• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ধর্মপাশায় সমাপনী পরীক্ষায় ২০ ভুয়া পরিক্ষার্থী বহিস্কার

প্রতীকী ছবি

শিক্ষা

ধর্মপাশায় সমাপনী পরীক্ষায় ২০ ভুয়া পরিক্ষার্থী বহিস্কার

  • মোঃ ইমাম হোসেন, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০১৮

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার ২টি কেন্দ্র থেকে ২০ জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে ধরা পড়া ভুয়া পরীক্ষার্থীরা সকলেই উপজেলার রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রক্স) প্রকল্পের ‘আনন্দ স্কুলের’ শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ সময় আরো বেশ কয়েকজন ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে তাদের প্রবেশ পত্র রেখে পালিয়ে যাওয়ারও তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ উপজেলায় মোট ৫৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করার কথা থাকলেও রবিবার পরীক্ষার শুরুর দিনই ৫৫৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে। এর মধ্যে উপজেলার ১৯৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৫১৫৬ জন ১৩টি ইবতেদায়ি মাদরাসা থেকে ১১৪ জন ও উপজেলার রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের ৪৬টি ‘আনন্দ স্কুল’ থেকে ৫২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা।

তবে ‘আনন্দ স্কুলের’ পরীক্ষার্থীদের বদলে ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও সেলবরষ ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই বহিরাগত শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সোমাবর দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান পরীক্ষা চলাকালে দুটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র জব্দ করার নির্দেশ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৃথক পৃথকভাবে দুটি কেন্দ্রে গিয়ে জব্দকৃত প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই করে ফাতেমানগর আনন্দ স্কুলের ৭জন, আতকাপাড়া আনন্দ স্কুলের ২ জন, ধর্মপাশা উত্তরপাড়া আনন্দ স্কুলের ১জন ও মাটিকাটা আনন্দ স্কুলের ১০ জনসহ মোট ২০ জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় থেকে তাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জনপ্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে পরিশোধ করা হবে জানানো হয়েছিল। প্রথম পরীক্ষার দিন অনেকেই ১০০ টাকা করে পেয়েছিল বলে জানায় তারা।

রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর (টিসি) সোহেলী আক্তার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ভূয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কোনো প্রকার অনিয়মের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, ধর্মপাশা উপজেলায় রস্ক প্রকল্পের ট্রেনিং কো অর্ডিনেটর মোছা. সোহেলী আক্তারের প্ররোচনায় পরে এখানকার আনন্দ স্কুলের শিক্ষকরা ভুয়া শিক্ষার্থী দিয়ে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর টিসি ও অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রক্স) প্রকল্পের সহকারি পরিচালক জেসমিন আরা বানু বলেন, এ বিষয়টি আমি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম। তবে আমাদের প্রকল্পের উপজেলা ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর (টিসি) সোহেলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads