• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মচর্চা ও ধর্মনিরপেক্ষতার হালচাল

  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০২১

এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার পিপিএম

 

একটি দেশে যে সময় ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করে সে সময় দেশের চলমান সংস্কৃতি, সামাজিক বাস্তবতা ও মানুষের শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান-গরিমার বাস্তব অবস্থান ধর্মকে গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। সে কারণে, যে জাতি লেখাপড়ায় পিছিয়ে ছিল অর্থাৎ অসভ্য বর্বরদের মধ্যে ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যত বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এমনকি রক্তপাতের অবতারণা করতে হয়েছে সে তুলনায় অপেক্ষাকৃত সভ্য, আচরণগতভাবে বিনয়ী, জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মের যাত্রা শুরুতে কিছুটা অসুবিধা দেখা দিলেও এতটা প্রকট ছিল না। আবার যেসব অতিমানবের হাত ধরে এটি চর্চিত হয়ে মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে, সেই মহামানবদের ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনা, জ্ঞান-গরিমা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কৌশল, উদ্দেশ্য-মিশন-ভিশন, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গৃহীত নীতিমালা এবং পূর্বাপর পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে গভীর অন্তরধ্যানকে কাজে লাগিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই খোদ আরবে ইসলাম ধর্মের অভিযাত্রায় মহাজ্ঞানী আমাদের রাসুল (সা.) ও প্রিয় নবী ধর্ম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রকট বাধার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে হয়েছে। শত শত কারণ থাকলেও অন্যতম প্রধান কারণ ছিল সে সময়ের আরব রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন অশিক্ষিত, বর্বর, অসভ্য। আবার একই ধর্ম আমাদের অঞ্চলে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিন্নরকম কার্যকারণ কাজ করেছে। এ অঞ্চলে সাধকশ্রেণি ও সুফি শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে এসে, যে যে অঞ্চলে অবস্থান নিয়েছেন সে অঞ্চলের মানুষের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, সামাজিক রীতিনীতি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য নানা বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে চলমান সংস্কৃতির মধ্যে ধর্মকে শান্তিপূর্ণভাবে অভিযোজিত করে ধীরে ধীরে মানুষের অন্তরে গ্রথিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। ফলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবতারণা করার প্রয়োজন পড়েনি। মাজারকেন্দ্রিক আচার আচরণকে এখনো অনেক মানুষ পছন্দ করেন না সেটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করে একথা বলা যায়,  মাজারকেন্দ্রিক মানুষেরা ধর্মজ্ঞানে আধ্যাত্ম সাধন করে; ধর্মীয়জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। বলে রাখা দরকার, অধর্মজ্ঞানে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যারা ভন্ডামি করেছেন, তারা আমার এই আলোচনার অংশ নয়। কেননা আমি বিশ্বাস করি অধর্মের ধর্ম-কর্ম, ধর্মের অন্তরায়। এ সকল শ্রেণির মানুষ দ্বারা ধর্ম কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা গবেষণা করেও উপসংহার টানা খুব মুশকিল।

প্রখ্যাত সংস্কৃতিতাত্ত্বিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার সংস্কৃতি-কথা প্রবন্ধে বলেছেন, ‘ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম।... সাহিত্য, শিল্প, সংগীত কালচারের উদ্দেশ্য নয়- উপায়। উদ্দেশ্য, নিজের ভেতরে একটা ঈশ্বর বা আল্লাহ সৃষ্টি করা। যে তা করতে পেরেছে সে-ই কালচার্ড অভিধা পেতে পারে, অপরে নয়। বাইরের ধর্মকে যারা গ্রহণ করে তারা আল্লাহকে জীবন প্রেরণারূপে পায় না, ঠোঁটের বুলিরূপে পায়।... আল্লাহকে সে স্মরণ করে ইহলোকে মজাসে জীবন-যাপন করার জন্য আর পরকালে দোজখের আজাব থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে, অথবা স্বর্গে একটা প্রথম শ্রেণির সিট রিজার্ভ করার আগ্রহে- অন্য কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে নয়। ইহকালে ও পরকালে সর্বত্রই এটি একটি ইতর লোভ।’ তিনি তার ‘সংস্কৃতি-কথা’ লেখায় শ’র একটি উক্তি উল্লেখ করেছেন, ‘আল্লাহ যার আকাশের তার সম্পর্কে সাবধান। কেননা, তার দ্বারা যেকোনো অন্যায় ও নিষ্ঠুর কাজ হতে পারে।... অপরদিকে কালচার্ড লোকেরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে অন্যায় আর নিষ্ঠুরতাকে; অন্যায় নিষ্ঠুরতাকে তো বটেই, ন্যায় নিষ্ঠুরতাকেও।’ (সংস্কৃতি- কথা/মোতাহের হোসেন চৌধুরী) কেননা মূল ধর্মের সার্বিক ক্ষতির খলনায়ক তারাই, যারা ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন এবং তখনই সেটা অধর্মের রূপ নিয়েছে। তাতে ব্যক্তির লাভ হলেও ধর্মের কোনো লাভ হয়নি বরং ধর্ম সেখানে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে, অন্যায়ভাবে অন্যের কাছে ধর্ম সমালোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে। ধর্মকে ব্যবহার করে কিংবা ধর্মকে সামনে রেখে ক্ষমতা, জোরজবরদস্তি, রাষ্ট্রদখল কিংবা অন্যের হক মেরে ধর্মকে কারণ হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করার হীন চেষ্টা চালানো হয়েছে যেক্ষেত্রে ঠিক সেখানেই তখন ধর্ম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিন্নমতাবলম্বী মানুষের সংস্কৃতিকে আঘাত করে, জোরজবর দখল করে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে তাদেরকে বাধ্য করে, ধর্মান্তরিত করার প্রয়াসকে এবং ক্ষেত্রবিশেষে পরাজিত দেশের মানুষকে যা ইচ্ছে তাই কাজে ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করাকে যেভাবেই আখ্যাত করা যাক না কেন, এমন আচরণে ধর্মের উন্নতি হয়েছে তা বলাটা সমীচীন নয়। বরং অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতনের মাধ্যমে যেসব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের আর্তচিৎকার ওই ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এমনকি তাতে ধর্মই অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদায় হজের ভাষণে মহানবী বলেছেন : যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে দাও, জোর করে কাউকে ধর্ম চাপিয়ে দিও না, অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় কেউ যদি তোমার ধর্মে আসতে চায় তাকে গ্রহণ করো। ধর্মকে অধর্মের হাত থেকে রক্ষা করার মানসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নের, সংগ্রামের, সাধনার, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক সাম্যমূলক অর্থনৈতিক আদর্শভিত্তিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বন্দিশিবির থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে। আর তার ভিত্তি বিশেষ কোনো ধর্মীয়ভিত্তিক হবে না। ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এদেশের কৃষক শ্রমিক, হিন্দু, মুসলমান সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে।’

সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন বা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ করা হয়। তাতে স্পষ্ট বলা হয় : ‘ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান, রাজনৈতিক উদ্দেশে ধর্মের ব্যবহার এবং কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ করা হলো।’  বিশিষ্ট লোকবিজ্ঞানী অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান তার নির্বাচিত প্রবন্ধে একটি আলোচনায় বলেন, এমন এক রাষ্ট্র গঠন ও সংবিধান রচনা বাঙালির ঐতিহাসিক বোধ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার পরিচায়ক। বাঙালি জাতির এর চেয়ে বড় সাফল্য, বড় অর্জন ইতিহাসে আর নেই।... কিন্তু বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস এবং মধ্যযুগের ভারতবর্ষে মুসলিম শাসকদের রাষ্ট্র ও ধর্মনীতির সঙ্গে পরিচয়হীনতার কারণে অথবা রাজনৈতিকবোধের পশ্চাৎপদতার জন্য স্বৈরশাসক জিয়া-এরশাদ এবং পাকিস্তানের গোপন দোসর মোশতাক ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা মিলে বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নের জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের মূলস্রষ্টা শেখ মুজিবকেই শুধু হত্যা করেনি, রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তন করে একে একটি পাকিস্তানি ধাঁচের ধর্মপ্রবণ পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় ধর্মের সুন্দরতম প্রকাশ ছিল যেখানে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে সকল ধর্মের মানুষ যার যার মতো করে ধর্ম পালন করবে, ধনী-গরিব, শ্রমিক মজুর, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, সবাই সুখে থাকবে। অধ্যাপক শামসুজ্জামান খানের বক্তব্যে একথা স্পষ্ট যে, ধর্মের সুন্দরতম চর্চাকে পরিহার করে স্বৈরাচার এবং মোস্তাকরা ধর্মকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অধর্মের ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে।

খুব গভীরভাবে আলোচনা করলে ধর্ম একটি বিদেশি ভাষা। যার কারণে একটি বিশেষ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে নিজেদের সম্পদে পরিণত করার প্রয়াসে ধর্মের ভাষা-শিক্ষা ও বোধকে গ্রামেগঞ্জে অশিক্ষিত মানুষের হাতে তুলে দেন। আমরা প্রত্যেকেই একমত হবো যে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আরবি শিক্ষার কাজে যে মানুষগুলোকে পাঠদান করাতে দেখেছি তারা বেশিরভাগই অক্ষর জ্ঞান প্রদান করে রিডিং পড়া শেখানোর বাইরে ধর্মের মর্মবাণী, মূল্যবোধ, স্রষ্টা জ্ঞানের অসীমতা, দর্শন ইত্যাদির কোনো কিছুই শিক্ষার্থীর মনস্তত্ত্বে গ্রথিত করতে পারেন না। নিজের অজ্ঞতার কারণে যা কিছু অতিরিক্ত শেখানোর চেষ্টা করেছেন, তার বেশিরভাগই ভুল কিংবা অধর্মে ভরা। ফলে স্রষ্টার প্রেম ভালোবাসা কিংবা পরকালের পুরস্কার লাভের জন্য ধর্ম সম্পর্কীয় যে-জ্ঞান যেভাবে অর্জন করা অনিবার্য ছিল, শুরুতেই তা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। ফলে এখন পর্যন্ত ধর্মচর্চায় যে ভাষা ব্যবহার করা হয়, তার অর্থ হূদয়ঙ্গম না করে শুধুই পাঠ করে চলি প্রকৃত অর্থে দাড়ি, কমা, আবেগ-অনুভূতিকে যথাযথভাবে নিবেদন করতে ব্যর্থ হই। ধর্মীয় আচার পালনে ব্যত্যয় না ঘটলেও এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ অন্তরাত্মা দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রেমে সফলভাবে নিজেকে নিবেদিত করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। মাতৃভাষায় ধর্মচর্চা করার ধর্মীয় সংস্কৃতি শুরু থেকে গড়ে উঠলে হূদয়ঙ্গম করা যেমন সহজ হতো তেমনি করে ধর্মচর্চায় অশিক্ষিত মানুষের মনগড়া ভুলেভরা চিন্তা-চেতনা থেকে মানুষ রক্ষা পেত।

আমাদের দেশে ধর্মচর্চার হালনাগাদ চিত্র অনুধাবন করলে যতটুকু পরিতৃপ্তি অনুভব করি বিপরীতে ধর্মকে সামনে রেখে অধর্মের দৃষ্টান্ত আমাদের অনেক বেশি মর্মাহত করে। ধর্মচর্চার নামে কিছু কিছু মানুষকে দেখা যায় দেশজ নিজস্ব সংস্কৃতিকে ন্যক্কারজনকভাবে আঘাত করতে সেই সাথে তাদের মতের বাইরে ভিন্নমতের কাউকে সম্মান দেখানো তো দূরের কথা, রীতিমতো ধর্মের শত্রু হিসেবে তাকে চিহ্নিত করে ক্ষেত্রবিশেষ তাঁর মৃত্যুকে নিশ্চিত করা হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদ থেকে শুরু করে অনেক প্রগতিশীল লেখকদের কাজ ও পরিণতি বিশ্লেষণ করলে এমনটাই চোখে পড়ে। অহরহ আরেকটি বিষয় ধর্মের সৌন্দর্যকে অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে ইতোমধ্যেই, তা হলো আমরা প্রায়ই দেখে থাকি সরকারি জায়গায় সরকারের অনুমতি ব্যতীত কিংবা একে অপরের ব্যক্তিগত দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের সুবিধা নিয়ে প্রকৃত হকদারকে বঞ্চিত করে সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। স্পর্শকাতরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কারো কাছে গিয়ে তার জায়গাটুকু উদ্ধার করতে পারে না। সর্বশেষ এই অধর্মের বিচার চায় পরম স্রষ্টার কাছে। মনে রাখা দরকার যারা জেনে শুনে অন্যায়ভাবে পরকালের পুরস্কার লাভের প্রত্যাশায় অন্যের হক বঞ্চিত করে যে উপাসনালয় তৈরি করা হয় তা ধর্ম দ্বারা সমর্থিত নয়। ধর্মের নামে যে অধর্ম সংঘটিত হচ্ছে, সেটি অনেকের জন্য যেমন ক্ষতিকর একইভাবে ধর্মের সৌন্দর্য, দর্শন, মাহাত্ম্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

 লেখক : পুলিশ সুপার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads