• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কোরআন শরীফ অবমাননাকারী ‘সেফুদা’ কে জাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

কোরআন শরীফ অবমাননাকারী ‘সেফুদা’ কে জাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৯

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা’কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্য তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মনিরুল ইসলাম মুহিন (৪২ ব্যাচ) বলেন, সেফুদা পবিত্র কোরআন শরীফ এর পাতা ছিঁড়ে কমোডে ফেলে জঘন্য অপরাধ করেছেন। তিনি ইসলামকে জঘন্য ভাষায় গালি দিয়েছেন। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন তিনি। তার অপরাধ ক্ষমা অযোগ্য। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। সেই সাথে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

ইতিহাস বিভাগের ইয়াহিয়া জিসান (৪৬ ব্যাচ) বলেন, সবার মত প্রকাশের অধিকার আছে কিন্তু অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অধিকার সেফুদা’কে কেউ দেয়নি। তিনি আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও অতিদ্রুত তার শাস্তি দাবি করছি।

বাংলা বিভাগের জহিরুল ইসলাম ফয়সাল (৪৬ ব্যাচ) বলেন, সেফুদার কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, শুধু তাই নয় সেফুদা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। ফেসবুক লাইভে এসে তরুণ সমাজকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে, তিনি মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে।

এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চারদফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:

১.  সেফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তদন্ত করতে হবে

২. তিনি মানসিক রোগী হলে যথাযথভাবে চিকিৎসা করা

৩. যদি মানসিক রোগী না হয় তবে দেশে এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং

৪. সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সকল ভিডিও সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

গত ১৭ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে কোরআনের পাতা ছিঁড়ে ওয়াশ রুমের কমোডে ফেলেন ও কোরআনের উপর স্যান্ডেল দিয়ে মারেন সেফাতুল্লাহ। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে বাংলাদেশে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় শুরু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads