বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন গবেষককে ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইম্প্যাক্ট রিকোগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা কর্ম ও এইচ-ইনডেক্স মানের ওপর ভিত্তি করে ওই পুরস্কার প্রদান করা হয়। আজ শনিবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ২ দিন ব্যাপি ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও কর্মশালায় কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ৬ জন কৃষককে “প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০১৯” প্রদান করা হয়। বাউরেস ১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩৪৯ টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। বর্তমানে ৫৩৬ টি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল ওই কর্মশালায় প্রকাশ করা হবে।
গবেষণা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, স্বাধীনতার পর মুহূর্ত সময়ে যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হত বর্তমানে তা ৩০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে এদেশের খেটে খাওয়া কৃষক ও গবেষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের অবদান উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও খাদ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে তা কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়েও আমাদের গবেষকদের গবেষণা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, বাংলাদেশের ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অরগানাইজেশনের (এফএও) প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ভেন্যুতে মোট ১৫ টি (১৩টি মৌখিক ও ২টি পোষ্টার) টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সেশন থেকে ১জন করে মোট ১৩ জনকে সেরা মৌখিক প্রেজেন্টার ও ৬ জনকে সেরা পোস্টার প্রেজেন্টার হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে।