ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছেন, ‘২০১২ সালে চৈতি নামের একটি মেয়ের ইচ্ছায় তাকে সায়েন্স নিতে দেওয়া হয়নি। মেয়েটি এক বছর নষ্ট করে পুনরায় পরীক্ষা দিলেও তাকে সায়েন্স দেওয়া হয়নি। পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। যদি চৈতির আত্মহত্যার বিচার হতো, তাহলে অরিত্রি অধিকারীকে মরতে হতো না।’ গতকাল বুধবার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বেইলি রোডের মূল শাখার বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনুছ আলী বলেন, আমি মঙ্গলবার গভর্নিং বডিকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বরখাস্ত করতে, তবে তারা তা করেনি। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার এখন পুলিশ কাস্টডিতে অথবা সাসপেন্ডেড অথবা জামিনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ‘২০১২ সালে আমি একবার আদালতে রিট করে আদেশ নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামিয়েছিলাম। এবার আর তা করব না। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাবে।’
এর আগে গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারী। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।