• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জাবি ভিসি'র অপসারণ চাইলেন মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ফাইল ছবি

শিক্ষা

জাবি ভিসি'র অপসারণ চাইলেন মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত অথবা তাকে পদচ্যুত করা উচিত।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমার কাছে একটি নতুন খবর আছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে ছাত্রলীগের যে দুই শীর্ষ নেতাকে পদচ্যুত করা হয়েছে, এটাকে আবার নতুন নাম দিয়েছে তারা। কি দিয়েছে বলুনতো? ফেয়ার শেয়ার। ৫% - ১০% ঘুষ যে নেবে, এটা হলো ফেয়ার শেয়ার। এই ফেয়ার শেয়ারের মধ্যে আবার এখন ভাইস-চ্যান্সেলরের নাম চলে এসেছে। উনি নাকি ইতোমধ্যে এক কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। দ্রুত তার পদত্যাগ করা উচিত। না হয় তাকে অব্যাহতি দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বের করে দিয়ে তারা স্বীকার করেছেন যে করাপশন চলছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, হাজার চেষ্টা করে থলের বিড়াল ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। কালো বিড়ালের মতো বের হয়ে আসছে এবং এগুলো এখন জনগণের কাছে পুরোপুরি চলে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাত্র ভর্তি করছে রাতের বেলায়। কোথায় আছে দুর্নীতিমুক্ত জায়গা? প্রতিটি জায়গায় পরীক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারালয় কোথাও যাওয়া যায় না।

ফখরুল বলেন, যারা মিথ্যা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, জোর করে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে থাকে, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এটা অবৈধ সরকার, এই পার্লামেন্ট অবৈধ। সুতরাং অবিলম্বে পার্লামেন্ট বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েএকটি নতুন নির্বাচন করতে হবে এবং সে নির্বাচনে নতুন সরকার নতুন পার্লামেন্ট গঠন হবে। আজকে এই হচ্ছে জনগণের দাবি।

তিনি বলেন, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ, জনগণের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, তিনি আইনসম্মতভাবে যেটি পান, সেই জামিন নিশ্চিত করতে হবে। কেন তাকে আটকে রেখেছেন? এত ভয় পান কেন? ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে একটি নাটক করলেন কেন? তাহলে গণতন্ত্রকে আপনারা চলতে দিতে চান না। যারা গণতান্ত্রিকভাবে কাজ করতে চায়, তাদের আপনারা কাজ করতে দিতে চান না।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানের (বীর প্রতীক) সভাপতিত্বে ও সাধারাণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads