• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে প্রথম হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করল রুয়েট গবেষক দল

রাবি গবেষক দলের তৈরি হাইব্রিড গাড়ি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

দেশে প্রথম হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করল রুয়েট গবেষক দল

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৯

দুই বছরের প্রচেষ্টায় একই সঙ্গে তিনটি সুবিধা সম্পন্ন দেশের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একটি গবেষক দল। গবেষক দলের প্রধান রুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।

গবেষকদল জানায়, হাইব্রিড গাড়ির সুবিধাগুলো হলো একই সঙ্গে ইলেক্ট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম রয়েছে। যে কারণে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় জ্যামে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই শক্তি বা জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। আছে প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও। যদি মন চায় বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেওয়া হবে।

সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের থেকে এই প্রকল্পটি পান রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের এই অধ্যাপক। এরপর ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয়। যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের সঙ্গে এ কাজে অংশগ্রহণ করেন বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রশীদ। এছাড়াও বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান, ওবায়দুল হাসান, তানভির রহমান, তরিকুল ইসলাম ও ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হক ফরিদ সর্বাত্মক শ্রম দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, পোর্টেবল ডিভাইসের মতো এই প্রযুক্তিটি এখন যেকোনো গাড়ির সঙ্গে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে। মূলত একটি পরিত্যক্ত গাড়ি ব্যবহার করে হাইব্রিড গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহীর একটি গ্যারেজ থেকে গাড়িটি সংগ্রহ করা হয়।

গতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া একবার চার্জ হলে জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াও একটানা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা সম্ভব।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

গবেষকদল প্রধান অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, উন্নত দেশগুলো জ্বালানি ব্যবহার কিভাবে কমানো যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের যত জ্বালানি আছে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা চেষ্টা করেছি এমন কিছুর যা জ্বালানি ব্যবহার কমাবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। কারণ এই গাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জ্বালানি কম খরচ হবে। একই সঙ্গে একটি পরিত্যক্ত গাড়িকে সহজেই ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads