• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে নাম প্রকাশ, ছাত্রলীগ নেতা শান্তকে মারধর

আহত ছাত্রলীগ নেতা তারেক আহমেদ খান শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা

ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে নাম প্রকাশ, ছাত্রলীগ নেতা শান্তকে মারধর

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৮

ভর্তি জালিয়াতি বিষয়ে অডিও ফাঁসের পর দুই জনের নাম প্রকাশ করার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অন্য ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।  আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক তারেক আহমেদ খান শান্ত। সে মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত ও সহ-সম্পাদক কাউসার ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী শামিম শিকদার, জুয়েল ও শুভ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চারুকলার একটি খাবার দোকান থেকে দুপুরে খাবার শেষে বের হলেই মোটর সাইকেলে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা আসে। এরপর তারেক হোসেন শান্ত নামের ওই ছেলেকে কাঠের চালা দিয়ে মারধর করে। পরে মারধরকারীরা বাইকে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  এরপর মারধরের শিকার শান্তকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

মারধরের শিকার তারেক আহমেদ খান শান্ত দাবি করেন, ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে হাসিবুল হাসান শান্ত, কাউসার আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পরে একটি অডিও ফাঁস হয়। তা নিয়ে আমি সাংবাদিকদের কাছে শান্ত ও কাউসারের নাম প্রকাশ করি। এ ঘটনার জেরে দুপুরের খাবার গ্রহণের শেষে চারুকলায় অতর্কিত হামলা চালায় শান্ত, কাউসার, শামীম, শুভ, জুয়েলসহ আরও ১০-১৫ জন। আমাকে কাঠের চালা দিয়ে মারধর করে তারা।

রাবি মেডিকেল সেন্টারের অর্থোপোডিক্স বিভাগের চিকিৎসক এস এম আসজাদ হাসান আশরাফ জানান, 'তার পায়ের মাংস থেতলে গেছে। বাকী সব স্বাভাবিক আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিবুল হাসান শান্ত মারধরের বিষয়টি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকদের কাছে একটি ব্রিফ নিয়ে তার কাছে জানতে চাইছিলাম কেন আমাদের নাম বললেন? এ ঘটনায় হাতাহাতি হয়। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, মারধরের বিষয় নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মারধরের শিকার তারেক আহমেদ খান শান্ত।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি নিয়ে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপে ছাত্রলীগ নেতা শান্তর জড়িত থাকার বিষয় উঠে আসে। আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য ওই ছাত্রলীগ নেতা ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর ৯ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের ফোনালাপটি ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

ফোন রেকর্ডিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে তারেক আহমেদ খান শান্ত বলেন, আমার কাছে একটা ফোনই এসেছিল। এর পর থেকে ওই ফোন নম্বর বন্ধ। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে। তার অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে রাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত ও উপপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads