'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক মন্ডল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪১ ব্যাচ) ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাইমুম ইসলাম।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র। সেই সাথে তিনি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।
আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন খাবার দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সাইমুম ইসলাম শহীদ রফিক জব্বার হলের সামনে খাবারে দোকানে নাস্তা করতে যান। এ সময় পাশের সিটে বসা ছিলেন অভিষেক মন্ডল। নাস্তারত অবস্থায় সাইমুমের মুঠোফোন একটি কল আসে। সে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকলে অভিষেক মন্ডল ধমক দিয়ে তাকে আস্তে কথা বলতে বলেন ও সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে সাইমুম স্থান ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কলার ধরে দোকানের বাহিরে বের করে লাকড়ি দিয়ে মারধর করে অভিষেক মন্ডল।
মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইমুম ইসলাম বলেন, আমি সকালের নাস্তা করছিলাম। এ সময় একটি জরুরি ফোন রিসিভ করে কথা বলি। কিন্তু পাশে বসে থাকা অভিষেক মন্ডল ভাই আমার ওপর চড়াও হন। পরে কলার ধরে দোকানের বাহিরে এনে লাকড়ি দিয়ে মারধর করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক মন্ডল বলেন, আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে দোকানে নাস্তা করতে গিয়েছি। সেখানে অনেক সিট ফাঁকা ছিল কিন্তু সাইমুম গা ঘেঁষে আমাদের পাশে বসে। এ সময় তার ফোনে কল আসলে সে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকে। পরে আমি তাকে একটু ধমক দিয়ে কথা বলি। তারপর সে আমার সঙ্গে বেয়াদবী করলে একটু হাতাহাতি হয়। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটে নি। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।