• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
মতিঝিল আইডিয়ালে ভর্তি কেলেঙ্কারি

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

মতিঝিল আইডিয়ালে ভর্তি কেলেঙ্কারি

  • অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

·      ভর্তিতে মাথাপিছু ঘুষ ৩ লাখ টাকা

·      ৬৯ উত্তরপত্র জব্দ

ভর্তিতে দুর্নীতি করে ২০০৭ সালে বরখাস্ত, ২০১২ সালে এমপিও স্থগিত করার পরও নিজেকে শোধরাননি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। ‘ব্যক্তিগত ক্যারিশমা’ দেখিয়ে বরখাস্ত এবং এমপিও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাসহ স্বপদে বহাল থেকে ভর্তির দুর্নীতি সপাটে চালিয়ে যাচ্ছেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই অধ্যক্ষ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠানটির বাংলা ও ইংলিশ ভার্সনে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা করে নিয়ে মোট ১০০ জনকে ভর্তির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন শাহান আরা বেগম। এর মধ্যে বাংলা ভার্সনে ভর্তির দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। ইংলিশ ভার্সনের দুর্নীতির সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ২০০৭ সালে তিনি ৫১৮ শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করিয়েছিলেন। আর ২০১২ সালে ভর্তিতে বেশি টাকা নিয়ে ‘ধরা’ খেয়েছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম সহকারী প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম খান এবং কয়েকজন সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের মতিঝিল, বনশ্রী এবং মুগদা শাখায় চলতি বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে ভুল উত্তর রাবার দিয়ে মুছে সেই স্থানে শুদ্ধ উত্তর লিখে নম্বর দিয়ে ফেল করা ছাত্রছাত্রীকে পাস করিয়ে দিয়েছেন। অধ্যক্ষ শাহান আরা তার দলবল নিয়ে মাথাপিছু ৩ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নিয়ে ১০০ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়ে মোট ৩ কোটি টাকা আয় করেছেন। 

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা জেলা প্রশাসন তদন্তে নামে। তদন্তে ১২২টি উত্তরপত্র পর্যালোচনা করে কমিটি প্রতিবেদনে সার্বিক মতামত দিয়ে জানায়, সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বক্তব্য, অভিযুক্ত কর্তৃক দাখিলকৃত জবাব ও রেকর্ডপত্র পরীক্ষান্তে শ্যামলী শিমু কর্তৃক পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা সংক্রান্ত আনীত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা রয়েছে। তবে অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, হিসাব সহকারী দীপা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কবির হোসেন ও আতিকুর রহমানের নিজ হাতে উত্তরপত্রে উত্তর লিখে দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্পষ্টীকরণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু অভিযোগকারী উত্তরপত্রে ঘষামাজা করার দায়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভর্তিতে দুর্নীতি হয়েছে, উত্তরপত্রে ঘষামাজা হয়েছে কিন্তু এগুলো কে করেছে তার উত্তর বের হয়নি। এরকম পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার থেকে ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষা অফিসের পরিচালক ড. মো. ইউছুফের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত দল ইংলিশ ভার্সনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির দুর্নীতি তদন্ত শুরু করেছে। গতকাল মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে গিয়ে সারা দিন বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেছে। এ বছর প্রতিষ্ঠানটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের সবার উত্তরপত্র নিয়ে এসেছে তদন্ত কমিটি।

এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নজিরবিহীন ভর্তি কেলেঙ্কারি প্রমাণিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী শাখায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার খাতায় ঘষামাজা সংক্রান্ত আনীত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে হবে। এই ব্যাখ্যার আলোকে আগামী সাত দিনের মধ্যে মতামত দিতে মাউশি মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান গতকাল বুধবার বাংলাদেশের খবরকে বলেছেন, আমরা অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে এবার ‘ধরব’। কিন্তু কীভাবে, যিনি আগেও একাধিকবার ভর্তির দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েছেন, এরপর শাস্তি হয়েছে কিন্তু শাস্তি ভোগ না করেই পার পেয়ে গেছেন তার বিরুদ্ধে আপনারা এবার কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিস আরেকটি তদন্ত করছে, সেটি আসার পরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের নেওয়া ব্যবস্থার ধরন দেখতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, এই দুর্নীতিতে তিনি জড়িত নন। আর এসব কথা লিখিতভাবে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাহান আরা তদন্ত কমিটিতে যে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন সেটি বাংলায় লেখা হলেও অধ্যক্ষ ইংরেজিতে সই দিয়েছেন। এতে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, লিখিত জবাবটি শাহান আরা নিজে লেখেননি। অন্য কেউ লিখে দিয়েছে, শাহান আরা শুধু সই করেছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৈরি করা ফলাফলে একাডেমির প্রধান হিসেবে আমি শুধু ফলাফলে সই দিয়ে প্রকাশ করে থাকি। আমার বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহল অভিযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। অসুস্থ থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু বলেছেন, উত্তরপত্রে কার লেখা, কার ঘষামাজা এটা বের করতে হলে সিআইডির হস্তরেখা বিশারদ দিয়ে তদন্ত করা উচিত। তবেই মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সম্ভব। তিনি বলেন, গত বছরও ঠিক এভাবেই দুর্নীতি হয়েছিল। কিন্তু কেউ ধরতে পারেনি। এবার ধরা পড়েছে। এখন দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। 

৬৯টি উত্তরপত্র জব্দ : ঢাকা জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও তদন্তকারী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী গত ১০ জুলাই মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে সরেজমিন তদন্ত করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী শাখায় ভর্তি হওয়া দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির ১২২ জনের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র পর্যালোচনা করেন। এতে ৬৯টি খাতা জব্দ করা হয়। এটি বর্তমানে গুলশান থানার শিক্ষা অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এসব খাতায় উত্তর রাবার দিয়ে মুছে ঘষামাজা ও ওভাররাইটিং করা হয়েছে। কিছু খাতায় হাতের লেখায় অসামঞ্জস্য রয়েছে। যাচাই করা খাতাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির বালক (ক্যাচমেন্ট) বাংলা মিডিয়াম মতিঝিল শাখার ৩৩টি। এ ছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির বালিকা (ক্যাচমেন্ট) মাধ্যমে ৯টি, বালক মাধ্যমে (মুক্তিযোদ্ধা) মতিঝিল শাখায় ২টি, বালিকা মাধ্যমে (মুক্তিযোদ্ধা) ১টি, বনশ্রী শাখার তৃতীয় শ্রেণির বালক (উন্মুক্ত) ৮টি, মুগদা শাখায় তৃতীয় শ্রেণির বাংলা মাধ্যমে ৭টি, বালক (উন্মুক্ত) ৮টিসহ সব মিলিয়ে ৬৯টি খাতা জব্দ করা হয়েছে। খাতায় ঘষামাজা করার প্রমাণ পাওয়া গেলেও অভিযুক্তরা তা করেছেন বলে স্বীকার করেননি।    

ঘষামাজার দায়িত্বে কে? : রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার ৬৯টি উত্তরপত্রে ঘষামাজা ও আরো কিছু খাতায় ভুল উত্তর রাবার দিয়ে মুছে শুদ্ধ উত্তর লিখে দেওয়া হয়েছে। তবে এই কাজের সঙ্গে কারা যুক্ত তা তদন্তে স্পষ্ট করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে সংরক্ষিত খাতায় কে বা কারা ঘষামাজা করেছে বা রাবার দিয়ে মুছে শুদ্ধ উত্তর লিখেছে তা সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ বলেছেন, কারা লিখেছে তা অবশ্যই বের করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুদককে দায়িত্ব দিলে তারা বের করে দিতে পারবে। প্রয়োজনে সরকার মামলা করে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করবে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবীর দুলু বলেছেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও সংশ্লিষ্টদের দায় নিতে হবে। তারা দায় নিতে না চাইলে বুঝতে হবে তারাই এই কাজটি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী গত রোববার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে লিখিত অভিযোগ করে অভিভাবক শ্যামলী শিমু বলেছেন, ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্রে ঘষামাজা ও ভুল উত্তর রাবার দিয়ে মুছে সেই স্থানে শুদ্ধ উত্তর লিখে নম্বর দিয়ে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের পাস করিয়ে দিয়েছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম। আর এ কাজে অধ্যক্ষকে সহযোগিতা করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম খান, হিসাব সহকারী দীপা, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. কবির হোসেন ও আতিকুর রহমান। এরপর গত মার্চে ‘অন্যায়ভাবে ফেল করানো ছাত্র/ছাত্রীদের বঞ্চিত হতভাগা অভিভাবকবৃন্দ’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একই অভিযোগ করেন।

নির্দোষ দাবি অভিযুক্তদের : উত্তরপত্রে ঘষামাজা নিয়ে তদন্তের সময় তদন্ত কর্মকর্তাকে দেওয়া লিখিত জবাবে যেসব শিক্ষক খাতা মূল্যায়ন করেছেন তাদের দায়ী করেছেন অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম। শাহান আরা বেগম তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার ভর্তি কার্যক্রম গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় এবং গভর্নিং বডির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার খাতা সহকারী শিক্ষকরা মূল্যায়ন করেন। যেসব পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষা থাকে সেসব শ্রেণির এবং শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি ও কম্পিউটার অপারেটররা খাতার নম্বর পোস্টিং দেন এবং মেধাতালিকা তৈরি করেন। ওই শিক্ষকরা মেধা অনুযায়ী ফলাফল তৈরি করে স্বাক্ষর দিয়ে চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য অধ্যক্ষের কাছে উপস্থাপন করেন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক।

অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. ছালাম তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিত জবাবে জানান, ২৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার জানা মতে, অধ্যক্ষ কোনো অবৈধ কাজ করেননি এবং সহকর্মী হিসেবে আমাকে বলেননি কিংবা বলপ্রয়োগ করেননি। অফিস সহকারী দীপা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তার লিখিত জবাবে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তৈরিতে আমি কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেছি। আমার সঙ্গে মো. মামুন-উর-রশিদ ভূঞা ও মো. ছলিমুল আক্রাম কম্পিউটারে ফলাফল তৈরির কাজ করেছিল। আমি কেবল খাতার প্রাপ্ত নম্বর কম্পিউটারে পোস্টিং দিয়েছিলাম। আমাকে অধ্যক্ষ ফলাফল পরিবর্তনের ব্যাপারে বলেননি কিংবা চাপ প্রয়োগ করেননি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads