• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

ঢাবি ডিন অ্যাওয়ার্ড পেলেন

  • সাহিদুল ইসলাম ভূইয়া
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ পেয়েছেন শামীম আরা পিয়া। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে প্রভাষক পদে কর্মরত। তাকে নিয়ে লিখেছেন সাহিদুল ইসলাম ভূইয়া

ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় আগ্রহটা সমবয়সী অন্য সবার চেয়ে বেশি ছিল তার। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে পড়তে একসময় শিক্ষকতার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। শিক্ষকতা পেশার প্রতি তার ভালোবাসা থেকেই তিনি প্রভাষক পদে যোগদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই স্থান করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষকের তালিকায়। ২০০৭ সালে ফরিদপুরের হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৯ সালে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। দর্শন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমে মন খারাপ হলেও, কিছুদিন ক্লাস করেই তিনি বুঝতে পারেন দর্শন আসলে বাস্তবিক ও জীবনমুখী একটি বিষয়। যেখানে বিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, নীতিতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, সাহিত্য-সংস্কৃতি সব বিষয়ের পড়ার ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। সেই থেকে দর্শন বিষয়ের প্রতি ধীরে ধীরে ভালোবাসার জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমিতে দর্শন বিষয়ের প্রায় সব সেমিনারে যেতেন তিনি। দর্শন বিষয়ের প্রতি তার ভালোবাসা অনার্স ৩.৭২ সিজিপিএ (ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড) ও মাস্টার্স ৩.৮২ সিজিপিএ (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট) রেজাল্ট থেকে অনেকটাই বোঝা যায়। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ লাভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অ্যাওয়ার্ড ২০১৮। আজকের অবস্থানের পেছনে তিনি শুধু নিজের পরিশ্রম কিংবা মননশীলতাকেই সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিতে রাজি নন। এ ব্যাপারে শামিম আরা পিয়া বলেন, ‘আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুরা আমাকে সহযোগিতা করেছে।’ তাদের প্রতিও তার যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে। শামিম আরা পিয়া শুধু ভালো ছাত্রী কিংবা ভালো শিক্ষকই নন। তিনি একজন ভালো সাহিত্যমনা মানুষও। ছাত্রজীবন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাহিত্যের প্রতি তার রয়েছে অন্য রকম আকর্ষণ। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। অবসরে প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম নিয়ে সময় কাটান। ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া তার পছন্দ। তার ভবিষ্যৎ চিন্তা-ভাবনা লেখালেখি করা। গবেষণার কাজে মনোনিবেশ করা। তিনি একজন ভালো শিক্ষাবিদ হতে চান।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি বলেন, শুধু পড়ালেখা করলেই হবে না। পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি দক্ষতা অর্জনের জন্য নানামুখী সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে নিজেকে একজন ভালো মানুষ ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads