• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
গাইবান্ধায় গাছ তলায় চলছে পাঠদান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

গাইবান্ধায় গাছ তলায় চলছে পাঠদান

শিক্ষার্থীর সংখ্যা ঝরে পড়ার আশঙ্কা

  • গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এবারের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় ২২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০৮টিতে ক্লাস শুরু হয়। আর ফুলছড়ির হারুডাঙ্গা, ধলিপাটাধোয়া, কেতকীরহাট, জামিরা, আঙ্গারীদহ, গাইবান্ধা সদরের চিথুলিয়ার চর, চিথুলিয়া দিগর নতুন পাড়া, বাজে চিথুলিয়া, মৌলভীর চর, কেবলাগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জের উজানবুড়াইল, চরপূর্ব লাল চামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১২টি বিদ্যালয় বন্যার সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

কিন্তু ভাঙনের তোড়ে ভবন গুলোর সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে হারিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, আলমারি, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র । হারিয়ে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনের পাশে গাছতলা ও ছাপরাঘরে বসে চলছে এখন পাঠদান । সামনে সমাপনী পরীক্ষা। এমন বিরূপ পরিবেশের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতি অনেক কম। ফলে চলতি বছর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকসহ অন্যরা।

খুদে শিক্ষার্থী সুমি জানায়, আমাদের স্কুল নদীতে ভেঙে গেছে। চটের উপর মাটিতে বসে পড়তে ভালো লাগেনা না। আমাদের পড়াশুনা করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। আর কয়েক দিন পরে আমাদের সমাপনী পরীক্ষা, আমরা মাটিতে বসে কি ভাবে পরীক্ষা দিবো। আমদের স্কুল কি আগের মত হবে না। আমরা তাড়াতাড়ি আমাদের স্কুল আগের মতো চাই।

কেতকির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন, খোলা জায়গায় ক্লাস নিতে গিয়ে তাদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সামনে সমাপনী পরীক্ষা। একই সঙ্গে শিশু শ্রেণিসহ ছয়টি ক্লাস নিতে গিয়ে কোলাহলপূর্ণ খোলা জায়গায় মনসংযোগ হারিয়ে ফেলেন শিক্ষকরা। রোদ-বৃষ্টিতে সংকট বাড়ে।

ভেঙে যাওয়া স্কুলের পাশে তারা নিজেরা একটি ছাপরাঘর তুলেছেন। সেখানে পাঠদান করা হচ্ছে। এদিকে স্কুল ভবন না থাকায় এবার চর এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বাড়তে পারে।

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, বন্যায় নদীভাঙনে ১২টি স্কুল বিলীন হয়েছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২টা, ফুলছড়ি উপজেলায় ৫টা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৫টা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত স্কুলের কক্ষ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলগুলো স্থাপন করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads