• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বদলিতে ন্যায্যতার কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

বদলিতে ন্যায্যতার কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

শিক্ষা ক্যাডারে কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে নীতি ও ন্যায্যতা মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তার মতে, কেউ সারাজীবন ভুরুঙ্গামারীতেও থাকবে না আবার কেউ বছরের পর বছর ঢাকায়ও থাকতে পারবে না। এ ছাড়া শিগগিরই শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার বিভিন্ন দফতর পরিদর্শনে যাবেন তিনি। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদিকদের এই তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পর গতকাল এক বৈঠকে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সম্বন্ধে জানান শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী। বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

বৈঠক শেষে ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মূলত কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ সম্বন্ধে জেনেছি। কোন দপ্তরের কী কাজ ও কারিকুলাম বিষয়ে নানা তথ্য জানলাম। মাদরাসায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, বিজ্ঞানসহ সব বিষয়ই পড়ানো হয়। অনেক বিষয়েই ই-বুক হয়ে গেছে। আলোচনায় কওমি মাদরাসার বিষয়টিও এসেছে। তবে কওমির যে ১২টি বোর্ড আছে তারাই এই শিক্ষা দেখভাল করে। সরকার শুধু সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জায়গার সমস্যার বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বলব।

মন্ত্রী জানান, উচ্চশিক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও ভালো করছে। চলতি শিক্ষা বর্ষে মাদরাসা থেকে আলিম পাস করা ১২৪ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারেও বিভিন্ন তথ্য আমাদের জানানো হয়েছে। শিগগিরই আমরা শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনে যাব। তখন আরো বিস্তারিত জানতে পারব।

বৈঠকে জানানো হয়, কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে এনরোলমেন্টের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ২০২০ সাল নাগাদ এই হার ২০ শতাংশে উন্নীতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারিগরিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মহিলা কোটা ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি পলিটেকনিক নেই এমন ২৩ জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আটটি বিভাগীয় শহরে মহিলা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের কার্যাবলিও তুলে ধরা হয় বৈঠকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads