• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সাত কলেজের অধিভুক্তির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা

সাত কলেজের অধিভুক্তির সমস্যা সমাধান হচ্ছে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সহজেই সমাধান হচ্ছে না। এ নিয়ে সুপারিশ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হলেও কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। ফলে এই সমস্যা নিরসনে আরো সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কমিটির সদস্য ও ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটা বৈঠক করেছি। আরেকটা বৈঠক আগামী সপ্তাহে করা হবে। বৈঠকের বিষয়গুলো তৈরি করছি। সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য আরো এক মাস সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ প্রস্তাবনার রিপোর্ট তৈরি করতে এক মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে। রিপোর্টের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সুপারিশ কমিটির সদস্য ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, প্রথম বৈঠকে অনেকে সাত কলেজকে ঢাবির সঙ্গে না রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। অনেকে বলছেন প্রয়োজনে যারা রানিং শিক্ষার্থী তাদের কার্যক্রম শেষ করে নতুন সেশন থেকে ঢাবির অধীনে ভর্তি করানো বন্ধ করা উচিত। এমন অনেক ধরনের প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু বৈঠকে কোনো কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, সদস্যদের অনেকে এই কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। পরবর্তী বৈঠকের আগে সাত কলেজ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, ঢাবিতে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে আরো এক মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

তিনি আরো

বলেন, সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক যেহেতু সামাদ স্যার, তাই আশা করি আমরা শিগগিরই একটা কার্যকর সমাধানে পৌঁছাতে পারব। উনি প্রশাসনিক কার্যক্রমে খুবই ডায়নামিক ব্যক্তি।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছিলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে ১৫ দিনের মধ্যে অধিভুক্তি সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু প্রায় এক মাস পার হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

প্রসঙ্গত, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর থেকে চাপ কমানোর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে সরকার। কলেজগুলো হলো- ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কাজী নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজ এবং মিরপুর বাঙলা কলেজ। কিন্তু অধিভুক্ত করার ফলে শিক্ষার মান তো উন্নত হয়নি বরং নতুন সংকট তৈরি হয়। সেশনজট, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, গণহারে ফেল ইত্যাদি নিয়ে কয়েকবার আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এই সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি রাখার বিরোধী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে টানা চারদিন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সবশেষে গত ২৪ জুলাই অধিভুক্তি সমস্যা সমাধানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের সুপারিশ কমিটি গঠন করা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads