• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আগামী বছর থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি 

ফাইল ছবি

শিক্ষা

আগামী বছর থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি 

  • এস. এম. আতিয়া
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৯

দেশের সব স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী বছর থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি বছর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি সমন্বিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রস্তুতি শেষ করতে পারলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সমন্বিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক সভায় ১৮ জুলাই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা প্রবর্তন সংক্রান্ত পরিষদের কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে আগ্রহী। তারা আগামী বছর থেকে গুচ্ছবদ্ধ হয়ে অভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। সফটওয়্যার তৈরিসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য সময় স্বল্পতার অভাবে ইচ্ছা থাকলেও এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। 

জানা গেছে, পাঁচটি কৃষি এবং দুটি কৃষিসংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে পরিষদের সভায় একমত পোষণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে— ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গুচ্ছে আসার কথা থাকলেও শেষমুহূর্তে তারা বেরিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 

সূত্রমতে, এ বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবে। পর্যায়ক্রমে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৭টি বিভাগ চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলোতে মেধা ও পছন্দভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী কোন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দেবে, তাও তাদের পছন্দের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে, ফি কত টাকা হবে— ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী ২৯ জুলাই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, গত বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তাতে বিভিন্ন প্রস্তাব আছে। ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে যেসব গুচ্ছবদ্ধ করার কথা আছে সেগুলো হচ্ছে- কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। 

ওই কমিটির সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করছে। ডিজিটাল বাংলার প্রধানতম দিকই হচ্ছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানুষকে সহজে দুর্ভোগমুক্ত সেবা প্রদান করা। ভর্তি পরীক্ষাটি একটি সেবা। সেই সেবার জন্য যদি লাখ লাখ অভিভাবক-শিক্ষার্থীকে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাহলে আর সেটা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলো না। 

ডিজিটাল বাংলা চাইলে গুচ্ছ ভর্তিতে আসতেই হবে। ভিসিরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এবার একটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে গোটা বিষয়ের একটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগও হয়ে যাবে। ফলে আগামী বছর আরো সুন্দরভাবে এ পদ্ধতি প্রবর্তন করা যাবে। 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে পরিষদের সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহাম্মেদসহ ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads