• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ

শিক্ষা ও শিখন পদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা

  • মাছুম বিল্লাহ
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০২০

ঢাকা মেগাসিটি যেমন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এবং বেড়ে উঠছে, একইভাবে এই শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও  গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। শুধু ধানমন্ডিতেই গড়ে উঠেছে ২১টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। বনানীতে রয়েছে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। এভাবে ঢাকা সিটির প্রায় সর্বত্রই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; কিন্তু শিক্ষার প্রকৃত পরিবেশ সেই অর্থে কোথাও সেরকম নেই। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা হয়েছে মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রাম থেকে শুরু করে ঢাকা সিটি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যাযের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলো শহরকেন্দ্রিক। ঢাকা সিটির আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে প্রচুর অভাব। যদিও এটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যে ঢাকা সিটির জনসংখ্যা অনুপাতে, এলাকাভেদে কোথায় কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা এবং সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান বণ্টন করা। তবে এটি সম্ভব হচ্ছে না, কারণ জনসংখ্যার আধিক্য, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, সবকিছু ঢাকায় কেন্দ্রীভূত থাকা। এ সিটির অনেক কিছুর ওপরই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এসব ক্ষেত্রে কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যেমন— সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও কলেজ। একইভাবে গড়ে উঠেছে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে যখন দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, সরকার তখন টিভির মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এ টু আই-য়ের নেতৃত্বে টিভি ক্লাস রেকর্ডিং শুরু হয়। প্রথমত ব্যানবেইস স্টুডিও, ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ স্টুডিওতে এবং টেন মিনিটস স্কুল স্টুডিওতে ক্লাস রেকর্ডিং শুরু হয়। মূলত সেই সূত্র ধরেই ক্যামব্রিয়ানের ভেতর-বাহির দেখার সুযোগ হয় বেশি। এর আগে ক্যামব্রিয়ানের বারিধারা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিলাম। একবার সেখানকার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেখার জন্য দাওয়াত পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার সপ্তাহ দুয়েক ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ অনেকটাই নিবিড়ভাবে দেখার সুযোগ হয়েছে। ক্যামব্রিয়ানের স্টুডিও দেখে আমি অবাক। প্রতিটি ক্লাসরুমই দেখলাম একটি স্টুডিও। আমরা ডিজিটাইজেশনের কথা বলি কিন্তু ডিজিটাইজেশনের হয়তো শুধু ‘ডি’ সেখানে উপস্থিত থাকে। বাকি কিছুই না। যেমন— শিক্ষকদের ডিভাইসগুলো ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ ও পারঙ্গমতা নেই, অভ্যাস নেই, ক্লাসরুমে কম্পিউটার নেই, কম্পিউটার আছে তো বাকি ডিভাইসের খবর নেই। কিন্তু ক্যামব্রিয়ান একটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান। অথচ এখানকার প্রতিটি রুম আসলেই ডিজিটাইজেশন করা যা আমাকে অবাক করেছে।

আমাকে আরেকটি বিষয় অবাক করেছে। সেটি হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের আতিথেয়তা। প্রতিদিন শিক্ষক, প্রশাসক, ক্যামেরাম্যানসহ সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও টেকনিশিয়ান মিলে প্রায় শ’ খানেক লোকের প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, বিকেলের নাস্তাসহ সারাদিন চায়ের ব্যবস্থা এই প্রতিষ্ঠান থেকেই করা হয়েছিল। কোনো ধরনের ফি কিংবা বিল কাউকে দিতে হয়নি। আরেকটি বিষয় দেখলাম, ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষকরা নিজেরা অনলাইনে ক্লাস করে দু’একটি প্রাইভেট চ্যানেলে সেগুলো প্রকাশ করছেন। দেশে তো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অথচ কাউকেই আমরা দেখিনি যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় কোনো মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে কিছু করে। তাছাড়া ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের জন্য এ টু আই, ব্র্যাক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিষয়ভিত্তিক  শিক্ষকদের নিয়ে আসতো। লকডাউনের সময় ঢাকার দূর প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা আসতে চাইতেন না। ক্যামব্রিয়ান থেকে বলা হলো, কোনো শিক্ষক না পাওয়া গেলে তাদের শিক্ষকরাই যে কোনো বিষয়ের ক্লাস করে দেবেন। দেখলাম, এ ধরনের অবস্থায় সেখানকার শিক্ষকরা ক্লাস করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তারা আগে থেকেই এসব ডিভাইসের সঙ্গে বেশ পরিচিত। এটি তো কম কথা নয়।

ক্যামব্রিয়ান স্কুলগুলো প্রধানত ভাড়াকরা বাড়িতে অবস্থিত। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকার কথা সাধারণত উন্মুক্ত স্থানে যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত করতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। কিন্তু ঢাকা সিটিতে কি আমরা সেটি আশা করতে পারি? মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা কিংবা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান— উদ্দেশ্য যা-ই থাকুক না কেন, ভাড়া করা বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট ভাড়া করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করার দায় আমরা প্রতিষ্ঠাতাদের ওপর বর্তাতে পারি না। কারণ ঢাকা সিটির যে বাস্তবতা তাতে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন; কিন্তু নেই প্রয়োজনীয় জায়গা। তাই বিকল্প এই পদ্ধতিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে হচ্ছে। তবে শিশুরা, শিক্ষার্থীরা যাতে একটু খোলা জায়গায় খেলাধুলা করতে পারে, ঘোরাফেরা করতে পারে— সে ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজে বিএনসিসি, স্কাউটিং ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট ক্যাম্পাস এটি এবং কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ১০:১, দুর্বল শিক্ষার্থীর জন্য স্পেশাল সুপারভাইজারি প্রোগ্রাম, স্মার্টবোর্ডসহ আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার, প্রতিটি ক্লাসরুম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলে খরচ একটু বেশি হওয়ারই কথা।

আমি এখনকার বেশকিছু ইন-সার্ভিস শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি, দেখলাম সবাই প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাতার সুনামই করছেন। আমরা যে যেখানেই কাজ করি না কেন, নিজ  প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলার একটি অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। অথচ এখানকার কোনো শিক্ষককে দেখলাম না যে, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এটিও তো এক ধরনের ব্যতিক্রম। যারা আগে এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি, সেখানে একজন শিক্ষককে প্রচুর কাজ করতে হয়। এমনকি বন্ধের দিনও করতে হয়, হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা দেখতে হয়। এসব কারণে কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু এটিকে কি আমরা নেগেটিভ বলতে পারি? আমাদের দেশে কয়টি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানকার শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের বন্ধের দিনও কাজ করতে হয়। তবে কাজ অনুযায়ী নাকি ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষকদের বেতন কম। সেই বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে। এখানকার পাঠদান সম্পর্কে যতটা জেনেছি— প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে, সৃজনশীল পদ্ধতির যথাযথ অনুসরণ করানো হয় অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকমণ্ডলীর দ্বারা, বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভার্সনই আছে এখানে। আছে গাইড ও শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, নিয়মিত অভিভাবক সভা। এটি প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক ও যোগাযোগে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, নিঃসন্দেহে।

তবে ক্যামব্রিয়ানের একটি কমার্শিয়াল দিক হচ্ছে, প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া। এত বেশি পরিমাণে বিজ্ঞাপন কোনো প্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কে প্রশ্নের উদ্রেক করে। যেসব প্রতিষ্ঠান একবার দাঁড়িয়ে গেছে সেগুলোর আর বিজ্ঞাপন প্রয়োজন হয় না। কারণ ওইসব প্রতিষ্ঠানে বরং শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য ভিড় জমায়। তারাই খুঁজে বের করে কোন প্রতিষ্ঠানটি ভালো আর কোনটি তাদের সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠানের তো এত প্রয়োজন নেই নিজেকে জাহির করার। ক্যামব্রিয়ান সেই কাজটি করছে অর্থাৎ নিজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছে অনেকটা। দেয়ালে, রাস্তা থেকে শুরু করে পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সর্বত্রই ক্যামব্রিয়ানের বিজ্ঞাপন। আমরা এ ধরনের বিজ্ঞাপন কি নটর ডেম, ভিকারুন নিসা ও রাজউক কলেজে দেখতে পাই? পাই না। ক্যামব্রিয়ানের ক্ষেত্রে আমরা এটি দেখে থাকি যা কিছুটা দৃষ্টিকটু মনে হয়।

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ নিজস্ব জমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা সিটিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি আছে কি? জমি নেই কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন আছে। সরকার জনসংখ্যা অনুপাতে, এলাকা অনুপাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ছে না। যেসব ব্যক্তি শিক্ষার জন্য কিছু করতে চান তারা তো কিছু করবেনই। এর পেছনে যদি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকে, থাকতে পারে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে রাষ্ট্রই তো সহযোগিতা দিচ্ছে। যেমন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে, শুধু ব্যক্তি কিংবা পার্টি বিবেচনায়। ফলে তারা শুধু ব্যবসাই করছে। তা-ই যদি হয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে, তাহলে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে হবে না কেন?

ক্যামব্রিয়ানের মালিক/প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে দু-একটি পত্রিকায় বলা হয় যে, তিনি একজন আদম ব্যাপারী। তিনি বিদেশে ছাত্রছাত্রী পাঠিয়ে থাকেন, এটি আমরা জানি। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে তার প্রতিষ্ঠান কাজ করে। কিন্তু আদমব্যাপারী যে অর্থে তাকে বলা হয়, ব্যাপারটি সেটি নয়। অসহায় বেকার ছেলেমেয়েদের বিদেশে চাকরির কথা বলে ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্ট করা কিছু কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান বিদেশে লোক পাঠিয়ে থাকে। তারা দালালদের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে  আদমব্যাপারী বলা হয়। আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় লাখ খানেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করতে যায়। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে চলে যায়। বাকিরা কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে যায়। ক্যামব্রিয়ানের প্রতিষ্ঠাতা বিদেশে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সহায়তা করেন। সেটি তো ঠিক ‘আদমব্যাপারী’ অর্থে নয়। দেশের শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসগুলোতে ঘুষ দিয়ে অনেকেই অনেক অবৈধ কাজ করিয়ে নেন। আমাদের দেশে এসব ক্ষেত্রে যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ইচ্ছাকৃত সমস্যা সরকারি অফিস-আদালতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে, তার পেছনে উদ্দেশ্য তো ওই টাকা কামানো। সেখানে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করিয়ে ঘুষ দেয়, তাহলে  কি আমরা এ প্রতিষ্ঠানটিকে দোষ দিতে পারি? এই ব্যাপারটি দেশের হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের— কারণ তাদেরকে সরকারি অফিসে ঘুষ দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয়। ক্যামব্রিয়ানের ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটেছে কিনা আমি জানি না, তবে যদি ঘটে থাকে, সেটি নিয়ে আমরা ক্যামব্রিয়ানের সমালোচনা করব নাকি ওই সরকারি অফিসের?

 

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

masumbillah65@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads