• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শাস্তির পাশাপাশি ধর্ষণ রোধে গবেষণা প্রয়োজন

প্রতীকী ছবি

সম্পাদকীয়

শাস্তির পাশাপাশি ধর্ষণ রোধে গবেষণা প্রয়োজন

  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০২০

কবীর চৌধুরী তন্ময়

 

সাম্প্রতিক গণমাধ্যমে কয়েকটি ধর্ষণের প্রতিবেদন চোখে পড়েছে। পড়েছি, বিস্তারিত জানারও চেষ্টা করেছি। তবে সিলেট এমসি কলেজ ধর্ষণকাণ্ড (!) আমাকে ভেতর থেকে যেন হত্যা করেছে। আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে, হচ্ছে। স্বামীর কাছ থেকে তার স্ত্রীকে ছিনতাই করে গণধর্ষণ! তাও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে, যেখানে শিক্ষার্থীকে মানবসেবার দীক্ষা দেওয়া হয়! সেখানকার কতিপয় বখাটে দুর্বৃত্ত এভাবেই জাতির সামনে তাদের ধর্ষকসত্তা তুলে ধরেছে। এরই সঙ্গে যুক্ত হলো নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এখলাসপুরের ঘটনাটি। একজন গৃহবধূকে উলঙ্গ করে কী পাশবিক নির্যাতনের খেলায় মেতেছিল দুর্বৃত্তরা! সময় এসেছে এদের কঠিন থেকে কঠোরতর শাস্তি প্রদানের।

আবার সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রবেশ করার সময় দেখি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়েরকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সাংবাদিকদের সামনে এসে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ প্রশাসনের কাছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এটি জানতে চেয়েছেন। আবার ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগীর ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে নাকি নানাভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে, হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগগুলো তুলে ধরছেন সংবাদকর্মীদের সামনে।

ধর্ষকের পরিচয় ‘ধর্ষক’ এবং সমাজ-রাষ্ট্রের ঘৃণীত অপরাধী। সুতরাং সংঘটিত সব শ্লীলতাহানির বিচার যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ‘ধর্ষকদের’ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। আর এটি রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। ধর্ষণ নির্মূল নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলতে শুনেছি। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ ক্রসফায়ারের পক্ষে মতামত তুলে ধরেছেন আবার অনেকে ধর্ষণকাজে ব্যবহূত পুরুষের বিশেষ অঙ্গহানি করারও পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে আমার পর্যবেক্ষণ, একটা অপরাধের বিচার কাজের ব্যর্থতায় আরেকটি অপরাধ সংঘটিত করতে দেওয়া যাবে না। আবার শুধু পুরুষরাই ধর্ষণ করে— এটিও এককভাবে মনে করলে কিংবা ধর্ষক হিসেবে শুধু পুরুষকেই নির্ণয় করলে দেশ ও জাতির কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। অতএব এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক-সচেতন হতে হবে।

কারণ যৌন নির্যাতন শুধু মেয়ে-নারীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ— এটা কিন্তু নয়। অনেক ছেলে-পুরুষও এই যৌন নির্যাতনের শিকার। হয়তো সামাজিক লজ্জাবোধ থেকে অনেকেই এটা চেপে রাখে। আমাদের সমাজ-রাষ্ট্র বিশেষ করে এই রাষ্ট্রে বসবাস করা কতিপয় ‘হোয়াইট কালার ভদ্রলোক’ উল্টো যৌন নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির ওপর দোষ চাপিয়ে প্রতিবাদকে থামিয়ে দিতে চায়, রোধ করতে চায় ‘কণ্ঠ’। বিতর্কিত করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার হীন ষড়যন্ত্র করে থাকে। যেমন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রীর ধর্ষকদের পক্ষে একদল দুর্বৃত্তের মাঠে-ময়দানে পর্যন্ত মিছিল করার দৃশ্য প্রতীয়মান।

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ‘মি-টু’ আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো তাদের নিজেদের ঘৃণা-কষ্টগুলো নিয়ে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তা ভুলে গেলে চলবে না। শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত যৌন নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনাগুলো আমাদের আধুনিক সভ্যতাকেও মাঝে মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মানব বর্বরতা থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স তথা জ্ঞানী মানুষের আবির্ভাব দুই লক্ষ বছর আগে হলেও মানবসভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছেন আজ থেকে মাত্র পাঁচ হাজার বছর আগে। অভিধানের ভাষায়, সভ্য জাতির জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম ও বিদ্যার অনুশীলনহেতু মন-মগজের উৎকর্ষ সাধন করাই হচ্ছে সভ্যতা। আর মানুষের মন-মগজে কী হচ্ছে— এটি দৃশ্যমান নয়, তবে গবেষণার বিষয়। এই মানুষ তার সকল কাজ সম্পাদন করে থাকে মন-মগজের নির্দেশনা থেকেই।

অনেকের মতে, মানবসভ্যতার শুরুটা ছিল মাতৃতান্ত্রিক। সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে এটি পুরুষতান্ত্রিক হয়ে ওঠে। আর তখন থেকেই একশ্রেণির পুরুষ মনে করে, মেয়ে মানুষ হচ্ছে তাদের অন্য আর দশটা সম্পত্তির মতোই ভোগ্যপণ্য মাত্র। তাই নারীকে যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে ভোগ-বিলাস করার প্রবণতা সৃষ্টি হয় কতিপয় পুরুষের মন-মগজে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ-সভ্যতার দৃষ্টিকোণে ধীরে ধীরে এটি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তখন নারীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। যেমন— শত্রুকে চূড়ান্তভাবে অপমান-অপদস্থ করার একটি অনুষঙ্গ হলো প্রতিপক্ষের মা-বোনদের ধর্ষণ করা। আর এই ধর্ষণ-হত্যার মধ্যেই শত্রুপক্ষের পরাজয় বিবেচনা করা হতো যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখেরও বেশি নারীর সম্ভ্রম বিনাশ করার মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার বাহিনী করেছিল।

মানুষের মন-মগজে এই ধর্ষণের উপস্থিতি কেন বা কী কারণে হয়ে থাকে এটি খুঁজতে গিয়ে দেখি, ধর্ষণ করার প্রবণতায় ‘শিশু’ কিংবা ‘শত বছরের বৃদ্ধা নারী’কেও উপেক্ষা করছে না ‘ধর্ষক’। এ বছরের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শতবর্ষের অন্ধ বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করেছে ১৪ বছরের কিশোর! অন্যদিকে কয়েক মাসের কন্যাসন্তানও ধর্ষকের নোংরা থাবা থেকে রেহায় পায়নি! আবার এই ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ছেলে শিশু পর্যন্ত! মূলত, মন-মগজ দ্বারা পরিচালিত ধর্ষণ প্রবণতা ব্যক্তিবিশেষের ওপর নির্ভর করে, ফলে ঘটছে ধর্ষণের প্রকারভেদ। কখনো কখনো প্রতিশোধপরায়ণ, কখনো সুযোগ পেয়ে, আবার কখনো নিজেই কৌশল নির্ণয় করে ধর্ষণের মতো বর্বরতা করে থাকে।

এখানে বলা যেতে পারে, কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অভিযুক্ত দুই নেতা হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগ নিজেরাই কৌশল নির্ণয়ের মাধ্যমে ‘প্রেমের ফাঁদ’ ও ‘সহযোগিতার আশ্বাস’ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রীর ওপর ধর্ষণের মতো বর্বর কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্যদিকে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্তৃক ধর্ষণকাণ্ডও ঘটেছে ‘সুযোগ পেয়ে’। রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেটের বাইরে বের হলে ‘সুযোগ পেয়ে’ ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় ধর্ষণ করে।

একটু বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ধর্ষকদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ করার পেছনে যে মানসিকতা তার ওপর ভিত্তি করে এই কৌশল নির্ণয় হয়ে থাকে, যেমন— সুবিধাবঞ্চিত পুরুষ, যার কাছে ধর্ষণ একটা অবলম্বন; বিশেষায়িত ধর্ষক যারা শুধু আগ্রাসী যৌনকর্মের মাধ্যমেই যৌন উত্তেজনা পায়; সুযোগসন্ধানী ধর্ষক যারা সবদিক বিবেচনা করে যদি দেখে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই তখনই ধর্ষণ করে; মিলনের তীব্র চাহিদাসম্পন্ন পুরুষ যারা কর্তৃত্বপরায়ণ এবং মনোবিকারগ্রস্ত, যেমন— রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা!

মূলত ধর্ষণ নিয়ে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন আছে। এটি একক কোনো ‘বিন্দু’র ওপর নির্ভরশীল নয়। আবার কোনো একক ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা শ্রেণির মধ্যেও ধর্ষণ মনোভাব সীমাবদ্ধ নয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদরাসার কতিপয় শিক্ষকও আজ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত। আবার মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত বা ধর্মগুরুরাও এই ধর্ষণ কাজের অপরাধ থেকে নিজেদের আজও মুক্ত রাখতে পারেনি। কতিপয় করপোরেট হাউস থেকে মিডিয়া হাউসগুলোও একই অভিযোগে অভিযুক্ত। সাম্প্রতিক ‘মি-টু’র আন্দোলন অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মুখোশ খুলে দিয়েছে।

অপরাধবিজ্ঞানের একাডেমিক আলোচনায় ট্রাভিস হারসি সোম্যাল বন্ডিং তত্ত্বে উল্লেখ করেছেন— পরিবারে বাবা-মায়ের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক, বাবা-মায়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া, সমাজ, রাষ্ট্র এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা, পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটানো, পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, সমাজ ও রাষ্ট্রের রীতিনীতি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন— উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েদের যে কোনো ধরনের প্রথা ও নীতি বিরুদ্ধ কাজকর্ম থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে থাকে।

কিন্তু আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ-সংসারে সন্তানের সামনেই বাবা মাকে প্রহার করছে। অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ শারীরিক নির্যাতনও ঘটে থাকে। পান থেকে চুন খসলেই নারীর ওপর পুরুষের নির্যাতন— এই শিক্ষাটা পরিবার থেকেই প্রথমে পেয়ে আসছে। অন্যদিকে নারীকে কন্ট্রোলে রাখতে হবে, তাদের বুদ্ধি-সুদ্ধি কম, নারী পুরুষের সেবাদাসী, স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত, স্ত্রী থাকার পরেও অন্য নারীর সঙ্গে মেলামেশা, আকার-ইঙ্গিত প্রদর্শন করে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য কথা বলাবলি, একটা নারী গেলে দশটা আসবে, পুরুষের জন্যই নারী, পুরুষ ইচ্ছে করলেই দশটা বিয়ে করতে পারে— এ জাতীয় পারিবারিক কথোপকথন বা কলহের মাঝেই ধীরে ধীরে যে ছেলেটি শিশু-কিশোরের বয়স পেরিয়ে যুবক হয়, তখন তার মাঝে নারীর প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধাবোধ ঠিক তেমনটা প্রতিফলিত দেখা যায় না।

ধর্ষককে ক্রসফায়ার (বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি নিশ্চয় নয়), মৃত্যুদণ্ড, বিশেষ অঙ্গহান িকরলেই যে ধর্ষণ রোধ হবে, এমনটি মনে করা যায় না। কারণ ধর্ষণের অপরাধে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ, গুলি করে হত্যা, ঢিল মেরে মেরে হত্যা, ফাঁসি দিয়ে হত্যার দণ্ড নিশ্চিত করা দেশগুলোতে আজো ধর্ষণ বন্ধ করা যায়নি বা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়নি। তাই বলে বিচারের নামে দীর্ঘ সময় পার করা, রাজনৈতিক নোংরা হস্তক্ষেপ, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। সময়ের প্রয়োজনে আইনের ধারাও পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর চলমান আইনের ১৮০ কার্যদিনের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন ও দৃষ্টান্ত শাস্তি নিশ্চিত করার বার্তা মিডিয়ার মাধ্যমে, আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

ধর্ষণ, হত্যাসহ সামাজিক অবক্ষয় নিয়ন্ত্রণ রোধ করতে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রযন্ত্র ও মিডিয়ার সমন্বয়ে জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারকে কাজে লাগিয়ে পাড়ায়, মহল্লায় যৌন নিপীড়ন ‘সেল’ বা ‘কমিটি’ গঠন করা উচিত। মসজিদগুলোতে প্রতি শুক্রবার খুতবার আগে শিশু-নারী নির্যাতন, ধর্ষণ-হত্যা নিয়ে ইমাম কর্তৃক আলোচনা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মপণ্ডিত দ্বারা উঠান বৈঠকের আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন’ নিয়ে আলোচনা এবং তার বিপরীতে প্রচলিত আইনে কী শাস্তির বিধান আছে— সেসব বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সচেতন-সাবধান করতে হবে।

সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন সেই ২০০৯ সালে। নতুন করে (১০ জুলাই, ২০১৯) শিশু নির্যাতন রোধে  দেশের প্রতিটি স্কুলে অভিযোগ বক্স রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু আমরা কি এটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? ধর্ষণের মতো বর্বরতার হাত থেকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে অপরাধমুক্ত করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের পুরুষদেরই এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের আরো সচেতন, প্রতিবাদমুখর হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে ‘মানুষের বিবেক’ জাগ্রত করার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ নিশ্চিত করতে পরিবার থেকে রাষ্ট্রকে গবেষণা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)

kabirchowdhurytanmoy@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads