• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

আর কতকাল আমরা শিক্ষানবিশ থাকব

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর ২০২০

আমাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক কাদা ছোড়াছঁড়ি বা দোষারোপের প্রবণতা নতুন নয়। যে কোনো ঘটনায় দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ, কটাক্ষ, উচিত-অনুচিত সমালোচনায় লিপ্ত হয়ে থাকে। সম্প্রতি সমাপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সেই একই প্রবণতার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যাচ্ছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অনেক কিছু শেখার আছে। অপরদিকে গত ২০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেছেন, ‘আমেরিকার নির্বাচন থেকে বিএনপিরও অনেক কিছু শেখার আছে।’ তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে তাদের যে দলগত ভূমিকা জনগণ আশা করে, তা থেকে বিএনপি অনেক দূরে আছে।’ আর একই দিনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আজকে রাজনীতি করার জন্য যদি মানুষকে গুম হতে হয়, ভিন্নমত পোষণ করার জন্য যদি গুম হতে হয়, তা হলে এ দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বাস্তবতা হচ্ছে, এ দেশে প্রকৃত অর্থে কোনো নির্বাচনই হয় না।’

বিএনপি মহাসচিবের কথাকে আমলে নিলে প্রশ্ন ওঠে, দেশে যদি প্রকৃত অর্থে কোনো নির্বাচনই না হয়, তাহলে তারা সেগুলোতে অংশ নিচ্ছেন কেন? ‘অর্থহীন’ (তার ভাষায়) কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার পর তার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রশ্ন তোলা কতটা যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্ন তোলাই যায়। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, সে পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রশ্ন তোলা নিশ্চয়ই অসঙ্গত হবে না যে, সে সুযোগ প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কতটা পাচ্ছে। এটা অনস্বীকার্য যে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরকার ও বিরোধী দলের দায়িত্ব প্রায় সমান। পার্থক্য ক্ষমতাসীন দলের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার থাকে, আর বিরোধী দলের হাতে থাকে সরকারকে সোজা পথে চলতে বাধ্য করার হাতিয়ার। সরকারের ভুলত্রুটির যৌক্তিক সমালোচনা, সেই পরিপ্রেক্ষিতে জনমত সংগঠিত করা এবং চাপ সৃষ্টি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকারকে সহযোগিতা করা বিরোধী দলের দায়িত্ব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের দেশে রাজনীতির এই চিরায়ত সত্যের অনুপস্থিতি প্রকটভাবে লক্ষণীয়। এখানে সরকারি দলের মনোভাব হলো, আমরা যেহেতু সরকারে আছি, তাই যা খুশি তা করতে পারি এবং আমরা যা করব, সবাই তা মেনে নিতে বাধ্য। অন্যদিকে বিরোধী দলের মনোভাব হলো, তাদের কাজ হলো সরকারের সব কাজের হক-নাহক সমালোচনা করা, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দলীয় স্বার্থ হাসিলে তৎপর থাকা। সরকারি ও বিরোধী দলের এই মনোবৃত্তি শুধু আজকের নয়, স্বাধীনতার পর গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই এর যথার্থতা গোচরে আসবে। বাস্তবতার নিরিখে এটা বলা বোধকরি অসঙ্গত হবে না যে, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যতটা তাদের দলীয় স্বার্থের প্রতি যত্নবান, জনগণের স্বার্থের প্রতি ততটাই উদাসীন। আর তাদের এই উদাসীনতা আমাদের জাতীয় জীবনে বিভিন্ন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনার জন্ম দিয়েছে; যার ফলে আমরা বারবার পিছিয়েছি সামনে যাবার বদলে।

আমরা স্বাধীন হয়েছি পঞ্চাশ বছর হতে চলেছে। এই অর্ধশত বছর বয়সে এসে যদি নেতাদের মুখে শুনতে হয়, ভিনদেশের কাছ থেকে আমাদের রাজনীতি, গণতন্ত্র বা নির্বাচন সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু শেখার আছে, তখন স্বভাবতই কুণ্ঠায় হূদয়টা কুঞ্চিত হয়। না, আমি এটা বলছি না যে, বিদেশের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছুই নেই বা দরকার নেই। আমরা সেটাই শিখব যেটা আমাদের জানা নেই বা জানায় ঘাটতি আছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উন্নত বিশ্ব থেকে আমাদের শেখার আছে, শিখতে হয়। তাই বলে যে বিষয়টির চর্চা আমরা শতাব্দী কাল ধরে করে আসছি, সেই রাজনীতির পাঠ  যদি এখনো বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিতে হয়, তাহলে তা কি দুর্ভাগ্যজনক নয়? বোধকরি রাজনৈতিক নেতাদের এই বিদেশি শিক্ষার প্রতি দুর্বলতা বা আগ্রহের বিষয়টি বুঝতে পেরেই আমাদের আমলারা পুকুর কাটা, খিচুড়ি রান্না বা ঘাস চাষের মতো বিষয়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী হয়ে থাকবেন। এরপর যদি খবর বেরোয় যে, থালা-বাসন পরিষ্কার করার প্রশিক্ষণ নিতে আমলারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

একটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে সুস্থ করে তোলা বা সুস্থ রাখার বিষয়ে সে দেশের রাজনৈতিক দলের ভূমিকার কথা নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। রাজনীতি যে শুধু ক্ষমতায় যাবার প্রক্রিয়া নয়, এর বাইরেও যে এর অনেক ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুযোগ কেন, দায়িত্ব রয়েছে। একটি জাতি যখন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পড়ে, তখন তা থেকে উত্তরণের প্রধান দায়িত্ব সরকারের। পাশাপশি বিরোধী দলের দায়িত্বও কম নয়। কেননা দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য অর্থাৎ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ওই সময়ে বিরোধী দল যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকে, কিংবা শুধু সরকারের সমালোচনায় ব্যাপৃত থাকে, তাহলে সে দুর্যোগ মোকাবিলা অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সরকার এবং বিরোধী দল যদি একমত না হয়, তাহলে জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না। কেননা দেশবাসী দুই শিবিরে বিভক্ত থাকে। তাই তাদের একতাবদ্ধ করা সরকারি এবং বিরোধী দল উভয়ের দায়িত্ব।

একটি দেশের জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যেমন জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করে, তেমনি জনগণও তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করে সে কাজে সহায়তা করবে। সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে জনগণ যদি নির্বিকার বসে থাকে, তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া দূর-অস্তই থেকে যায়। একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার জনগণকে বাদ দিয়ে চলতে পারে না। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের আগে জনগণের প্রত্যাশার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। তেমনি বিরোধী দলও জনগণের একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই তাদেরও কর্মকাণ্ড পরিচালনার সময় জনগণের চাহিদা-অনীহার প্রতি খেয়াল রাখা আবশ্যক। একটি দেশের সরকার তখনই জনপ্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে ওঠে, যখন সে দেশের জনগণ রাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়ায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়, ওতপ্রোত জড়িত থাকে। আঠারো শতকের বিশ্বখ্যাত দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, নীতিতত্ত্ববিদ, রাজনৈতিক চিন্তাবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল তার  ‘জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার’ গ্রন্থে (Representative Government, প্রকাশ ১৮৬১ খ্রি.) লিখেছেন, ‘যেখানে মানুষের সাধারণ প্রকৃতি হচ্ছে শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির পথটা দেখা, আর সর্বসাধারণের স্বার্থের বিষয়গুলোতে কোনো আগ্রহ বা চেষ্টা না দেখানো, সেখানে উত্তম সরকার অসম্ভব।’ একই গ্রন্থের অন্যত্র তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষের সদ্গুণ আর বুদ্ধিই হচ্ছে উত্তম সরকারের প্রথম উপাদান। কাজেই যে কোনো সরকারের উৎকর্ষের মাপকাঠি হচ্ছে, জনসাধারণের মধ্যে তার সদ্গুণ ও বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির ক্ষমতা। কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সম্বন্ধে প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সে প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের মধ্যে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলি কতদূর সৃষ্টি করতে পারে। বেনথাম একে বলেছেন নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক আর সক্রিয় গুণাবলি। এ কাজ যে সরকার খুব  ভালোভাবে করে, তার সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়।

জন স্টুয়ার্ট মিল এখানে উত্তম সরকারের কথা বলেছেন। তিনি এটা পরিষ্কার করেই বলেছেন যে, রাজনৈতিক বিষয়ে জনগণের সচেতনতা ও সক্রিয়তার মধ্যেই উত্তম সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নির্ভর করে। তিনি উত্তম সরকারের কথা বললেও উত্তম বিরোধী দলের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে রাজনৈতিক দল সম্বন্ধে আলোচনায় অবশ্যাম্ভাবী রূপেই  বিরোধী দলের বিষয়টি চলে আসে। কেননা আজকের বিরোধী দল আগামীকালের সরকার। তাই জনগণকে রাজনীতি সম্বন্ধে, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া-পদ্ধতি সম্বন্ধে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব বিরোধী দলেরও রয়েছে। কিন্তু আমরা তা দেখি না। তারা কোনো পক্ষই এ ব্যাপারে তেমন মাথা ঘামান না। সরকার জনগণকে অন্ধকারে রেখে তার ক্রিয়া-কাণ্ড চালাতে বেশি স্বস্তিবোধ করে, আর বিরোধী দল মনে করে, জনগণ সরকারের প্রতি রুষ্ট হলে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফল লাভের পথ সুগম হবে। তাই তারাও জাতীয় স্বার্থ এবং তা রক্ষায় জনগণকে সচেতন করার গরজ অনুভব করেন না। কেননা তাদের ভাবনা হলো,  ক্ষমতায় গেলে তারাও একইভাবে জনগণকে অন্ধকারে রেখে নিজস্ব কাজকর্ম চালাবে। এর ফলে দেশের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক ধরনের অস্বভাবিক পরিবেশ। আর তার অনিবার্য পরিণতিতে সুশাসন দূরীভূত হয়।

এটা অস্বীকার করা যাবে না যে, আমাদের দেশের জনগণ এখন রাজনীতি থেকে প্রকারান্তরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা রাজনীতির বিষয়ে এখন আর তেমন আগ্রহবোধ করেন না।  রাজনীতিকে তারা মনে করেন কতিপয় ব্যক্তির বিত্তবৈভব গড়ার কসরত। রাজনীতি যে গণমানুষের হিতকার্যের প্রধান বাহন তা এখন আর তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির পেছনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি যে প্রধানত দায়ী সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিকদের কোটারি স্বার্থ রক্ষার নীতি দেখতে দেখতে ‘রাজনীতি আমাদের জন্য নয়’ এমন ধারণায় বদ্ধমূল হয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের বর্তমান রাজনীতিকরা রাজনীতির মূলমন্ত্রটাই আত্মস্থ্থ করতে পারেননি। তারা জনকল্যাণ নয়, নিজেদের ব্যক্তিগত কিংবা দলগত স্বার্থ সংরক্ষণেই অতিমাত্রায় মনোযোগী। তারা এখন একে অপরকে বিদেশিদের কাছ থেকে রাজনীতি শিখতে বলেন। অথচ আমাদের যারা রাজনৈতিক পূর্বপুরুষ, তাদের কাছ থেকে তারা কিছু শিখেছেন কি? শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের রাজনীতির প্রবাদপুরুষ, প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা কি রাজনীতিকে কখনো ব্যক্তিগত লাভালাভের বিষয় হিসেবে দেখেছেন? না, তারা রাজনীতি করেছেন দেশ ও জনগণের অধিকার আদায়, তাদের ভাগ্যোন্নয়নে অবদান রাখার নিমিত্তে। আমাদের রাজনীতিকরা নিজেদের তাদের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার কতটুকু স্বাক্ষর তারা রাখতে পারছেন, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। 

সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, আজ আমাদের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকরা একে অপরকে বিদেশিদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলেন। অথচ এক সময় আমরা অন্যদের অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। মাতৃভাষার মর্যাদা জীবন দিয়ে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, তা এ দেশের মানুষ দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে। খালি হাতে শুরু করে একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে কীভাবে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়, সে ইতিহাস তো আমরাই সৃষ্টি করেছি। ভাষাপ্রেম, দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উদাহরণযোগ্য। ভিনদেশিদেরই তো আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার কথা আছে। পরিতাপের বিষয়, আমরা সে শিক্ষক হতে পারিনি। কবি সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মতো এখনো ছাত্রই রয়ে গেলাম। সে কবিতার শেষ দুটি লাইন— ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র,/নানাভাবে নানান জিনিস শিখছি দিবা-রাত্র।’ প্রশ্ন হলো, আমাদের রাজনীতিকরা বিশ্বরাজনীতির পাঠশালায় আমাদের আর কতদিন ছাত্র বানিয়ে রাখবেন?

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

mohon7002@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads