• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন

শিক্ষকদের সন্তান কেজি স্কুলে ভর্তি করা যাবে না

  • মো. আসিফ উল আলম সোহান
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তানরা কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না।

এ বিষয়ে দ্রুত নির্দেশনা জারি করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষকদের হালালভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এই প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রী ঢাকা জেলার সাভার, দোহার, ধামরাই ও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনে একটি করে নতুন ইংরেজি শব্দ শেখানো হচ্ছে। সে হিসেবে বছরে প্রতি ক্লাসে ২২৫টি নতুন শব্দ শিখতে পারছে। এটি মনিটরিংয়ে সারা দেশে মাঠপর্যায় ৬৩ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ক্লাসে পাঠদানের জন্য আমরা একটি ‘ইউনিক লেসন প্লান’ তৈরি করে দেব। এর মাধ্যমে নানারকম দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন একটি জাতি গঠনে ডিজিটালাইজ করার দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যার প্রতিফলন হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ছোটখাটো যেসব সমস্যা আছে তা নিরসন করা হবে। নতুন করে ৫০ হাজার ভবন নির্মাণ হবে। আধুনিক পদ্ধতি চালু করাই আমাদের টার্গেট। তিনি শিক্ষকদের বলেন, আপনারা জাতি গঠনের হাতিয়ার। সমাজে আপনারা অনেক সম্মানিত ব্যক্তি। আমি এখনও আমার শিক্ষককে দেখলে তাকে কদমবুচি করি। পাকিস্তানের শিক্ষকদের চেয়ে আপনারা অনেক ভালো আছেন। হালালভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তবেই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। কেজি স্কুলে শিক্ষার্থীরা কেন ভর্তি হচ্ছে- এমন প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, আপনারা (শিক্ষকরা) সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে কেজি স্কুলে ভর্তি করাবে না। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের কেজি স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন না। দ্রুত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। অনেক শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে শিক্ষনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে ৮ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমে যাবে, কেজি স্কুলের দিকে আর কেউ ঝুঁকবে না। ভিডিও কনফারেন্সে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের খবর /আ সো

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads