• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শিক্ষা

শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০১৯

নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের  শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন এর উপর ত্রিশালের চড়পাড়ার স্থানীয় বখাটেদের হামলার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ব্যাচ এর শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার বেলা ১১ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ১১ ব্যাচ এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধনে অংশ নেয়। ‘আমরা আর মার খেতে চাই না’, ‘টনক তুমি নড়বে কবে?’, ‘আমার বন্ধুর রক্ত দেখবো কেন?’, ‘হামলাকারীদের বিচার চাই’ ইত্যাদি শ্লোগান লিখে ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চড়পাড়ায় চোখে লাইট ধরাকে কেন্দ্র করে চড়পাড়া নিবাসী লাল মিয়ার ছেলে তাজমুল ইসলাম (২৬) এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন এর হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে রাজীব হোসেন এর উপর তাজমুল ইসলাম সহ আরো ৪-৫ জন নিয়ে রাজীব এর উপর হামলা চালায়। প্রক্টরিয়াল বডি ,পুলিশ সহ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয় রাজীবকে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন বাদল কে  আহ্বায়ক ও প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লিটন কুমার বিশ্বাস কে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘোষণা করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন এর বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । শিক্ষার্থীরা  যেকোন সমস্যার সম্মুখীন হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন – মাহামুদুল হাসান জসিম, আমিনুল হক নোভেল,ইয়াজাজ প্রমুখ ।

উল্লেখ্য সম্প্রতি কিছু ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে । যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের মেস গুলোতে চুরি, স্থানীয় কিছু মাদকসেবী  ছাত্রী মেসে দরজা ভেঙ্গে মাদক সেবন করা ,মেস ভাড়া বাড়ানো, শিক্ষার্থীর উপর স্থানীয় বখাটের হামলা উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads