• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সরকারি হলো ২৭১ কলেজ

সরকারি হলো ২৭১ কলেজ

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

সরকারি হলো ২৭১ কলেজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০১৮

নতুন করে দেশের ২৭১টি কলেজকে সরকারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কলেজগুলো সরকারি করে গতকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৮ আগস্ট থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে এখন দেশে সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৯৮। এতদিন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদরাসাসহ সরকারি কলেজের সংখ্যা ছিল ৩২৭। এখন সরকারি হওয়া শিক্ষকদের অবস্থান, বদলি ও পদোন্নতির বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কলেজগুলোতে যারা সরকারের সব নীতি মেনে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তারাই কেবল আত্তীকৃত হবেন। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ারা আত্তীকৃত হতে পারবেন না।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেখানে একটি করে কলেজকে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে কিছু কলেজ প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যায়। এতে প্রক্রিয়াটি একটু দীর্ঘায়িত হয়। একপর্যায়ে মামলা থাকার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪৬টি কলেজকে সরকারিকরণের আদেশ দিতে নথি প্রস্তুত করে। কিন্তু এটিও কোনো কারণে বিলম্বিত হয়। এরই মধ্যে আদালত থেকে ২৫টি কলেজের মামলার নিষ্পত্তি ঘটে। সব মিলিয়ে ২৭১টি কলেজকে সরকারিকরণের আদেশ দিতে গত ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার সেই নথি প্রধানমন্ত্রী সই করার পর চূড়ান্ত হয়ে ফিরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে। গতকাল রোববার সেই কলেজগুলোকে সরকারি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। মামলাসহ নানা জটিলতা শেষ হলে বাকি কলেজগুলোর সরকারিকরণের আদেশ জারি হবে।

সরকারি হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৪টি, মানিকগঞ্জে ৪টি, নারায়ণগঞ্জে ৩টি, মুন্সীগঞ্জে ৩টি, গাজীপুরে ৩টি, নরসিংদীতে ৪টি, রাজবাড়ীতে ২টি, শরীয়তপুরে ৪টি, ময়মনসিংহে ৮টি, কিশোরগঞ্জে ১০টি, নেত্রকোনায় ৫টি, টাঙ্গাইলে ৮টি, জামালপুরে ৩টি, শেরপুরে ৩টি, চট্টগ্রামে ১০টি, কক্সবাজারে ৫টি, রাঙামাটিতে ৪টি, খাগড়াছড়িতে ৬টি, বান্দরবানে ৩টি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে ১টি করে, কুমিল্লায় ১০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬টি, চাঁদপুরে ৭টি, সিলেটে ৯টি, হবিগঞ্জে ৫টি, মৌলভীবাজারে ৫টি, সুনামগঞ্জে ৮টি, রাজশাহীতে ৭টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি, নাটোরে ৩টি, পাবনায় ৭টি, সিরাজগঞ্জে ৩টি, নওগাঁয় ৬টি, বগুড়ায় ৬টি, জয়পুরহাটে ১টি, রংপুরে ৭টি, নীলফামারীতে ৪টি, গাইবান্ধায় ৪টি, কুড়িগ্রামে ৭টি, দিনাজপুরে ৯টি, লালমনিরহাটে ৩টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি, পঞ্চগড়ে ৪টি, খুলনায় ৫টি, যশোরে ৫টি, বাগেরহাটে ৬টি, ঝিনাইদহে ১টি, কুষ্টিয়ায় ২টি, চুয়াডাঙ্গায় ২টি, সাতক্ষীরায় ২টি, মাগুরায় ৩টি, নড়াইলে ১টি, বরিশালে ৬টি, ভোলায় ৪টি, ঝালকাঠিতে ৩টি, পিরোজপুরে ২টি, পটুয়াখালীতে ৬টি ও বরগুনায় ৩টি কলেজ রয়েছে। এসব কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। শিক্ষকদের মর্যাদা কী হবে তা নিয়ে গত ৩১ জুলাই একটি বিধিমালাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বিধি মোতাবেক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্তীকৃত হবেন। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আগে ৫ থেকে ৭টি ধাপ পার করতে হয়। এগুলো পার হতে বহু সময় লাগে। সেগুলো শেষ হলে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করাতে সময় লাগে না। ‘জিও’ জারির পর আত্তীকরণও খুব দ্রুত হয়ে যায়। আগামী ৩১ অক্টোবর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজ শেষ হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সরকারের বাকি মেয়াদের মধ্যেই সরকারি হওয়া কলেজগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের কাজ শেষের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads