• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
 রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি রাবি প্রশাসনের

রাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম লিলন

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

লিলন হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি রাবি প্রশাসনের

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকাণ্ডে ৩ জনকে ফাঁসি এবং আটজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুস সালাম পিন্টু, পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক ও লুৎফুল ইসলাম সবুজ। এর মধ্যে সবুজ পলাতক রয়েছে।

অপরদিকে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আনোয়ার হোসেন উজ্জল, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, সিরাজুল ইসলাম, আল মামুন, আরিফ হোসেন, সাগর হোসেন, জিন্নাত আলী ও ইব্রাহিম খলিল ওরফে বাবু।

মামলায় এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে প্রশাসন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, বিজ্ঞ বিচারকরা যে রায় দিয়েছেন সেটাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সন্তুষ্ট। তাই দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

মামলায় রায়ের বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মুহা. জুলফিকার আলী ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আমরা যেহেতু সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করেছি তাই সকলের সঙ্গে কথা বলে সন্তোষের ব্যাপারে মন্তব্য করবেন বলে জানান তিনি।

শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকান্ডের সময় তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিন। তিনি জানান, মামলার রায়ে যাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে এটা কতটুকু সঠিক হয়েছে তা তদন্ত রিপোর্টের মাধ্যেমে বুঝা যাবে। তবে যে রায় হয়েছে সেটা অগ্রগতি বলা যেতে পারে।

তিনি দাবি করেন, যে রায় হয়েছে তা যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা ও হুকুমদাতা রয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন তিনি।

তবে শফিউল ইসলাম লিলনের ছেলে সৌমিন শাহরিদ জেভিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন শফিউল ইসলাম লিলন। হত্যার পর দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২৩ নভেম্বর এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে রেশমা আাদলতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখঅর তৎকালীন পরিদর্শক রেজাউস সাদিক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads