• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
গাছে কাফন পড়িয়ে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে হল নির্মাণের জন্য গাছ কাঁটাকে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’ আখ্যা দিয়ে গাছে কাফন পড়িয়ে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

গাছে কাফন পড়িয়ে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে হল নির্মাণের জন্য গাছ কাঁটাকে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা গাছে কাফনের কাপড় পরিয়ে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল সংলগ্ন শান্তি নিকেতন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, হল চাই, হল হবে পরিবেশও রক্ষা হবে। “এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন।“”এক সাথে চার হল, ঘুম হবে কেমনে বল।” পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবির মুখে তিনি বলেছিলেন যে তিনি দাবি পর্যালোচনা করে দেখবেন। কিন্তু আমাদের দাবি পর্যালোচনা না করে কাজ শুরু করেছেন। উন্নয়ন কাজ নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার পসরা সাজিয়ে বসেছেন উপাচার্য। এই অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মহলকে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দুই কোটি টাকা দিয়েছে। টাকা ভাগাভাগি করে উন্নয়নের নামে প্রহসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য আশ্বাস দিলেও গাছ কাটা বন্ধ হয়নি।’

বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখা, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে গাছ কেটে হল নির্মাণকে ‘অপরিকল্পিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২২ জুলাই মেয়েদের হল নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্টে কাজ শুরু করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বাধায় তা বন্ধ হয়। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনকারীদের দাবিকে বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে আবারও হল নির্মাণের লক্ষ্যে গাছ কাটা শুরু করে টেন্ডার পাওয়া কোম্পানি। পরবর্তীতে সেখানে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা এবং গাছ কাটা বন্ধ করেন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads