• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

স্বাধীনতার দীর্ঘ প্রেক্ষাপটই বাঙালির গৌরবময় অধ্যায়

  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০২১

মো. আরাফাত রহমান

 

 

 

বাংলাদেশের বয়স ৫০ বছর হতে চলেছে। এই ৫০ বছরে ইতিহাসচর্চা নানাভাবে বিকৃত করা হয়েছে। তবে বাঙালির গৌরবময় অধ্যায় কখনো ম্লান হওয়ার বিষয় নয়। বাংলাদেশ যতদিন থাকে ততদিন এই ইতিহাসই সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল। ৫০ বছরে এসে ফিরে তাকালে দেখা যায়, শুরুটা যদি পাকিস্তান জন্মের পর থেকেই ধরা যায়, শিহরিত সেইসব ইতিহাস। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হয় এবং ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তান দুই হাজার মাইলের ব্যবধানে অবস্থিত দুটি প্রদেশের সমন্বয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান গঠিত হয়। ভৌগোলিক দিক দিয়ে বহু ব্যবধানে অবস্থিত এ দুটি অংশের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মে মিল ছিল; কিন্তু জীবনযাত্রা ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ছিল বিভিন্ন বৈপরীত্য। এ ছাড়া পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে এর পূর্ব অংশ পশ্চিম অংশের তুলনায় নানাভাবে বঞ্চিত হতে থাকে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের আগপর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে বিভিন্নভাবে শোষণ ও বঞ্চিত করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ শুরু হয়েছিল। শুধু অর্থনৈতিক শোষণ নয়, এর পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপরও নিপীড়ন শুরু হয়। পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে ঘোষণা দেন, ‘উর্দু এবং কেবলমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য এই আন্দোলন তীব্রতম রূপ ধারণ করে। এদিন পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেকে নিহত হয়। ফলে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ১৯৫৬ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

প্রদেশগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে বেশি অর্থসংস্থান ব্যবহার করত। ১৯৪৮ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে পাকিস্তানের মোট রপ্তানি আয়ের ৭০% এসেছিল পূর্ব পাকিস্তানের রপ্তানি থেকে, যেখানে এটি উক্ত অর্থের মাত্র ২৫% পেয়েছিল। ১৯৪৮ সালে, পূর্ব পাকিস্তানের ১১টি পোশাক কারখানা ছিল, পশ্চিম পাকিস্তানের ছিল নয়টি। ১৯৭১ সালে পশ্চিম অংশে পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০ এবং পূর্ব অংশের কারখানার সংখ্যা ২৬টিতে পিছিয়ে থাকে। পাশাপাশি এ সময় প্রায় ২৬ কোটি ডলার সম্পদও পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে স্থানান্তর করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে সংখ্যালঘু ছিল। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় বাঙালি বংশোদ্ভূত অফিসাররা সমগ্র বাহিনীর মাত্র ৫% ছিলেন, যাদের মধ্যে কেবল কয়েকজনই কমান্ড পদে ছিলেন আর বেশিরভাগ ছিলেন কারিগরি বা প্রশাসনিক পদে।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তান কুক্ষিগত করে রাখে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন পূর্ব পাকিস্তানের অনুকূল হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান ‘এক ইউনিট তত্ত্ব’ নামে এক অভিনব ধারণার সূত্রপাত করে, যেখানে সমগ্র পশ্চিম পাকিস্তান একটি প্রদেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের ভোটের ভারসাম্য আনা। একেবারে শুরু থেকেই পাকিস্তানে শাসনের নামে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, আর এই ষড়যন্ত্রে মূল ভূমিকা পালন করে সামরিক বাহিনী। যখনই পূর্ব পাকিস্তানের কোনো নেতা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতেন, তখনই পশ্চিম পাকিস্তানিরা কোনো না কোনো অজুহাতে তাদের পদচ্যুত করত। নানারকম টালবাহানা করে জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করে নেন এবং দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পাকিস্তানে তার স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালু থাকে। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের এই অনৈতিক ক্ষমতা দখল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েই চলে।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভোলার সাইক্লোন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে, সেইসাথে জোয়ারের কারণে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক সরকার এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনায় গড়িমসি করে। ঘূর্ণিঝড়ের পরও যারা বেঁচে ছিল তারা মারা যায় খাবার আর পানির অভাবে। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন নিষ্ঠুরতা দেখে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ২৪ নভেম্বর এক সভায় মওলানা ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ তোলেন এবং অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

১৯৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দলটি পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসন হতে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে এবং ৩১৩ আসনবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, যা আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের অধিকার প্রদান করে। কিন্তু নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করেন। পাকিস্তানের সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং সামরিক বাহিনীর অফিসারদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বুনতে শুরু করেন। ভুট্টো মুজিবের ৬ দফা দাবি মেনে নিতেও অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ কোনো কারণ ছাড়াই ৩ তারিখের পূর্বনির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করা হয়। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়। মার্চের ৩ তারিখ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের এই দুই নেতা দেশের ভাগ্য নির্ধারণে ঢাকায় বৈঠকে মিলিত হন। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় মুজিব সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দেন। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরীতে। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে ৫ দিনের হরতাল এবং অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তার আহ্বানে পূর্ব পাকিস্তান কার্যত অচল হয়ে যায়। সামরিক সরকার কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে; কিন্তু এতে আন্দোলন প্রশমিত হয়নি। হরতাল শেষে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

এই ভাষণে তিনি ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগেই বাস্তবায়নের জন্য চার দফা দাবি পেশ করেন : অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে, সামরিক বাহিনীকে সেনানিবাসে ফিরে যেতে হবে, নিহত ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা অনুসন্ধান করতে হবে এবং ২৫ মার্চে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের আগে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তার এই ভাষণ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় উন্মাতাল করে তোলে।

সারা দেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল, তখন ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে শেখ মুজিবের সঙ্গে সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র অভিযান চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়; কিন্তু কোনো বাঙালি বিচারপতি তাকে শপথ পাঠ করাতে রাজি হননি। পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হতে থাকে। ১০ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান এয়ারলাইনস তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে পূর্ব পাকিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে ‘সরকারি যাত্রী’ পরিবহন করতে। এই সরকারি যাত্রীদের প্রায় সবাই ছিল সাদা পোশাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সেনা।

২৫ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ভেঙে গেলে রাতে ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সশস্ত্র অপারশনের গোপন সংকেত প্রদান করে সন্ধ্যায় গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান যাত্রা করেন। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের সশস্ত্র গণহত্যা অভিযান যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়া। এরই অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করে হত্যা করা হয় এবং ছাত্র ও বুদ্ধিজীবীদের নিধন করা হয়। গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি সেনারা সেই রাতেই শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পাঁচ বিশ্বস্ত সহকারীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে যান। মূল ঘোষণার অনুবাদ নিম্নরূপ : এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগপর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। পার্বত্য চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা এম এ হান্নান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর কবজা থেকে স্বাধীন করতে কয়েক মাসের মধ্যে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলে। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে গেরিলা বাহিনী সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে যথেষ্ট অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ফলে পাকিস্তান ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলার মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

অতঃপর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যুদস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণের দলিলে সই করে। এর মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে এবং নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইতিহাসকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। যে বা যারা এই ইতিহাসকে অস্বীকার করেছেন বা করতে চান তাদের সেই প্রচেষ্টা সর্বদাই ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে পুঁজি করে।

 

লেখক : কর্মকর্তা, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads