• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
চাকসুর সেই আলোচনা আর নেই

চাকসু ভবন

ফাইল ছবি

শিক্ষা

চাকসুর সেই আলোচনা আর নেই

  • জুবাইর উদ্দিন, (চবি)
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আলোচনায় আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। ছাত্র সংগঠনগুলো চাকসু নির্বাচনের দাবিতে প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাতিয়ে রাখতো পুরো ক্যাম্পাস। পরে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলগুলোতে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা, হলে অবৈধ ছাত্র-ছাত্রীর অবস্থানসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরি হয় নির্বাচনী আমেজ। কিন্তু সেই নির্বাচনী আমেজ এখন আর নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেই কোনো দৃশ্যমান পদেক্ষেপ।

চাকসু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কয়েক দফা বৈঠকও করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি। কিন্তু সেই সরব চাকসু নির্বাচন এখন সর্ম্পূণরূপে নিরব। গঠিত পর্যালোচনা কমিটিও প্রতিবেদন জমা দেয়নি দুই মাসেও।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের কেন্দ্র্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে নানামুখী আন্দোলনে সরব ছিল ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও তার ব্যতিক্রম ছিল না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংঘাতের শঙ্কায় নির্বাচন দিতে প্রায় সময় নারাজ ছিল। কিন্তু ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে প্রস্তুতি নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে প্রশাসন কয়েক দফা বৈঠকও করে। চাকসু নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্যের নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটিও গঠন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল গুলোতে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকা, হলে অবৈধ ছাত্র-ছাত্রীর অবস্থানসহ বেশ কয়েকদিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা জানেনা কবে হবে এ চাকসু নির্বাচন। জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে না তারা চাকসু নির্বাচন  দিতে পারবে। যদি ইচ্ছা থাকতো তাহলে দুই মাসে নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটি প্রতিবেদন দিতো।’

নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ থেমে নেই। আমাদের কাজ চলছে। ঈদের পরেই আমরা প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এতে তখনকার ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন আজিম উদ্দিন। এরপর থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর অধরায় চাকসু নির্বাচন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads