• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কুবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে টিকটিকি!

কুবির ক্যাফেটেরিয়ার মুরগির মাংসের মধ্যে মিলেছে একটি টিকটিকি।

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

কুবির ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে টিকটিকি!

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ আগস্ট ২০১৯

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে গিয়ে মুরগির মাংসের মধ্যে মিলেছে একটি টিকটিকি। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তোলপাড় চলছে।

সূত্র জানায়, গত ২১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে দুপুরে ভাত খাওয়ার জন্য যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জোহায়ের বিন কায়েস, আব্দুর রাজ্জাক ও শামিম। তারা মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার এক পর্যায়ে দেখতে পায় মুরগির বাটিতে আস্ত একটি টিকটিকি। এই পরিস্থিতিতে তারা ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজারকে বিষয়টি জানিয়ে খাবার রেখে চলে আসে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় কর্মরতদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বিষয়টি জানে না বলে উত্তর দেয়।

তবে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন,‘আমি শুনেছি এমন একটা সমস্যা হয়েছে। তবে এটা অবশ্যই দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা করি খাবার ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য। ভবিষ্যতে আমরা আরও সচেতন থাকবো।’

ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে আসা শিক্ষার্থী জোহায়ের বিন কায়েস বলেন, সেদিন দুপুরে খেতে গিয়ে মুরগির মাংসের ভিতর টিকটিকি পেয়েছি। এতো বড় একটা টিকটিকি খাবার পরিবেশনের সময়েও তো চোখে পড়ার কথা। যেখানে খাবারে টিকটিকি পাওয়া যায় সেখানে আদৌ নিরাপদ খাবার কি আশা করা যায়?

শুধু ২১ তারিখই নয় এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মধ্যে তেলাপোকা, মাছিসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন উপাদান পাওয়া যায় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই উদ্বোধন করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। এতোদিন পার হওয়ার পরেও ক্যাফেটেরিয়াতে কাটেনি সংকট। শিক্ষার্থীরা যেখানে খাবারের জন্য ভীড় জমানোর কথা সেখানে আগ্রহ হারাচ্ছে দিন দিন। ক্যাফেটেরিয়ার অব্যবস্থাপনা, সুপেয় পানির সংকট, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বৈদ্যুতিক পাখা, বাতির সমস্যা, ওয়াশরুম সংকট ও ব্যবহার অনুপযোগিসহ নানাবিধ সমস্যা যেন ছাড়ছেই না। সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে সুপেয় পানির সমস্যা। ট্যাবের ঘোলা পানিই বোতলে করে পরিবেষণ করা হয় খাবার জন্য। দুপুরে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে পানির তাপমাত্রাও। তাই বাধ্য হয়ে গরম পানিও পান করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ক্যাফেটেরিয়ার ভিতরে চারদিকে ছড়িয়ে আছে অব্যবহার্য জিনিসপত্র। হাত ধোঁয়ার জন্য দেওয়া বেসিনগুলোর অবস্থাও নাজুক। ব্যবহার উপযোগী রয়েছে ২/৩ টি। ক্যাফেটেরিয়ায় টয়লেট রয়েছে দুটি। যা প্রায়শই থাকে নোংরা অবস্থায়। এছাড়া এর সেপটিক ট্যাংকিগুলো পরিষ্কার না করায় এখন পুরোপুরিভাবেই ব্যবহারের অনুপযোগী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন,‘ক্যাফেটেরিয়ায় পানি, বৈদ্যুতিক ও ব্যবস্থাপনা সমস্যাগুলো আগামী সপ্তাহেই সমাধানের ব্যবস্থা করছি। খাবারের মানোন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজারকে বলবো। এছাড়া ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্রুত একটি কমিটি গঠন করবো।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads