• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
চবিতে দুদক আতঙ্ক

সংগৃহীত ছবি

শিক্ষা

চবিতে দুদক আতঙ্ক

  • জুবাইর উদ্দিন, (চবি)
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সময় অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে একসঙ্গে ১৪২ জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে ৮ শিক্ষকসহ ৪৬ জনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের মধ্যে ১১ জন নিয়োগদাতা এবং নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫ জন কর্মচারী। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসজুড়ে দুদক আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এখন আলোচনার বিষয় হয়ে পড়েছে দুদক।

জানা গেছে, গত ২১ মে, দুদক নিয়োগ কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে। বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক মু. মাহবুবুল আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনকে। দুদকের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবদুল করিম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

সর্বশেষ ২২ আগস্ট দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আগস্টের নির্ধারিত সময়ে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে নিজেদের বক্তব্য দিতে বলা হয়।

বক্তব্য দিতে গিয়ে সরকারি টাকায় ভূরিভোজ করার অভিযোগ উঠেছে এ শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। নগরীর আগ্রাবাদের একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে বিল করেছেন ৫ হাজার ৩৯৬ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও হিসাব নিয়ামকের স্বাক্ষর সংবলিত ভাউচারে এ বিলকে জনবল নিয়োগ সভার আপ্যায়ন বিল হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের তলব করা শিক্ষক ও কর্মকর্তারা হলেন, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএফএম আওরঙ্গজেব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিজ্ঞান ওয়ার্কশপের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শফিউল আলম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলী আজগর চৌধুরী, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. গোলাম কবীর, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি ড. সুমন গাঙ্গুলী, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান এবং পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ উন নবী। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ৫১৯তম সিন্ডিকেট সভায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৪২ জনকে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের পদ ও বিভাগ সম্পর্কে সিন্ডিকেটকে জানানো হয়নি। নানা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, অস্ত্রধারীও এ সময় নিয়োগ পেয়েছেন। স্বজনপ্রীতিসহ এমনকি চাকরির জন্য আবেদন না করেও নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগও ওঠে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads