• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

সুবর্ণজয়ন্তী ও একজন দেশপ্রেমিক

  • আফরোজা পারভীন
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২১

কী বার ছিল সেদিন মনে নেই! তখন সময়ের হিসাব ছিল না। মুখ্য ছিল বেঁচে থাকা। যেনতেনভাবে বেঁচে থাকা। দুঃসহ সময়টাকে পার করা। আর প্রতীক্ষা করা এক নতুন দিনের। যেদিন এদেশের আকাশে উড়বে নতুন পতাকা। স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা। সে পতাকা হবে একান্তই নিজের। তাতে ভাগ থাকবে না এক হাজার মাইল দূরের বিজাতীয়দের।

সেই কাল গোনার মুহূর্তে আমি স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্রী। নিজেকে নিয়ে সদা বিব্রত। এ বয়সের মেয়েরা পাকিস্তানি হানাদার আর তার দোসরদের চোখে নিতান্তই লোভনীয়।  সর্বদা নিজেকে লুকিয়ে রাখি। মা থাকেন আমাকে নিয়ে সদা ভীতসন্ত্রস্ত। ভাইয়েরা যুদ্ধে। বয়স আব্বাকেও  দমাতে পারেনি। তিনিও করে চলেছেন দেশের কাজ। বড় বোন অন্তঃসত্ত্বা। একুশ মাইল রাস্তা পায়ে হেঁটে তিনি এসেছেন গ্রামে। আমাদের নড়াইলের বাড়ি পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন সহায় সম্বলহীন, নিঃস্ব। বেঁচে আছি হবখালি গ্রামের মুক্তিপাগল মানুষের দয়ায়।

আমাদের সবার বড় আপা বুলবুল। তারপরই বড়দা এসবিএম মীজানুর রহমান। সাঈফ মীজান নামে বেশি পরিচিত। বড়দা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইলের ‘সাঈফ ভিলা’ নামের বাড়িটিতে। প্রত্যুষের প্রথম আলোয় পুত্রের মুখ দেখে আব্বা নাম রাখলেন মীজান। মীজান অর্থ তুলাদণ্ড। সত্য আর ন্যায়ের প্রতীক। সারাজীবন এ নামের সম্মান রেখে গেছেন বড়দা।  বড়দার ডাকনাম দুলু। আমার মা যখন অন্তঃসত্ত্বা তখন বেড়াতে গিয়েছিলেন কলকাতার বৈঠকখানা রোডে মামার বাড়িতে। সেখানেই দেখেছিলেন মহররমের দুলদুল ঘোড়া। কী তার তেজ, কী তার শক্তি! বলগা ছোটানো অশ্ব যেন। তখনই মনে মনে স্বপ্ন দেখেছিলেন যদি পুত্রসন্তান হয়, নাম রাখবেন দুলদুল। রেখেছিলেনও তা-ই। ভালোবাসার মানুষদের মুখে উচ্চারিত হতে হতে নামটা হয়ে গেল দুলু। দুুলদুল ঘোড়ার মতোই দাদা ছিলেন তেজদীপ্ত আর শক্তিমত্ত। সাথে ছিল প্রখর বুদ্ধিমত্তা। 

বড়দার জীবন ছিল রাজনৈতিক ঐতিহ্যমণ্ডিত।  ছিল দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা আর দেশের মানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ। দেশপ্রেমের চেতনা আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ঠেলে দিয়েছিল তাকে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে দাদার কণ্ঠ ছিল সদা সোচ্চার। অন্যদিকে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে উৎসারিত হয়েছিল দাদার গল্প-কবিতা-উপন্যাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ও পত্রিকা সম্পাদক হিসেবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তিনি। নাটকের প্রতি বড়দার ছিল অপরিসীম আগ্রহ। চারটি নাটক লিখেছিলেন বড়দা। সেগুলো হচ্ছে— অনেক তারার স্বর, প্রতিবিম্ব, প্রবাল ও ক্রান্তিকালের আকাশ। প্রতিবিম্ব নাটকটি পিরোজপুরে মঞ্চস্থ হয়। এ নাটকে বড়দা নিজে অভিনয় করেছিলেন। ক্রান্তিকালের আকাশ নাটকটি অসমাপ্ত। রাজনৈতিক পটভূমিকায় লেখা এ নাটক। মৃত্যুর সময় পর্যন্ত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সত্তরের নির্বাচন অবধি বড়দা এ নাটকে লিখে যেতে পেরেছিলেন। এই নাটকের চরিত্রগুলোও রাজনৈতিক। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান প্রমুখ এ নাটকের চরিত্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ নাটকটি অভিনীত হওয়ার সুযোগ পেলে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জনমনে আগুন ধরিয়ে দিতে পারত নিঃসন্দেহে।

ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায় পনেরোটির বেশি অর্থনীতির পাঠ্যবই লেখেন বড়দা। অবশ্য বড়দার প্রথম বইটি প্রকাশিত হয়েছিল তিনি দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায়। বড়দাকে অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা হিসেবেই অনেকে জানেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, তার কোনো সৃষ্টিশীল রচনা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়নি। তাই বড়দার লেখক-সত্তার একটা দ্বিখণ্ডিত অংশের সাথেই আমরা পরিচিত হই। তার সার্বিক লেখক প্রোফাইল দেখার সুযোগ থেকে আমরা চিরকালের মতো বঞ্চিত হয়েছি।

আমাদের পিতা অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ ছিলেন নড়াইলের প্রতিষ্ঠাবান আইনজীবী।  তিনি তৎকালীন নড়াইল মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি। তেভাগা আন্দোলনের আইন পরামর্শক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নড়াইল মহকুমা ভাষা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেছেন, জেল খেটেছেন। আমাদের মা মতিয়া আহমেদও ছিলেন প্রগতিশীল চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী, সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। আব্বা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন। ১৯৫৬-৫৭ সালের দিকে রাজনৈতিক সফরে নড়াইলে এলেন বঙ্গবন্ধু। আব্বা বড়দাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। বড়দাকে দেখে সেদিন চমকে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ ছাত্রলীগের যে অংশটি বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিল নড়াইলে, তার একজন কিশোর সদস্যের দেখা পাবেন ভাবেননি তিনি। সেদিন মহান নেতার কাছে দাদা যে দীক্ষা নিয়েছিলেন, যে শপথ উচ্চারণ করেছিলেন জীবন দিয়ে সে শপথের মর্যাদা রক্ষা করে গেছেন। শিক্ষা আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার কারণে কলেজ জীবনেই তিনি কারারুদ্ধ  হন। কলেজ জীবন শেষ করার পর তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে। বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও স্বার্থের পরিপন্থী ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনে বড়দা ছিলেন সামনের সারিতে। ১৯৬৪-এর কনভোকেশন আন্দোলনে বড়দা ছিলেন অগ্রভাগে। সেদিন সচেতন ছাত্রসমাজ কুখ্যাত গভর্নর মোনেম খানের হাত থেকে স্নাতকপত্র নিতে দীপ্ত ও সোচ্চার কণ্ঠে প্রতিবাদ জানায়। সেদিন কার্জন হলের সমাবর্তন মঞ্চে প্রবেশকালে মোনেম খান তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। বড়দা মাত্র কয়েক গজ দূর থেকে মোনেম খানের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। সে ছবি সরকারি গোয়েন্দারা তুলে রাখে। দেশদ্রোহিতার অকাট্য প্রমাণ, লাট সাহেবের গায়ে হাত দেয়ার শামিল। বড়দা চেয়েছিলেন সরকারের মধ্যে থেকে তাদের ভুলত্রুটি অন্যায়গুলো তুলে ধরতে। কিন্তু সমস্যার সম্মুখীন হলেন চাকরিতে প্রবেশকালে। সেন্ট্রাল সুপিরিয়র পরীক্ষায় মনস্তাত্ত্বিক লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হলেও স্পেশাল ব্রাঞ্চ দেশদ্রোহিতার অপরাধে তাকে ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করে। বড়দাকে প্রাদেশিক সরকারের চাকরি দেওয়া হলো। বড়দাকে বঞ্চিত করা হলো কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে। চাকরিতে প্রবেশ করেই বড়দা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার বিষয়বস্তু ছিল ‘তিনি যদি দেশদ্রোহিই হন তাহলে যে অপরাধে তাকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হলো, সেই একই অপরাধ বলবৎ থাকা অবস্থায় তাকে কী করে প্রাদেশিক সরকারের চাকরি দেওয়া হলো? তাহলে কি পাকিস্তান অখণ্ড দেশ নয়?’ এই চাকরিতে আসার আগে বড়দা অধ্যাপনা এবং ইউনাইটেড ব্যাংকে কিছুদিন চাকরি করেছিলেন। কিন্তু বাংলায় নাম স্বাক্ষরে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ব্যাংকের চাকরি তিনি ঘৃণাভরে ত্যাগ করেছিলেন। 

মুক্তিযুদ্ধকালে বড়দা ছিলেন পিরোজপুরের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রেজারি অফিসার। যুদ্ধের শুরুতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি জনগণ ও পুলিশ বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। পিরোজপুরের প্রশাসনের বড় অংশ বড়দার নেতৃত্বে মুক্তিপাগল জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অনুকূলে অফিস পরিচালনা করার। সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পড়েছিল বড়দার ওপর। ট্রেজারির সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ বড়দা তুলে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। বড়দা চিহ্নিত ছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বড়দার এই জোরালো ভূমিকার কথা রাজাকার শান্তিবাহিনী আর তার দোসরদের তৎপরতায় পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তানিদের কাছে। সেদিন ৫ মে ১৯৭১, যুগপৎ নৌ, বিমান আর স্থলপথে আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানিরা। একপর্যায়ে ভেঙে গিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ব্যূহ। ধরা পড়েছিল বড়দা। পাকিস্তানি সৈন্যরা তাকে জিপের চাকায় বেঁধে টেনেহিঁচড়ে এবড়ো-থেবড়ো রাস্তা দিয়ে ফুল স্পিডে চালিয়ে দেয় জিপ। একসময় ক্ষতবিক্ষত বড়দাকে নিয়ে দাঁড় করানো হয় বলেশ্বরের ঘাটে। সারমেয়রা তাকে বলে, ‘বল পাকিস্তান জিন্দাবাদ’। বড়দা সর্বশক্তি দিয়ে উচ্চারণ করেন, ‘জয় বাংলা’। বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় তার দেহ। সেদিন বড়দার শরীরে কোথায় গুলি লেগেছিল, কয়টা গুলি লেগেছিল জানা যায়নি। কারণ তার মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। সেদিন গলগল করে রক্ত ঝরে রক্তিম হয়েছিল বলেশ্বরের জল। সে রক্ত গায়ে মেখে পবিত্র হয়েছিল বলেশ্বর।  

লেখাটা শুরু করেছিলাম যেদিনের কথা দিয়ে, সেটা মে মাসের প্রথম দিকের কোনো একটি দিন। আপা ঘন ঘন চোখ মুছছিলেন, মা বারবার ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করে কোনো উত্তর পাইনি। পরে জেনেছিলাম বড়দাকে ধরে নিয়ে গেছে পাকিস্তানিরা। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বড়দার খোঁজে মা, আব্বা, দাদারা অনেকবার গেছেন পিরোজপুরে। খুঁজেছেন পিরোজপুরের প্রতিটি অলিগলি।

মা চলে গেছেন, আব্বা গেছেন তারও আগে। মা আমৃত্যু বিশ্বাস করে গেছেন তার দুলু বেেঁচ আছে। একদিন ঠিকই ফিরে আসবে। বড়দার জন্মদিনে আর প্রতিটি ঈদে কারো পদধ্বনি শুনলেই মা চমক উঠতেন। পীর ফকিরের দরগায় ছুটতেন। তাবিজকবচ থেকে শুরু করে যে যা বলতেন তা-ই করতেন। আমার প্রগতিশীল মা ছেলের কারণে হয়ে গিয়েছিলেন নিতান্তই অবুঝ, দিশেহারা। আমরা ভাইবোনরা জানি বড়দা আর কোনোদিন ফিরে আসবেন না। তার কোনো সন্তানও নেই যার মধ্যে আমরা খুঁজে পেতে পারি বড়দার প্রতিচ্ছবি। এদেশের কোথাও বড়দার কোনো কবর নেই। যেখানে আমরা দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলতে পারি। কবর না থাকলেও আমার মতো অসংখ্য ভাইহারা বোন চোখের জল ফেলে প্রতিনিয়ত। চোখের জল ফেলে আর ভাবে, লোকে বলে শহীদের মৃত্যু নেই। আসলেই কি শহীদরা অমর?

মুক্তিযুদ্ধের সরকার ১৯৯৬ সালে বড়দার নামে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। ২০১৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। আব্বা মৃত্যুবরণ করার ৩১ বছর পর এই সরকারই এ বছর ভাষা আন্দোলনে আব্বাকে একুশে পদকে অভিষিক্ত করেছে। সরকার মূল্যায়ন করেছে তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

কিন্তু তারপরও গভীর ব্যথা বাজে বুকে। ভাইবোন, পরিবার আর বন্ধুজনের বাইরে সত্যিই কি বেঁচে আছেন আমার বড়দা? কোথায়, কার অন্তরে? ভাইকে হারানোর শোক কি আমাদের ব্যক্তিগত, ভাইয়ের বীরত্বের গর্ব কি আমাদের একার? স্বাধীন দেশের জনগণ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে একবারটির জন্যও কী স্মরণ করে এই বীরদের! এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে! মাঝে মাঝে বিশ্বাসের ভিত্তিভূমি কেঁপে ওঠে। এদেশের আকাশে পতপত করে ওড়ে স্বাধীনতার পতাকা। মাঝে মাঝে ভাবী, ও পতাকা কী ওড়ে, নাকি কাঁদে! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের অঙ্গীকার হোক- সব অন্যায়, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না বীর বাঙালি। এই দেশ ও পতাকার মান রক্ষায় ১৯৭১-এর মতো গর্জে উঠবে আমাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ।

 

লেখক : কথাশিল্পী ও সাবেক যুগ্ম-সচিব, গবেষক, কলামিস্ট

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads