• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
শিক্ষক লাঞ্ছিত: পবিপ্রবিতে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

শিক্ষক লাঞ্ছিত: পবিপ্রবিতে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

  • দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারী ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও নবীন শিক্ষার্থীদেরকে র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন সাধারণ শিক্ষকরা। এর আগে রবিবার বিকেলে অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি।

কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা-১ আবাসিক হলের গণরুমে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং করা হচ্ছিল। র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। এসময় কতিপয় উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশায়েদুল ইসলাম সাদী ওই হলের সহকারি প্রভোস্ট আব্দুর রহিম ও সুজন কান্তি মালীসহ কয়েকজন শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে শিক্ষক সমিতির এক জরুরি বৈঠকে অভিযুক্তদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি স্মারকলিপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর সোমবার সকাল থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস ও বিভিন্ন অনুষেদের পূর্বনির্ধারিত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন।

এ ব্যাপারে পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশায়েদুল ইসলাম সাদী বলেন, ‘ওই দিন নবীন শিক্ষার্থীদের সামনে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের কান ধরে উঠাবসা করানো হয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে হলের একজন সহকারি প্রভোস্ট আমার পরিচয় জানতে চান। এসময় তিনি নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বড় ক্যাডার দাবি করলে আমি তাকে ক্যাডার পরিচয়ে হলে আসতে নিষেধ করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন বলেন, ঘটনার দিন উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতা ৭/৮ জন শিক্ষকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষকদের গালাগাল করেন। এ ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। তা না হলে শিক্ষকরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহত রাখবে।

পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এ ঘটনায় কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads