• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
প্রশাসনের অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের বিরুদ্ধে জাবিতে আন্দোলন তুঙ্গে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

প্রশাসনের অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের বিরুদ্ধে জাবিতে আন্দোলন তুঙ্গে

  • জাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০১৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে হল নির্মাণের জন্য যে মাস্টারপ্ল্যান প্রশাসন হাতে নিয়েছে তা ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে প্রশাসন বৃক্ষ নিধন করছে এমন অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, হল চাই, হল হবে পরিবেশও রক্ষা হবে। ছি, ছি প্রশাসন, টাকার জন্য মরণপণ, “এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন।“”এক সাথে চার হল, ঘুম হবে কেমনে বল।”

পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক সহ পুরাতন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মাস্টারপ্ল্যানের এতটাই ক্রুটি যে এটাকে মহা অপরিকল্পনা বলা চলে। এটি সংশোধন না করে প্রশাসন উন্নয়নকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে। এই অযৌক্তিক প্ল্যানের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমাদের দাবির মুখে তিনি বলেছিলেন যে তিনি দাবি পর্যালোচনা করে দেখবেন। কিন্তু আমাদের দাবি পর্যালোচনা না করে কাজ শুরু করেছেন। উন্নয়ন কাজ নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার পসরা সাজিয়ে বসেছেন উপাচার্য। এই অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি মহলকে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে দুই কোটি টাকা দিয়েছে। টাকা ভাগাভাগি করে উন্নয়নের নামে প্রহসন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য আশ্বাস দিলেও গাছ কাটা বন্ধ হয়নি।

বিক্ষোভ মিছিলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখা, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads