• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

সম্পাদকীয়

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন আত্মিক উন্নয়ন

  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০২১

মামুন রশীদ

 

 

১৯৭১ থেকে ২০২১, পঞ্চাশ বছর। ব্যক্তির জীবনে সময়ের এই হিসাব অনেক কিছু হলেও মহাকালের হিসাবে খুবই সামান্য। পেছনে ফেলে আসা পঞ্চাশের কথা ভাবলে ভর করে নানান স্মৃতি। তা কখনো সুখের, কখনো অস্বস্তির। অন্যদিকে সামনের পঞ্চাশ স্বপ্ন দেখায় নতুনের, আগামীর। সামনের পঞ্চাশকে কীভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে কতটুকু এগোনো যাবে, তার ভিত নির্ভর করছে পেছনের পঞ্চাশের ওপর। আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি ১৯৭১ সালে। এর আগে, বহু বছর আগে আমরা স্বাধীন ছিলাম। স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব হাজার বছরের। আমাদের নিজস্ব কৃষ্টি রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব ভাষা। আমাদের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডও ছিল। অথচ বার বার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নানা অজুহাতে আমাদের ভূখণ্ডে এসেছে। অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে আমাদের যে সুনাম, তা আজো হারিয়ে যায়নি। আমাদের অতিথিপরায়ণতা এবং আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে এদেশে আসা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তারা নানা ছলাকলায়, নানা কৌশলে, কখনোবা যুদ্ধে আমাদের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করেছে। আমাদের ভূখণ্ডের দখল নিয়েছে। এরপর নানাভাবে শাসন ও শোষণ করেছে। সম্পদের অফুরন্ত ভান্ডার আমাদের, সোনার বাংলা আমাদের, বার বার বিদেশি লুটেরাদের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় দুইশ বছর সিন্দবাদের দৈত্যের মতো আমাদের কাঁধে বসে ছিল ইংরেজরা। তাদের শাসন ও শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা মুক্তির পথ খুঁজছিলাম। বীর বাঙালি ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামেও লিপ্ত হয়। আমাদের সেই বিপ্লব, আন্দোলন, সংগ্রাম বৃথা যায়নি। ব্রিটিশরা একসময় ভারত ছাড়তে রাজি হয়। কিন্তু যাবার আগে তারা আরো একবার ষড়যন্ত্রের বিষবৃক্ষ রোপণ করে যায়।

ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হলেও, আমরা স্বাধীনতা পাইনি। আমাদের করা হয় পাকিস্তানের অংশ। সেই স্বাধীনতা আমরা মেনে নিলেও, আমাদের পাকিস্তানিরা শাসকের দৃষ্টিতেই দেখতে থাকে। নানাভাবে আমাদের ওপর শাসন ও শোসনের স্ট্রিম রোলার চালাতে থাকে। আমাদের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেতে থাকে। আমাদের সকল প্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে শুরু করে। এও মুখ বুজে বাঙালি সহ্য করে, কিন্তু আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেবার ষড়যন্ত্র শুরু হলে প্রতিবাদে-প্রতিরোধে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার মানুষ। ভাষার প্রশ্নে এক হওয়া বাঙালি জাতির ভেতরে যে স্বাজাত্যবোধ জেগে ওঠে তা আর ভাঙেনি। এই বোধই আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখায়। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতি তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। ১৯৭১-এর সাতই মার্চ তিনি যখন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে ডাক দেন, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি প্রস্তুত হয় মুক্তির সংগ্রামের জন্য। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হায়েনারা নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়লে, বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীনতা।

আজ ২০২১। মাঝে পেরিয়ে গেছে পঞ্চাশ বছর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে—এই পঞ্চাশ বছর, যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি মহাকালের গর্ভে, সেই পঞ্চাশে আমাদের অর্জন কী ও কতটুকু? আমরা কি ভালো আছি? যাদের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে, তাদের থেকে আমরা ভালো আছি তো? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে দেখা যাক পঞ্চাশে এসে। তাহলেই আমাদের আগামীর পঞ্চাশের করণীয় নির্ধারণ করা সহজ হবে।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ ও জাতির মানুষ আমাদের শোষণ করেছে। এতে তারা সম্পদশালী হয়েছে; কিন্তু আমরা ক্রমান্বয়ে ফাঁপা হয়ে গেছি। তারপরও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সেই ঘুরে দাঁড়ানোটাই বা কেমন? ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর, আমাদের প্রায় শূন্য থেকে সব শুরু করতে হয়। রাস্তাঘাট ছিল না, ব্রিজ-কালভার্ট ছিল না, খাদ্য মজুত ছিল না, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই—চারদিকে শুধু নেই আর নেই। আত্মসমর্পণ করার আগে পাকিস্তানিরা সব দিক থেকেই আমাদের ধ্বংস করে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়। সদ্য স্বাধীন দেশের প্রাণপ্রিয় নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে আসেন। দেশে ফিরেই তিনি বাংলাকে আবার গড়ার উদ্যোগ নেন, বাংলার সেই সোনার রূপ ফিরিয়ে আনতে তিনি বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু বাঙালির অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুকে। খুনি ঘাতকের দল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা করে। শুরু হয় বাংলাদেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যাবার কৌশল। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে এসে এ ধারার পরিবর্তন ঘটে। বাংলার মানুষের ভোটে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। দায়িত্ব নেবার পরেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার রূপ দিতে সচেষ্ট হন। তার সেই চেষ্টা ও পরিশ্রমে আমরা এগিয়ে চলেছি। স্বাধীনতার পর যেখানে আমাদেরকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, আমাদেরকে নানাভাবে অপমান অপদস্থ করার চেষ্টা হয়েছে সাহায্যপ্রার্থী দেশ হিসেবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে অনেক আগেই। নিম্ন আয়ের দেশের তালিকাতেও আর নেই আমরা। বর্তমান সরকারের হাত ধরে আমরা প্রবেশ করেছি নতুন যুগে। আমরা আজ মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে। আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে। আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, আমাদের চিকিৎসা খাত এগিয়েছে, এগিয়েছে শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতও।

এই যে বলছি, এগিয়েছে, আমরা এগিয়েছি—তা কতুটুকু? তা জানার জন্য একটি পরিসংখ্যান দিই। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে আমরা রপ্তানি করে আয় করেছিলাম ২৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই সংখ্যাটি এখন বদলে গেছে। আমাদের উৎপাদনমুখী অর্থনীতির কল্যাণে রপ্তানি আয় বেড়েছে। স্বাধীনতার পর আমাদের রপ্তানি আয় যা ছিল, আজ পঞ্চাশে এসে তা বেড়েছে বহুগুণ। ২০২০ সালের হিসেবে যার পরিমাণ ৩৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বলেছি আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে। সেই বাড়াও গত পঞ্চাশ বছরে বেড়েছে ৩৬৯ গুণ। ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে যেখানে আমাদের জিডিপির আকার ছিলো ৭ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু বার্ষিক গড় আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে আমাদের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে ১৫৫ ডলার। আর স্বাধীনতার পর গত পঞ্চাশ বছরে মাথাপিছু এই আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ গুণ। আমাদের দারিদ্র্যের হার কমেছে। ফলে এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আমাদের যে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, আজকের অবস্থান তা পাল্টে দিয়েছে। অর্থনীতির ধারণা অনুযায়ী ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পৌঁছাব। এই ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উঠে এসেছি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় আমাদের নাম উঠেছিল ১৯৭৫ সালে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে নির্ধারিত তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। মাথাপিছু আয়, অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের শর্ত আমরা পূরণ করি ২০১৮ সালে। এবারে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা আবারো জাতিসংঘের নির্ধারিত শর্তগুলো পূরণ করি। পরপর দুটি পর্যালোচনার মানদণ্ড পূরণের ফলে নিয়মানুযায়ী আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছি। এই শর্তগুলো পূরণের পেছনে রয়েছে আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা। গত কয়েক দশকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে আমাদের রপ্তানি আয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। কৃষিশিল্পের উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান বেড়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটেছে খাদ্য উদ্ধৃত্ত দেশে। সেইসঙ্গে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নও হয়েছে। একইভাবে পাল্লা দিয়ে আমাদের মানবসম্পদ খাতেও উন্নয়ন ঘটেছে। জাতিসংঘের মানদণ্ডে মানবসম্পদ উন্নয়ন যোগ্যতায় যেখানে প্রয়োজন ৬৬’র ওপরে স্কোর। সেখানে আমরা পেয়েছি ৭৩.২ স্কোর। এই যে মানব উন্নয়নের সূচক, এর পেছনে আছে আমাদের চিকিৎসা সেবা খাতের অগ্রগতি। মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। সময়মতো টিকা দেওয়াসহ মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নানারকম কর্মসূচি হাতে নেওয়ায় কমেছে মা ও শিশু মৃত্যুর হার। ১৯৭৪ সালে যেখানে প্রতি হাজারে মারা যেত ১৫৩ জন শিশু, সেখানে ২০১৮ সালে এসে প্রতি হাজারে সে সংখ্যা মাত্র ২২ জন। একই সঙ্গে কমেছে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। ১৯৯১ সালে যেখানে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর হার ছিল ৪.৭৮ শতাংশ। এখন তা কমে এসেছে ১.৬৯ শতাংশে। মাথাপিছু আয়, অর্থনৈতিক ঝুঁকি, মানবসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতাও বেড়েছে। যেখানে ঋণ কর্মসূচি ছাড়া আমরা কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবতে পারতাম না। আজ আমাদের সেই ভাবনাতেও পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আমাদের দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। ফলে ত্রিশ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে।

১৯৭১ সালে আমাদের আত্মিক উন্নয়ন ঘটে। বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই উন্নয়নের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের আত্মিক উন্নয়নই আমাদের এগিয়ে দেয় স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে। ফলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিয়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে তার স্বাধীনতা। আত্মিক উন্নয়নের এই ধারা বজায় রেখেই বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের আবার পিছিয়ে দেওয়ারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, আত্মিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে ভাটা শুরু হয়েছিল, নব্বইয়ের দশকে শেষে এসে তা আবার গতি ফিরে পেতে শুরু করে। আবার মূল স্রোতে ফিরতে শুরু করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির যে মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে, সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে আত্মিক উন্নয়নের গুরুত্বও অসীম। আত্মিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, যার গুরুত্ব বর্তমান সরকারের কাছে সর্বাধিক। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখে আমরা যদি আত্মিক উন্নয়নেও গতি আনতে সক্ষম হই, তাহলে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছার পথ আমাদের জন্য আরো মসৃণ হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়া বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানো সহজ হবে।

 

লেখক : কবি, সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads