ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নবগঠিত অনুষদ নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফেসবুক স্ট্যাটাসের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ফেবুকেই পোস্ট করে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে তারা। এসময় তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম উপস্থিত হলে তাদের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করে এবং আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করে।
সূত্র জানায়, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল ২ দিন আগে নিজ ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটিতে তিনি নবগঠিত ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এতে সংশ্লিষ্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আজ শনিবার আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনকারীরা জানায়, ‘সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের ওই পোস্টের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদকে ছোট করা হয়েছে, যেটা কখনই সমীচিন নয়। এর ফলে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়ে ট্রল করছে। তাই তাকে ফেসবুক পোস্ট প্রত্যাহারসহ ক্ষমা চাইতে হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদকে পুনর্গঠন করে ৮টিতে রূপান্তর করা হয়। এতে ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদকে ভেঙে ৩টি আলাদা অনুষদ করা হয়। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ নামে একটি নতুন অনুষদ গঠিত হয়। নবগঠিত এই অনুষদকে নিয়ে মন্তব্য করেই বিপাকে পড়েছেন ওই শিক্ষক।