মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পর্যায়ে নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করলে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না জানিয়ে গতকাল রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে আদেশ জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে এখন থেকে অনুত্তীর্ণদের আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এই নির্দেশনা জারি করার অনুরোধ জানায়। দুদকের চিঠি পেয়ে গত ১৬ আগস্ট নির্দেশনা জারির জন্য সব বোর্ড চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরে গতকাল রোববার আদেশটি জারি হয়। জারি হওয়া আদেশে বলা হয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্র ছয় মাস সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
সূত্র জানায়, মূলত প্রশ্ন ফাঁস রোধের একটি অংশ হিসেবেই এই আদেশ জারি করা হয়েছে। সাধারণত মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁসের পেছনে ছোটে না। যারা দু-তিন বিষয়ে ফেল করে তারাই আগে থেকে প্রশ্নের পেছনে ছোটে। এই আদেশের মাধ্যমে এখন থেকে অনুত্তীর্ণদের আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না।
জানা যায়, অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বর্তমানে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক-দুই বিষয়ে ফেল করলে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জরিমানা দিলেই নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস দেখিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অভিযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানায়, নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণরা নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন ব্যবস্থা নিল।
