• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

কৃষকের কৃষি ভালো হলেই বাংলার উন্নতি

  • প্রকাশিত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

এম এ হান্নান মিঞা

 

 

 

এমন একটা ক্ষণ ছিল যখন বলা হতো বাংলার কৃষকের কৃষি ভালো হলেই দেশের ভালো অবস্থা, তথা দেশের উন্নতি। যুগ যুগ ধরে এমন কথাই প্রচলিত ছিল। কিন্তু যুগের সাথে প্রথা মিলিয়ে চলতে গিয়ে দিনদিন কৃষক অবহেলায় পড়ছে। দেশ এখন শিল্পায়নের যুগে প্রবেশ করছে। অনবরত পাচ্ছে শিল্পাঞ্চল গড়ার সুবিধা। একদিকে দ্রুত শিল্প-কলকারখানা গড়ার কাজ চলছে, অন্যদিকে কৃষিজমি কমার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিরাপত্তা সংকটে পড়ছে। এখনো আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য একটা অংশের কৃষক দারিদ্র্যের দিকে চলছেন এবং তাদের পরিবেশ, পরিস্থিতি, বসবাস ও চালচলন দারিদ্র্যের দিকে ক্রমম ধাবিত হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক কৃষক নিজের জমি হারিয়ে অন্যের জমি বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্ভর করে চলছেন।

এভাবে  প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলছে কৃষকের কৃষি। এ ছাড়া নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনতার সৃষ্টি সমস্যা, সংগ্রামের মাধ্যমে জমি চাষ করে ফসল ঘরে তোলার আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েও অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। কৃষকের এমন এক সময় ছিল, যখন কৃষক তার কৃষির জন্য আপন মহিমায় উজ্জ্বল ছিলেন, এখন তা ম্রিয়মাণ প্রায়। এখন কৃষকরা অনেকেই অবহেলায় পর্যবসিত হচ্ছেন। বর্তমানে দেশে কৃষকের জন্য অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা চালু থাকলেও অনেক কৃষক তাদের সেই সুযোগ-সুবিধার সুফল তাদের  কাছে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। রাষ্ট্র তাদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন করলেও তার সুফলের প্রভাব পড়তে দেরি হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে।

এক সময় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় শত বিঘা জমির খাজনা মওকুফ করলেও পরে তা বাতিল হয়ে যায়, পরে বর্তমান সরকার ঘোষণা করে, ২৫ বিঘা কৃষিজমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ থাকলেও সে সুবিধা পাচ্ছেন কতজন কৃষক বলা দুরূহ। বর্তমান সরকার কৃষকের জন্য ফসল সুরক্ষা আইন করেছে, যা কৃষকের জন্য সুফল বয়ে আনবে। সরকার কৃষকের কথা বিবেচনা করে কৃষি ব্যাংক নির্মাণ করে কৃষকের কল্যাণে কাজ করার নিমিত্তে। এতে কৃষক কতটুকু সুফল ভোগ করছেন ভেবে দেখা  দরকার। অনেক সময় কৃষিঋণ আদায়ে সময় ক্ষেপণ হওয়ার কারণে সুদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষক সেই সুদ দিতে বা পরিশোধ করতে গিয়ে কৃষক নিঃস্ব হয়ে পড়েন। অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ার কারণে কৃষক সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হ। এতেও কৃষক বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হন। আবার এই বাড়তি সুদসহ ঋণ পরিশোধের জন্য কৃষক ব্যর্থ হয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়ে থাকে। কৃষক ও বর্গাচাষির উন্নয়ন কর্মসূচির উন্নয়নের নামে পল্লি উন্নয়ন বোর্ড চালু করায় সেখানে বিনা জামানতে ঋণ পেতেন।

সেখানেও বিভিন্ন ঝামেলার মধ্যে কৃষক ঋণ নিতেন। বর্তমানে এই প্রকল্পটাও ঝিমিয়ে পড়ছে কখন কে কীভাবে এই ঋণ পাবেন বলা মুশকিল। কৃষককে ঋণ দিতে কর্তৃপক্ষ অনেক গড়িমসি করে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে মফস্বলে শাখা খুলে সহজ শর্তে কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণ করতে হবে। তবে কয়টি ব্যাংক কৃষককে ঋণ দিচ্ছে, সে খবর জানা দরকার। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষকের গতি বাড়াতে কৃষিতে সাফল্য বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষকের জন্য নানা ধরনের প্রণোদনা বীজ, সার, (সুলভ মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি) ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে এবং প্রকৃত কৃষক যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারেন এর জন্য  কৃষি কার্ড চালু করেছে। এতে কৃষকরা বেশ ভালো সুবিধা পাবেন বলেই জানা যায়। তবে কতজন প্রকৃত কৃষক উপকৃত হচ্ছেন ভাবা দরকার। এসব সুযোগ-সুবিধার জন্য কৃষকদের মধ্যে উদ্যমী ভাব ফিরে আসবে। কিছুদিন আগেও সিলেটের হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতি পোষাতে সরকার কৃষককে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিল।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হওয়ার পরও কৃষক নতুন করে আশায় বুক বেঁধে এগিয়ে চলছেন, চলবেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষক ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। তারপরও আবার কৃষক নতুন গতি নিয়ে ফসল ফলাতে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন। নতুন উদ্যমে আবার সোনার ফসল ফলাতে মাঠে কাজ করেন। বর্তমান সরকার কৃষি বিভাগের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, কৃষকের উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বীজ, সার, সেচ ও কৃষি উপকরণের ব্যবস্থা করছে। এ ছাড়া সহজ শর্তে কৃষিঋণ, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, কৃষি স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করছে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় কৃষকের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কোন মাঠে কী ধরনের ফসল বুনতে বা রোপণ করতে হবে, তার পরামর্শ পাচ্ছেন, কখন জমিতে কোন ধরনের ঔষধ-পানি দিতে হবে, বীজ গজানোর পরে চারা সবল-দুর্বল হলে তার প্রতিকার পেতে কোনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না। সংকটে থাকা কৃষক নতুন উদ্যমে মাঠে নামছেন। যেসব কৃষক সমস্যায় থাকেন, তাদের কল্যাণের জন্য থাকা কর্মসূচিগুলোর সঠিক প্রযোগ করার জন্য যথাযথভাবে কাজ করতে হচ্ছে।

কৃষিনির্ভর অর্থনীতির এই দেশে কৃষি ও কৃষকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে  না পারলে আমাদের সামগ্রিক উন্নতির আশা দুরাশায় পরিণত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কৃষকের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে যাতে করে কৃষক ফসল ফলাতে পারেন। কৃষকের কল্যাণ নিশ্চিত হলেই দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দেশের কৃষকের কৃষিকে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। কিন্তু তারপরও কৃষক আবার নতুনভাবে মেরুদণ্ড খাড়া করে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা নিজেরাই করেন। দেশের সকলকেই কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে। কারণ কৃষকের কৃষির মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য না থাকলে আমাদের সার্বিক ক্ষতির চিত্র প্রকট হবে। কৃষকের কল্যাণে দ্রুত মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ বলা যেতে পারে কৃষকের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। কৃষি ও কৃষকের যত দ্রুত উন্নতি হবে দেশের তত মঙ্গল হবে। কৃষিনির্ভর দেশে কৃষকই উন্নয়নের চাবিকাঠি, তাই কৃষক ও কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।    

বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার কৃষিবান্ধব হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। কৃষি আর কৃষকের জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ দিচ্ছে, যাতে কৃষক ভালো ফসর ফলাতে পারেন তার জন্য নতুন নতুন কৃষি উদ্ভাবনী নিয়ে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছে। দিনদিন কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিনা জামানতে কৃষক কৃষিঋণ পাওয়ার ব্যাবস্থা করেছে সরকার। অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। এ ছাড়া বর্তমান সরকার কৃষকের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের জন্য নানা প্রণোদনা ঘোষণা করে। কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ ভর্তুকির জন্য কার্ড বিতরণ করায় নতুন করে কৃষকের মধ্যে আশা জাগ্রত হয়ে উঠছে।

একদিকে দেশে প্রতিদিন কৃষকের ফসলি জমি কমছে, অন্যদিকে মাটির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে জমি, বিঘ্নিত হচ্ছে চাষাবাষ। এতে কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়ছেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন নতুন নতুন কৃষিজমিতে বাড়িঘর, শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এতে বলা যায়, দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬০/৭০ হাজার হেক্টর জমি অকৃষিতে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি বছরই নতুন নতুন ইটভাটা চালু হচ্ছে, আর এই ইটভাটাগুলো গ্রাস করছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি। যদিও এই ইটভাটাগুলো বন্ধ হয়েও যায়; কিন্তু সেই ইটভাটার জমি ফসল ফলানোর জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে না। আবাদি জমি কমে যাওয়ায় ফসল ফলানোর জায়গা কমে যাচ্ছে। এতে খাদ্যশস্য ফলানো হ্রাস পায়। এতে আগামীতে  হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে ভবিষ্যতে কৃষি খাদ্যের ওপর। কৃষিজমি যাতে আবাদি না হয়ে পড়ে সেদিকে নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন কৃষিবিদ ও অভিজ্ঞমহল।

কৃষি খাত এ দেশের চালিকা শক্তি। শুধু এ দেশের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে তা নয়, এই কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করে থাকে। সেজন্য কৃষি খাত অবহেলা না করে, কৃষক ও কৃষিজমি রক্ষার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জরুরি প্রয়োজন। যেহেতু বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ এবং এ দেশের অধিকাংশ লোক কোনো না কোনোভাবে কৃষির সাথে জড়িত, তাই কৃষিকে লাভজনক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে করে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন হয়। কৃষক ও কৃষি ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। কৃষিজমির অপব্যবহার রোধ করতে হবে, কৃষিজমি যাতে আবাদি থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন কৃষিজমি অকৃষিজমিতে রূপ না নেয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমার দেশের কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সোনার ফসল ফলায়, সে ফসলের খাদ্য খেয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর সেই কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ ভালো থাকলে, আমিও ভালো থাকি। রোদ-বৃষ্টি, ঝড়ে কৃষক জমিতে সোনার ফসল ফলান। সেই ফসলে খাদ্য, অর্থ আয় হয়। কৃষক-শ্রমিকই সোনার বাংলার অনেকাংশে চালিকা শক্তি। এদের সমস্যায় হাত গুটিয়ে বসে থাকা চলবে না। কীভাবে কৃষি ও কৃষকের উন্নতি করা যায় তার পরিকল্পনা করতে হবে। কৃষি ও কৃষক ভালো থাকলে দেশ ভালো চলবে এই কথা বঙ্গবন্ধু ভালো জানতেন বলেই দেশের কৃষকদের উন্নতির জন্য সর্বদা ভাবতেন। তিনি গ্রামের সরল-সহজ ভুখা-অনাহারী মানুষের জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে এবং কৃষক যাতে ভালো থাকতে পারে সেজন্য তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কৃষকের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছেন; সার, বাীজ, সেচের জন্য ডিপ টিউবওয়েল, অগভীর ডিপ টিউবওয়েলসহ কৃষি উপকরণ সহজ করে দিয়েছিলেন। তিনি কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকের উন্নয়নের জন্য কৃষি বিপ্লবও ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ যাতে করে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নতির শিখরে পৌঁছেতে পারেন তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে গেছেন।

তিনি জানতেন, কৃষকের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হবে। এ কারণে তিনি সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিকাজ করার জন্য পরিকল্পনা করে গেছেন। তিনি বুঝতেন সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে অল্প খরচে বেশি চাষাবাদ করা যাবে। এতে কৃষক বেশি লাভবান হবেন। কৃষক সহজেই কৃষিতে উৎসাহিত হতে পারবেন। বর্তমান সরকার জাতির পিতার তনয়া, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জাতির জনকের রেখে যাওয়া পরিকল্পনার ভিত্তিতেই কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়েই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষকের মাঝে উন্নত ধরনের বীজ সহজতর করে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কৃষকের দোরগোড়ায় সার, বীজ সহজলভ্যে পৌঁছে দিচ্ছেন। কৃষককে প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিচ্ছেন, সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করছেন। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করেছেন। সার, বীজ, সেচ, কৃষি উপকরণ, ট্রাক্টর বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে সহজলভ্য করার জন্য ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকদের কল্যাণে কৃষি গবেষণাগার বানিয়ে উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে ও কৃষি ব্যবস্থায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। এখন প্রায় অনেক ফসলই উচ্চফলনশীল হওয়ায় কৃষক অল্পতেই বেশি ফলন পাচ্ছেন। উন্নত বীজ উন্নত ফলন ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করার কারণে দেশের কৃষিতে উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতির পিতা ঠিক এ ধরনেরই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প জমিতে স্বল্প খরচে অধিক ফসল উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যার আমলে কৃষি গবেষণার কারণে দেশে আজ ফসল উৎপাদন বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার  কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমান কৃষিতে যে অর্জন রয়েছে, আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রেখে আরো গবেষণা করে, আরো যাতে বেশি উৎপাদন করা যায় সেদিকে নজর রাখা একান্ত প্রয়োজন।

 

লেখক : বাংলাদেশের খবরের ফরিদপুর প্রতিনিধি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads