• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
টেকনাফে ভুল প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা

টেকনাফ ম্যাপ

শিক্ষা

টেকনাফে ভুল প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৮

কক্সবাজারের টেকনাফের একটি কেন্দ্রে গতকাল বুধবার ভুল প্রশ্নে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রটিতে টেকনাফ এজাহার বালিকা ও শাহপরীর দ্বীপ হাজী বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থী এ বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তাতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা-২০১৮, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী অভীক্ষা) সেট-০১-এর নিচে লেখা রয়েছে, ‘২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী’। পূর্ণমান ৬০+৪০। বিষয় কোড-১১১।

অপরদিকে যেটি ২০১৮ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সঠিক প্রশ্নপত্র তাতে দেখা যায় সেটিও হুবহু একইরকম ছাপানো। সেই প্রশ্নটিতে নিচে ‘২০১৬ সালের সিলেবাস অনুযায়ী’ লেখাটি নেই। তাছাড়া নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের মান রচনামূলক ৭০ ও নৈর্ব্যক্তিক ৩০। 

একটি সূত্র জানায়, এ প্রশ্নপত্রটি কেন্দ্রে পাঠানো হয় ২০১৬ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভুলে সেই প্রশ্নপত্রটি দিয়েই নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করে। এতে ওই ৩০ পরীক্ষার্থী ঠিকমতো উত্তর লিখতে পারেনি। ফলে তাদের ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থী আসমাউল হুসনা, তানজিনা মণি, রাফিফা আক্তার, ফরিদা ইয়াছমিনের সঙ্গে এজাহার বালিকা বিদ্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানায়, এজাহার বালিকার ১৬ জন ও শাহপরীরদ্বীপ হাজী বশির আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪ জনসহ মোট ৩০ জন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল। বুধবার যথারীতি ইসলাম ও নৈতিক পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা। প্রশ্ন কমন না পড়ায় তাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ওই কক্ষের দায়িত্বরত শিক্ষককে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের শিক্ষকরা বিষয়টি স্কুলে অথবা বাড়িতে গিয়ে না বলার জন্য পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।

তবে এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। এ সময় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজারকে জানানো হয়। এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিউলী রানী চৌধুরী বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও সাড়া মেলেনি।

অপরদিক উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নূরুল আবছার দাবি করেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করলেও কোনো অসুবিধা হবে না। সেই ৩০ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদাভাবে প্যাকেট করা হয়েছে। তাদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে মূল্যায়ন করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads