয়ে রাজনীতিও করা যায়। রাজনীতি এবং আন্দোলন হচ্ছে এবং হয়তো আরো হবে। কিন্তু তুহিনের প্রতি ইতিহাসের জঘন্য নির্মমতার কথা আমরা অনেকটা ভুলেই গেছি। তবে আমরা ভুলে গেলেও পাঁচ বছরের আহ্লাদি তুহিনের কথা তার মা কখনোই ভুলবেন না। কারণ এই মায়েরাই সন্তানের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।

অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে চোখ বুলালে মনে হয়, একজন ‘আবরার’ যেন হাজারো আবরারের শোকগাথা হয়ে দেশের বাতাসকে ভারী করে রেখেছে। শোকে কাতর দেশমাতৃকা যেন পাথরের মতো স্থির। ৫৫ হাজার ৫৯৮ বর্গমাইলের দেশটা সাদা কফিনে আবরার হয়ে মুড়িয়ে গেছে। ‘আবরার’ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থের কথা বলেছিলেন। তাই ঘটনাপরবর্তী একজন ‘আবরার’ কোটি কোটি আবরারে পরিণত হয়েছেন।

এই বাঙালি ভুল বুঝে হোক আর শুদ্ধ বুঝেই হোক, ‘আবরার’ হারানোর ব্যথাকে গভীরভাবে আবেগে মাখিয়ে নিয়েছে, তাই আবরার ইস্যুটা হয়ে গেছে বিরাট কিছু। হাজারো ধোয়া-মোছা দিয়ে এই কালো ছাপ পরিষ্কার করা সহজ হবে বলে মনে হয় না। ‘আবরার’ হত্যাকাণ্ডের পর যা দেখেছি, তা হলো প্রতিবাদ, শোক আর আতঙ্ক।

নির্মম এ ঘটনার পর থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠনকে ভয়ানকরূপে দেখতে শুরু করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ আর গণমাধ্যমে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রতিনিয়ত। অথচ এই ছাত্রসংগঠনই একসময় ছিল গৌরব আর সৌরভের।

ঘটনার প্রাসঙ্গিকতায় বলতে হচ্ছে, যে দেশের ডিজিটাল নাগরিকরা সেতু বানাতে মানুষের মাথা লাগবে এই গুজব বিশ্বাস করেন, সে দেশে ভয়ানক কারো হাত থেকে রক্ষা পেতে আতঙ্কিত মানুষ যে পাল্টা আক্রমণেও ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, সে কথাই আমি অনুভব করছি। যেভাবে ছেলেধরা আতঙ্কে নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মূর্খ ডিজিটাল বাঙালি। যদি ওই ছাত্রসংগঠনটি নিয়ে ভয় আর আতঙ্কের মাত্রা এভাবেই বাড়তে থাকে তাহলে ভবিষ্যৎটা কী হতে পারে, ভেবে দেখেছেন একবার? অনেকেই এমন ভাবছেন। তবে কিছুই হবে না। কারণ ওরাই তো এখন ক্ষমতার মালিক ও চালক। আর পাবলিকের মাথা খারাপ হয়নি যে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবে।

তবে ‘আবরার’ হত্যাকাণ্ডের পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের ধরতে যেভাবে তৎপর হয়েছে, তা অতীতে অন্য সব ঘটনায় দেখিনি। যা প্রশংসার দাবি রাখে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একই সময়ে ‘আবরার’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সরকারের ওপর চাপও বেড়েছে। বলতে দ্বিধা নেই, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের দায় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে।

দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতীতেও ছাত্র হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। এসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত দ্বন্দ্বে অনেক মেধাবী চাঁদমুখ আমরা অকালে হারিয়েছি। সাত রাজার ধন, বুকের মানিক ওই চাঁদমুখগুলোকে এখনো দেখা যায়। জানেন ওদের কোথায় দেখা যায়? ওই দেখেন—ওরা যে মাটিতে বেড়ে উঠেছিল, যে ক্যাম্পাসের আলো-ছায়ায় নিজেকে তৈরি করেছে, যে মাঠের কোণে বসে বাবার পাঠানো অল্প কটা টাকার হিসেব করেছিল, মা আর বোনের কথা মনে করে ভেজা চোখটা হাতে মুছে ঘাসের ওপর রেখেছিল; ওদের দেখা যায় সেই ক্যাম্পাসের সীমানার দেয়ালে দেয়ালে। ওদের দেখা যায়— ছোপ-ছোপ দাগ হয়ে থাকা শোকের ক্ষতচিহ্নের মাঝে। এসব শোকের চিহ্ন কেবল ইতিহাসকে কলঙ্কিতই করছে। আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘৃণাস্তম্ভের।

দেশে রাজনীতির নামে প্রতিহিংসার এই নৃশংসতা চলে আসছে বহু বছর ধরেই। এ থেকে বাঁচতে চায় সাধারণ মানুষ। হাতে গোনা কিছু অসাধু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তের কাছে যুগ যুগ ধরে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা এভাবে ভূলুণ্ঠিত হতে পারে না। আমরা এসবের প্রতিকার চাই, গর্জে উঠতে জানি, কিন্তু নিমিষেই আবার ভুলে যাওয়াও যেন আমাদের চিরচেনা স্বভাব। এই স্বভাব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে, নইলে কাদামাটির সোঁদাগন্ধে তিল তিল করে গড়ে তোলা কচি কচি চাঁদমুখগুলোকে আরো হারাতে হবে।

আলোচনায় বৈচিত্র্য আনতে এবার বলছি সমকালীন টক-ঝাল-গরমাগরম রাজনৈতিক ইস্যু প্রসঙ্গে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের শায়েস্তা করার দুঃসাহসী কাজ শুরু করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। বলতে দ্বিধা নেই, তিনি নিজের ঘর থেকেই এই মহতি কাজ শুরু করে দেশবাসীর মনে নতুন আশা জাগিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারের বিপরীতে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় নিজ দলে যে বিকল্পশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বোধকরি তা-ও অনুমান করতে দেরি হয়নি তাঁর।

রাজনৈতিক শুদ্ধাচারের যে স্বপ্নটি তিনি পিতার আদর্শ থেকে মনেপ্রাণে লালন করেছিলেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সেখানেও থমকে গেছেন, বিস্মিত হয়েছেন। এর কারণ দুটি। প্রথমত, আমলাদের শুদ্ধাচারের আওতায় আনতে না পারা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আমলাদের স্বার্থে রাজনৈতিক নেতাদের লোভের জালে ব্যবহার করা। এ ছাড়া নিজ দলে যেসব নেতার সজ্জন ভেবেছিলেন তাদের মধ্যেই গলদ। যার প্রমাণ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য। এককথায় সরষের মধ্যেই ভূত। তাই রাজনৈতিক শুদ্ধতায় প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

অন্যদিকে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সূচকে দেশ এগিয়ে গেলেও সমাজ ও মানবিক উন্নয়নে অবনতি চলছে একাধারে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বিতা বেড়ে চললেও মানুষের মাঝে নৈতিক স্খলন আর অপরাধপ্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন শাখায় অপরাধপ্রবণতা ভিন্ন মাত্রায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে বর্তমানে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ফলে সংঘবদ্ধ আর ক্ষমতাকেন্দ্রিক অপরাধের ঘটনা আগের তুলনায় কমতে শুরু করেছে বলে সাধারণ মানুষ বলাবলি করছেন।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিদিনের বিশেষ বিশেষ নিবন্ধে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় দেখতে পাই, দেশে একধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছে। অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, আবার অনেকে লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড ভোগ করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসবের প্রধান কারণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা। দেশের শাসন ও শৃঙ্খলার কাজে পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকাণ্ডই তৈরি করছে এসব। কিছু মানুষ তুচ্ছ ঘটনাতে আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। তারা মনে করছে বিচারের অপেক্ষা করলে বিচার পাবে না, এজন্য আইনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে নিজের বিচার নিজেই করার চেষ্টা করছে। আর যা হওয়ার তাই হচ্ছে।

আবার ফিরে আসি আবরার ও ছাত্ররাজনীতি প্রসঙ্গে। দেশের ক্রান্তিকালে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছে ছাত্রসমাজের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস। অথচ এই ছাত্রসংগঠনের কিছু কিছু নেতাকর্মী দুর্বৃত্তায়নে জড়িয়ে বড় করছে কলঙ্কের ঘৃণাস্তম্ভকে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে লাশ হয়েছেন ২৪ শিক্ষার্থী। এই ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন, রাজশাহীতে ৫, ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো ৩ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের ১৭টি ঘটেছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে!

দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে এসে কোন্দলের শিকার হয়ে ১০ বছরের ব্যবধানে ২৪ শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু হয়েছে। মনে হয় না পৃথিবীর কোনো দেশের শিক্ষাঙ্গনে এমন নজির আছে। একজন স্বজন হয়ে ভাবতেই বুক ভেঙে যায়— ছোটবেলা থেকে অতিযত্নে লালিত মেধাবী সন্তানটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেই জীবনের পাঠ চুকালেন চরম নৃসংশতার শিকার হয়ে। অদম্য ইচ্ছার দুর্গম যাত্রায় তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বজনের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায় নিমিষেই। এ কেমন ছাত্রদের ছাত্ররাজনীতি! ছাত্রদের এই নৃশংস রাজনীতি, রাজনৈতিক নেতাদের হীন স্বার্থের রাজনীতি এ দেশের কোনো মা-বাবাই চান না।

যে দেশের ছাত্ররাজনীতির বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস আমাদের গর্বিত করে, সে দেশের ছাত্ররাজনীতি হওয়া চাই সার্বজনীন স্বার্থে, আপামর জনতার স্বার্থে, গরিব-দুঃখী মানুষের স্বার্থে। অথচ এই ছাত্ররাজনীতি চলে গেছে এখন সশস্ত্র ক্যাডারদের দখলে। একটি দেশের জন্য, সমাজের জন্য, বিবেকবান মানুষের জন্য ছাত্ররাজনীতির এমন পরিবর্তন বড়ই দুঃখের, কষ্টের। সচেতন দেশবাসী চায়, ছাত্ররাজনীতি গর্বের ইতিহাসকে আরো উজ্জ্বল করবে। ব্যথার শূলে স্বজনের বুক পচে যাওয়া এমন ছাত্ররাজনীতি আমরা আর চাই না, না। কোনোদিন না।

 

লেখক : বার্তা সম্পাদক, দৈনিক বাংলাদেশের খবর

ofshamimbd@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads