• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীরা

বরগুনা ম্যাপ

শিক্ষা

কেন্দ্র সচিবের অবহেলা

ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থীরা

  • আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আমতলী উপজেলার মফিজ উদ্দীন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা হলে ২০ জন পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র এবং ২০১৯ সালের বাংলা প্রথম পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র সরবারহ করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন।

গতকাল শরিবার পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই এই ঘটনা ঘটে। তবে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েও পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান ইউএনও মোঃ সরোয়ার হোসেন। দায়িত্ব অবহেলা করায় দুই জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আমতলী মফিজ উদ্দীন বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলার ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন এবং তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ পরীক্ষার্থীদেরকে ২০১৮ সালের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র দিয়ে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। পুরাতন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ায় ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে ভুল প্রশ্ন পত্রের পরীক্ষা দেয়া পরীক্ষার্থীদের উত্তর পত্র আলাদা করে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলায় কক্ষ পরিদর্শক কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক লোকমান হাকিম ও মাসুম বিল্লাহ নামের দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেন না দেখে কক্ষে পুরাতন ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র বিতরন করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান কয়েক জন শিক্ষক।

পরীক্ষার্থী সঞ্জিব বলেন, পরীক্ষা চলাকালে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি ধরা পরে। আমি কর্তব্যরত স্যারকে বিষয়টি জানালে তাতে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। ফলাফল নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

সঞ্জিবের বড় ভাই বিমল মিত্র বলেন, অনেক কষ্ট করে ছোট ভাইকে লেখাপড়া করাচ্ছি। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার ফলাফল নিয়ে আমরা চিন্তিত। তবে শিক্ষকরা বলছেন এতে কোনো সমস্যা হবে না ।

ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ১৩ পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন দিয়ে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে জানানো হলে ফলাফলে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্থ করেছেন।

আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আকমল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলেছেন, যাতে শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা না হয়।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার্থীর উত্তর পত্র আলাদা করে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। আর দায়িত্ব অবহেলা করায় দুই জন শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads