• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আমতলীতে স্কুল ভবন ধসে পড়ার আতংকে শিক্ষার্থীরা

আমতলী মফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ব্ভিন্ন অংষে ফাটল ধরেছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে মাঝে মধ্যেই খসে পড়ছে পলেস্তরা। আতংকে শিক্ষার্থীরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

আমতলীতে স্কুল ভবন ধসে পড়ার আতংকে শিক্ষার্থীরা

  • পারভেজ শাহরিয়ার, আমতলী (বরগুনা)
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০১৯

আমতলীতে স্কুল ভবনে ফাটলের কারনে পলেস্তরা খসে পড়ছে ফলে আতঙ্কে রয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬৫০জন শিক্ষার্থী।

বরগুনার আমতলী উপজেলার পৌর শহরের মফিজ উদ্দিন বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী । বিদ্যালয়ে দুটি ভবনেরই পলেস্তারা খসে পড়ছে । বেরিয়ে পড়েছে রড। ক্লাস চলার সময়ই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে পড়ে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্কের মধ্যেই চলছে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম। আমতলী পৌরশহরের প্রানকেন্দ্রে ১৯৬৯ সালে ২ একর ৮৬ শতাংশ জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।

১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টিতে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মিত হয়। এরপর ২০০০ সালে আর একটি দোতলা ভবন নির্মিত হয়। বর্তমানে ভবন দুটির অবস্থা খুবই নাজুক। ভবনের ভিম ফেটে রড বেরিয়ে গেছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। দরজা, জানালাও রয়েছে নামমাত্র। প্রায়ই শিক্ষার্থীদের শরীরে খসে পড়ে পলেস্তারা। বৃষ্টি হলেই ছাদ ছুয়ে পড়ে পানি। ওই অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ক্রমশ কমতে শুরু করেছে।

আশপাশের অন্য বিদ্যালয়ে নতুন ভবন থাকলেও তাদের বিদ্যালয়ে জারজীর্ণ ভবন। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। তারা সবসময় ভয়ে থাকে। ওই অবস্থার পরিত্রাণ চায় শিক্ষার্থীরা। স্কুল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পুরনো বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ অবস্থা থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। খসে পড়ছে বিদ্যালয়ের ভবন দু’টি। ওই অবস্থায় অভিভাবকরা সবসময় তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে থাকেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন দু’টির অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, হলরুমসহ ১৮টি কক্ষ রয়েছে এর মধ্যে সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশমসহ ছাত্রছাত্রী মিলনায়তনের পলেস্তারা প্রতিদিন খসে পড়ছে, দক্ষিন পাশের দ্বিতল ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যেসব স্থানে ফাটল রয়েছে, সে স্থানগুলো ফাঁকা রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাষক জি, এম, ওসমানী হাসান বলেন, বিদ্যালয়টির ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ প্রতিদিন পলেস্তরা খসে পড়ছে । ছাত্র ছাত্রী / শিক্ষক শিক্ষিকারা আতংকের মধ্যে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করছে। তিনি বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকমল হোসেন খান বলেন, বিষয়টি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কে অবহিত করেছি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন স্কুলের ঝুঁকিপূর্ন কক্ষের ক্লাশ বন্দ করে দিয়েছি। ভবনের নাজুক অবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads