• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ঘুষ না দেওয়ায় পদোন্নতি বঞ্চিত ৪৭ শিক্ষক

লোগো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

ঘুষ না দেওয়ায় পদোন্নতি বঞ্চিত ৪৭ শিক্ষক

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষামান ৩১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৭৫ জন শিক্ষকের পদোন্নতি হয়েছে। পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪২ জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

১১ জুলাই প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ এর স্মারক নং ৩০.০০.০০.০০৮.১২.০৪৩.১৮-৬১৪ স্বাক্ষরমতে পদোন্নতি শিক্ষকদের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায় চাঁদপুর সদরে ২৯ জন, কচুয়ায় ৫৭ জন, শাহরাস্তিতে ৩৪ জন, হাইমচর ২৫ জন, ফরিদগঞ্জে ৫০ জন, মতলব উত্তর ৪৫ জন ও মতলব দক্ষিণ ৩৫ জন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছে।

পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের দাবী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক রহমান, শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বুলবুলের সহযোগিতায় ও অফিস সহকারী কাউসার আলমের যোগসাজসে উপজেলার ৪২ জন শিক্ষককে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কয়েকজন দাবী করেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত ৪২ জন শিক্ষকের কাছে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান উপজেলা শিক্ষা অফিসের খরচ বাবদ ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দাবী করে। পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা তাদের চাহিদা মতে ঘুষের টাকা দিতে না পারায় অফিস সহকারী মো. কাউসারের যোগসাজসে মন্ত্রণালয়ে আমাদের পদোন্নতির কাগজপত্র ভুলভাবে উপস্থানপন করে এতে আমরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগা-যোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ঘুষ বানিজ্য নিয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা সরব রয়েছে। উৎপল সাহা নামে এক সহকারী শিক্ষক লিখেছেন “পরিশ্রমের টাকা ভিক্ষা দেবনা”। তিনি আবার লেখেছেন, ‘ভিক্ষা চাইনা কারো কাছে ভিক্ষা দেয়।’

সাফায়েত হোসেন নামে এক শিক্ষক লিখেছেন, ‘ভিক্ষা নয় চঁদা।’ এভাবে আয়েশা মেহজাবিন, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, ফাজানা ইয়াসমিন, সাহাবুদ্দিন পাটওয়ারীসহ অসংখ শিক্ষক মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ লেখেন শিক্ষক সমিতির নেতারা টাকার জন্য শিক্ষকদের পকেট কাটছে ঘুষ বাণিজ্য করে।

এ নিয়ে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বুলবুল জানান, কাগজপত্রে কিছু ত্রুটি থাকায় সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় কিছু ঝামেলা হয়েছে। তিনি বলেন, সহসায় পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের পদোন্নতি হবে।

পদোন্নতি দেওয়া শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বুলবুল বলেন, আমি এ প্রসেঙ্গ কিছুই জানিনা। যদি কেউ অফিসের কথা বলে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকে, সেটা তাদের বিষয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কোন শিক্ষকের হাতে পদোন্নতি নাই। তাহলে শিক্ষক নেতাকে টাকা দেবে কেন?

তবে ঘুষ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মজিবুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। এ প্রসঙ্গে আমি কিছুই জানিনা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads