• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
জাবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা

জাবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিস্তল, রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাঠে নামে। একই সঙ্গে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়া দেয়। কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর সোয়া ২টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিষ্টি খাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মওলানা ভাসানী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই হলের ছাত্ররা পিস্তল, রামদা, রড, হকিস্টিক নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংষর্ষ থামলেও তারা নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করছিল। ক্যাম্পাসজুড়েই এর উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে জুবায়ের কামাল নামের এক সাংবাদিক ছাত্রলীগ কর্মীর মারধরের শিকার হয়েছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিক আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ যদি সরাসরি জড়িত থাকে বা ইন্ধন দিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, বটতলায় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি মিষ্টি খাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি আমরা। পুলিশ ডাকা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। তবে আরও সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, প্রক্টরের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে দু’পক্ষের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা নিজেরা বসে তাদের সমস্যা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads