• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

নিজ বাসভূমে সেই চরণধ্বনি

  • মামুন মুস্তাফা
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০২১

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ— এই তিন সত্তায় যে নামটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সেই নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার আপামর মানুষের হূৎস্পন্দন। তাঁকে ছাড়া তৎকালীন পূর্ববাংলার স্বাধীনতা ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু তাঁর চলার পথটি কখনোই ছিল না কুসুমাস্তীর্ণ। কীভাবে তিনি হয়ে উঠলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা! বিষয়টির গভীরে যেতে হলে ফিরে তাকাতে হয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে খণ্ডিত ভারতবর্ষের দিকে। যদিও অনেকেই বলবেন তখন বঙ্গবন্ধুও কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেছেন- ‘লড় কেলেঙ্গে পাকিস্তান’। তখন ওটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু ১৯৪৭ যে বিভেদ রেখা টেনে দিল, সেখানে বারোশ মাইলের ব্যবধানে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তান তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানকে কেবল শোষণই করতে লাগল তার আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মনোভূমিতে। তখনই হিমালয়ের মতো বাধা হয়ে দাঁড়ান বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। 

সাতচল্লিশের দেশভাগের শেকড়বিচ্যুতি থেকে উত্তরণের পথে যখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী, সাথে এ দেশীয় দোসর তখন বাঙালির সামাজিক ও রাজনৈতিক চরিত্রে অব্যবস্থা, লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মান্ধ জাতীয়তা এবং পরবর্তীকালে সামরিক শাসনের জাঁতাকলে মধ্যবিত্তের বিকাশের ধীর, সুষ্ঠু ও আত্মপ্রত্যয়ী ধারাটিকে ক্রমান্বয়ে নিষ্ক্রিয় করে তোলে। সে সময়কার পাকিস্তান শাসনযন্ত্রে যে ফ্যাসিবাদী স্বেচ্ছাচারের প্রকাশ ঘটে তার অনুরূপ চরিত্রের প্রতিফলন ঘটে সে সময়ের বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। সেই প্রেক্ষাপটে একজন নেতার খুব প্রয়োজন ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান সেই নাম, যিনি বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন বাঙালির মর্মব্যথা, হয়তো কথাও। আর তাই বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই বলা সম্ভব ছিল, ‘আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, সামরিক শাসক আইয়ুবের বেসিক ডেমোক্রেসি, ৬ দফা, ১১ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা— এসব কিছুর সূচ্যগ্র ভেদ করে বাঙালির বিশ্বাসের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমান এগিয়ে গেলেন বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায়। সুতরাং এ সময়ে রাষ্ট্রচরিত্রে যে নৈরাজ্য ও অবক্ষয়, আবিলতা ও অশ্রু— এ সমস্ত কিছু ঠাঁই করে নিয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ও তার মানসচারিত্র্যে। তারই প্রতিফলন ঘটে শেখ মুজিবুর রহমানের সমস্ত অবয়বে। তাঁকে কেন্দ্র করে কবি নির্মলেন্দু গুণ কবিতায় উচ্চারণ করেন— ‘আমি যখন বাড়িতে পৌঁছলুম তখন দুপুর,/...কেউ চিনতে পারেনি আমাকে,/...বারহাট্টায় নেমেই রফিজের স্টলে চা খেয়েছি,/অথচ কী আশ্চর্য, পুনর্বার চিনি দিতে এসেও/রফিজ আমাকে চিনলো না।/...আমি যখন গ্রামে পৌঁছলুম তখন দুপুর,/...খবর পেয়ে যশমাধব থেকে আসবে ন্যাপকর্মী ইয়াসিন,/তিন মাইল বিষ্টির পথ হেঁটে রসুলপুর থেকে আসবে আদিত্য।/রাত্রে মারাত্মক অস্ত্র হাতে নিয়ে আমতলা থেকে আসবে আব্বাস।/ওরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞেস করবে ঢাকার খবর :/ —আমাদের ভবিষ্যৎ কী?/ —আইয়ুব খান এখন কোথায়?/ —শেখ মুজিব কি ভুল করছেন?/ —আমার নামে কতদিন আর এরকম হুলিয়া ঝুলবে?/...কণ্ঠ থেকে অক্ষম বাসনার জ্বালা মুছে নিয়ে বলবো :/‘আমি এসবের কিছুই জানি না,/আমি এসবের কিছুই বুঝি না’।’     

সেই বিপন্ন সময়ে যেভাবে নেমে এসেছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবদমন, তার পাশাপাশি বাঙালিকে লড়তে হয়েছিল তার ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির জন্য। আর সেই লড়াই চূড়ান্ত লড়াইয়ে পরিণত হলো মুক্তির সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের বীভৎসতা বাংলাদেশের মানুষের ভাবনায় ছিল না, নিরস্ত্র বাঙালির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলো। নয় মাসের দীর্ঘ মুক্তির যুদ্ধে বাংলাদেশ শুধু যে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো তাই নয়, অনেক প্রাণহানি, নারীর সম্ভ্রম হারানোর পাশাপাশি জন্ম নিল অনেক যুদ্ধশিশু এবং জাতিকে মেধাশূন্য করা হলো সুপরিকল্পিতভাবে। কিন্তু এসবের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তাই বাঙালির বীর মহাকালের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমান বন্দি হলেন ঠিকই, মৃত্যুভয়ে ভীত ছিলেন না। তাই তো ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনের ভেতর দিয়ে বাঙালির সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জিত হলো।

কিন্তু তাঁর মুক্তির ক্ষণটিও ছিল উদ্বেগের, উৎকণ্ঠার ও অপেক্ষার। তখনো আমাদের নিজস্ব বেতার ছিল না। ভরসা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, তার শব্দ যোদ্ধারা তখনো ফিরে আসেননি। মুজিবনগর সরকারও নয়। বাংলার আপামর জনতা ট্রানজিস্টারের নব ঘুরিয়ে আকাশবাণী অথবা রেডিও ওয়াশিংটনের বাংলা খবর শুনতে ব্যাকুল। শুধু একটি সংবাদের জন্যে— কেমন আছেন শেখ সাহেব! কখন ফিরে আসবেন তিনি তার প্রিয় বাংলার জমিনে, বাংলার মানুষের কাছে? মুজিবনগর সরকার ২২ ডিসেম্বর ঢাকার বুকে পা রাখে। মুক্তিবাহিনী তখনো মাঠে। বেঁচে থাকা স্বজনের কাছে ফিরে যাওয়া হয়নি তখনো তাদের অনেকের। দেশে তখন মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা টহল দিয়ে চলেছে। সেই আনন্দ আর উৎকণ্ঠা মিশ্রিত সময়ে ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ মুজিবকে মুক্ত করতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। ওই চাপ পাকিস্তান সহ্য করতে না পেরে অবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিয়ে বিমানে তুলে দিলেন। জাতির পিতাকে বহনকৃত বিমানটি সর্বপ্রথম লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

লন্ডনের হোটেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জনাকীর্ণ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ এক অমোচনীয় বাস্তবতা। আমার দেশের মানুষ যারা লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছেন, তারা আমাকে তাদের প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন। আমি তখন ফাঁসির আদেশ কাঁধে নিয়ে কারাগারে বন্দি ছিলাম। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ভারত, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহের প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানান তিনি ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ  বিশ্বের যেসব দেশ ও জাতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে, তাদের প্রতি। এমনকি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের প্রতিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভুল করেননি। বাস্তবিকপক্ষে লন্ডনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাটি ছিল যথার্থই রাষ্ট্রনায়কোচিত। স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর কূটনৈতিক জয়যাত্রার বীজ বুনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু দেশের মাটিতে পা দেওয়ার আগেই। তাঁর দৃঢ়চেতা দূরদর্শিতার কারণে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের অব্যবহিত পরে মিত্র বাহিনী বাংলার মাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।

আজ আমরা সেই সুস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে, যখন জাতি হিসেবে আমরা পালন করতে যাচ্ছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আর একই সঙ্গে উদ্যাপন করছি আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। যা ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে দেশে-বিদেশে। জাতির পিতার সারা জীবনের কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই, তিনি কখনো ক্ষমতার পেছনে দৌড়াননি। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। আর তাতে অবিচল থেকে তিনি সমসাময়কি আরো অনেক বড় রাজনীতীবিদকে ছাড়িয়ে হয়ে উঠছেলিনে বাঙালরি অবিসংবাদিত নেতা। আর এ কারণেই বিশ্বনেতৃবৃন্দ এবং বিদেশি সংবাদমাধ্যমও জাতির পিতার সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের গুণকীর্তন না করে পারেনি। কিউবার প্রখ্যাত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকে বলতে শুনি, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ নিউজ উইক বঙ্গবন্ধুকে উল্লেখ করেছিল ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ নামে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকা মন্তব্য করেছিল, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনোই জন্ম নিত না।’

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণার পর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। রক্তগঙ্গায় ভিজে ওঠে বাংলার মাটি। বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে। কিন্তু জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে বাংলার স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে উদিত হয় নতুন দেশ— বাংলাদেশ।

বাঙালির মহানায়ক ফিরে এসেই দেশ গড়ার যে রূপরেখা দিলেন, সেখানে মা-মাটি-মানুষের নিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার আখরে বাংলাদেশের আপামর মানুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীনতার যে বীজমন্ত্র হূদয়ে ধারণ করেছিল তার বিনাশ অতি দ্রুত যেন ঘটতে থাকে কিছু পরাজিত মুখোশের ছদ্মাবরণে। যখন দেখি রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরেই দানা বাঁধে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ক্রমবিলীয়মান রূপ, স্বৈরতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা এবং অপারেশন থিয়েটারে কাটাছেঁড়ার মতো ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে যে যার মতো সংবিধানকে করল ক্ষতবিক্ষত। অথচ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বলি হতে হলো ধর্মান্ধ মুসলমান নামের নরপিশাচদের হাতে সংখ্যালঘু অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সাথে উদার মুক্তমনা মুসলমান সম্প্রদায়কেও।

কিন্তু আজ আমরা সেসব অন্ধকারকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছি। আর এটি সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে। জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত। আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে এখন প্রয়োজন তারুণ্যের শক্তি। যে তরুণের রক্তশোণিত বেয়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সেই বিজয়ধারা সমুন্নত রাখতে আজ নতুন প্রজন্মের তারুণ্যকে এগিয়ে আসতে হবে ইতিহাসের সত্য-স্মারকচিহ্নিত পথ বেয়ে। এই সত্যকে বুঝতে পেরে, ওই তরুণকেই উদারচিত্তে গ্রহণ করে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এখন এই তারুণ্যের শক্তিকে সঙ্গী করে সামনে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পালা।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশ আজ মনে করে, জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশীল রাষ্ট্র হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। সুতরাং ১০ জানুয়ারি শুধু দিবস পালন নয়, আজ আমাদের অঙ্গীকারের দিন। এই অঙ্গীকার দৃপ্ত শপথে রূপ নিক বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আঁচ করতে পেরেছিলেন। আর সে কারণেই  দশ তারিখের বক্তৃতায় একধিকবার তিনি দেশবাসীকে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।’

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রেরই অংশ পাপুল, শাহেদ সাবরিনা, পাপিয়া কিংবা ক্যাসিনো কাণ্ড। কানাডার বেগমপাড়া অথবা মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় হোম। এসব নিয়ে এখন কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বর্তমান আওয়ামী লীগকে। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরিরা কি সঠিক পথে এগুতে পারছে? সে প্রশ্নও আজ জনমানুষের সামনে। কেননা হত্যা, খুন, গুম, ধর্ষণ উন্নয়নগামী অগ্রযাত্রাকে ম্লান করে দিচ্ছে, যার সিংহভাগের দায়ভার গিয়ে বর্তায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর কাঁধে। আজ তাই ন্যায়বিচার, সুশাসন, গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে ঠিকই। মহানায়কের প্রত্যাবর্তন দিবসে এই প্রত্যাশা করি।

 

লেখক : কবি ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads