• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শিক্ষায় জবাবদিহিতার ঘাটতি দেখছে ইউনেস্কো

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

শিক্ষায় জবাবদিহিতার ঘাটতি দেখছে ইউনেস্কো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ মে ২০১৮

বাংলাদেশে শিক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতিও তৈরি হয়েছে। জবাবদিহিতার প্রশ্নে চলছে দোষারোপের খেলা। এই খেলা বন্ধ করতে হবে। কেননা শিক্ষা হলো অংশীদারত্বমূলক দায়িত্ব। সবাই মিলেই শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে। ইউনেস্কোর সর্বশেষ গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম) রিপোর্টে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এবারের প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শিক্ষায় জবাবদিহিতা : আমাদের দায়বদ্ধতা পূরণ’। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান মিস বিয়ট্রিস খালদুল এবং ইউনেস্কোর বাংলাদেশ অফিসের সচিব মো. মনজুর হোসেন।

এবারের প্রতিবেদনে অভিভাবক বা পরিবার থেকে শুরু করে স্কুল, শিক্ষক, সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষায় জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন সেই তথ্য ও সুপারিশ স্থান পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সকল অংশীজনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। সবার আগে সরকার গঠনে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার অধিকার অর্জনে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে জানানো, সংসদীয় কমিটির কার্যকর ভূমিকা, সামাজিক আন্দোলন, বিচারব্যবস্থার কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ তথা সম্পদের সমতাভিত্তিক বণ্টন থাকতে হবে। শিক্ষার কার্যকর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন থাকতে হবে। এজন্য সাক্ষ্যপ্রমাণভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা দরকার।

প্রতিবেদনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিবেদনের মাধ্যমে বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় উঠে এসেছে। ২০৫টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে ইউনেস্কো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে আমরা মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমরা চাইলেই রাতারাতি কোনো পরিবর্তন আনতে পারি না। ধারাবাহিকতার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ প্রভূত অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই প্রতিবেদন থেকে আমরা শিক্ষা নেব। যেসব ত্রুটি রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা করব। ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের কিছু বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। এসডিজির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads