• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ডাকে বসন্ত আসি বারবার

বসন্তের প্রথম সকালে বাসন্তী রং শাড়ি ও কপালে টিপ পরে বেরিয়েছিল তরুণীরা

শিক্ষা

ডাকে বসন্ত আসি বারবার

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এতো বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি।

বসন্তের প্রথম সকালে বাসন্তী রং শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নুপুর, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছে তরুণীর দল। পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরা ছেলেরাও সঙ্গী হয়েছে বসন্তবরণের বিভিন্ন আয়োজনে।

বসন্তের আগমনকে ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে আড্ডায় ব্যস্ত ছিলো। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল প্রবীণ আর নবীনের দখলে। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীদের ছবি তুলে সামাজিক গণমাধ্যমে শেয়ার করতে দেখা গেছে।

এতে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রঙকেই এদিনে তাদের পোশাকে ধারণ করে তরুণ-তরুণীরা। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনেও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলিতে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা বরণ করে আরও নিবিড়ভাবে।

শীতের রুক্ষতার কারণে বহুদিন ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল না ফুলের সেই স্নিগ্ধ মাখা সুবাস। বসন্তের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের বাগান আর বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুলেও যেন বসন্তের আগমনী সুর। অনেকে পছন্দের মানুষকে নিয়ে ঘুরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের জায়গায়। চিরচেনা ঝুপড়িগুলো ছিল আড্ডায় মুখর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আজ নানা আয়োজনে বরণ করে নিয়েছে ঋতুরাজকে। উদীচীর বর্ণাঢ্য এই উৎসবের আয়োজনে বসন্তের প্রকৃতির বর্ণনা ও বন্দনা করা ছাড়াও এ মঞ্চ থেকে বাঙালির জীবনে বসন্তের প্রভাব নানা ব্যঞ্জনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

আতিকা চৌধুরী আদ্রিতাা,আফিয়া ফারজানা,তুলতুল রামিছা এবং তৌসি বসন্তকে বরণ করতে নিজেদের উদ্যোগে বসিয়েছে মেহেদী দেয়ার স্টল। যেখানে তরুণীরা এসে লাগিয়ে নিচ্ছেন ইচ্ছে মত মেহেদী।
বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বসন্তের এই দিনে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে প্রতিহত করে সকল কুসংস্কার ও অন্ধকার শক্তিকে নিধন করে আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটিয়ে দেশ তথা বিশ্বকে আলোকিত করবে এটিই হোক বসন্তের শপথ।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আহমদ সুমন বলেন, বসন্ত সবসময় মনেই থাকে।প্রকৃতি তাকে রাঙিয়ে তোলে কেবল!!!
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শবনম তন্বী বলেন, সকাল থেকেই শাড়ি পড়ে এসেছি। আজ খুবই ভালো লাগছে। বন্ধুদের সাথে ছবি তুলেছি, ঘুরছি।বসন্ত আমার কাছে ঈদ উৎসব।

বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে আমরা পালন করি ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। এ উৎসব এখন পরিণত হয়েছে বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণেরর উৎসবে। বসন্তের প্রথম মুহূর্তকে ধরে রাখতে তাই তো সবাই মেতে ওঠে নানা উৎসব ও সাজে। বাসন্তি রঙের শাড়িতে বাঙালি নারীকে অপরূপ দেখায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads